...

মনে রাখার ক্ষমতা কীভাবে বাড়াবেন ?

মনে রাখার ক্ষমতা
মনে রাখার ক্ষমতা কীভাবে বাড়াবেন ?

আমরা আমাদের মস্তিষ্কের যা ক্ষমতা তার খুব কম পরিমাণই ব্যবহার করি। যে কাজটা যেভাবে করে আসছি, সেটা অন্যভাবে করার কোনো চেষ্টাই করি না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। আমরা গতানুগতিক রাস্তায় চলতেই পছন্দ করি। কিছু না ভেবে একই পদ্ধতি বারবার প্রয়োগ করে কোনো কাজ করলে কিন্তু মস্তিষ্ক ঝিমিয়ে পড়ে।মনে রাখার ক্ষমতা বা স্মৃতিশক্তিকে চাঙা রাখতে হলে “আউট অফ দ্য বক্স” রাস্তা বেছে নিতে হবে। এমন কিছু কাজ বেছে নিন, যা আপনার কাছে নতুন এবং একই সাথে চ্যালেঞ্জিং। নতুন ভাষা শিখতে পারেন, বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন, পাজল বা সুডোকু সমাধান করতে পারেন। এছাড়া নিন আরো কিছু পদক্ষেপ, যা আপনার মনে রাখার ক্ষমতা প্রখর করবে।

“ব্রেন বুস্টিং” খাবার খান
মনে রাখার ক্ষমতা ও মস্তিষ্কের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টি ও এনার্জির। স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের শরীরে কিছু অক্সিডেন্ট তৈরি হয় যা মস্তিষ্কের কার্যকরী ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকরী ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রেন হেলথের জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জরুরি উপাদান। মাছে (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ফিস অয়েল সাপ্লিমেন্ট, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, সয়াবিন ইত্যাদিও খেতে পারেন। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। পালংশাক, ব্রকোলি, লেটুসের মতো পাতাজাতীয় সবজি, ফল, গ্রিন টি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেট খাওয়াও জরুরি। সিম্পল কার্বোহাইড্রেট যেমন চিনি, পাউরুটি ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য জ্বালানির মতো কাজ করলেও তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। মস্তিষ্কের এনার্জি বজায় রাখার ভালো উপায় হলো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। হোল হুইট ব্রেড, ব্রাউন রাইস, ওটমিল, হাই ফাইবার সিরিয়াল নিজের খাদ্যতালিকায় রাখুন। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যতটা সম্ভব কম খান।

পড়ুন  ফ্লাওয়ার ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন সুন্দর আর নজরকাড়া ত্বক পেতে

ব্যায়াম করুন
শারীরিক ব্যায়াম মস্তিষ্কে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং যেসব অসুখে (যেমন ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ) ‘মেমরি লস’ হতে পারে, সেগুলোকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। উপকারী মস্তিষ্কের কেমিক্যালের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। মেডিটেশন ও আরো কিছু যোগাসন আছে যা মস্তিষ্ক এবং নার্ভাস সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে স্মৃতিশক্তি ও মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে মনে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পায়। আর ঘুম হলো পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামের উপায়। ভালো করে না ঘুমালে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। মনে রাখার সাথেও ঘুমের সরাসরি যোগাযোগ আছে। গবেষণা করে জানা গেছে, ‘মেমরি কনসলিডেশন’-এর জন্য ভালো ঘুম জরুরি। এমনকি দুপুরে আধঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট ঘুমও বেশ উপকারী। দুপুরের সামান্য ঘুম ডিক্লেরাটিভ মেমরিকে (বইপত্র পড়ে যা জ্ঞান অর্জন করা হয়, সেগুলো মনে রাখা) উসকে দেয়। ফলে যা শিখেছেন তা মনে রাখা সহজ হয়ে যায়। তবে জোর করে শেখা জিনিস কিন্তু মনে রাখতে সাহায্য করে না এই ঘুম।

বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান
গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনকে যদি উপভোগ করতে পারেন, তার প্রভাব ‘কগনিটিভ এবলিটির’ ওপরও পড়ে। আশেপাশের লোকেদের সাথে আন্তঃযোগাযোগ করলে শুধু মনই ভালো থাকে না, তা এক ধরনের মস্তিষ্কের ব্যায়ামও বটে। জীবনে বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতি থাকাটা শুধু ইমোশনাল হেলথের জন্যই নয়, ব্রেন হেলথের জন্যও জরুরি।

পড়ুন  ঘরে বসেই দোকানের মত মাখন তৈরীর কৌশল শিখে নিন ভিডিও সহ

তথ্যসূত্র: স্ট্রংলিভিং ডটকম, হেলথ ডাইজেস্ট

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.