...

সঠিকভাবে সহবাস করার পদ্ধতি – স্ত্রী সহবাসের ছবি

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা যে সকল বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সহবাসের বিভিন্ন স্টাইল এবং সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি নিয়ে থাকছে আমাদের আর্টিকেলটির প্রকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ধারাবাহিকভাবে জেনে নেয়া যাক।

স্ত্রী সহবাসের ছবি

সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি

সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সহবাসের সময় আপনাকে নিয়ম পদ্ধতি না জানলে সহবাস করার মাধ্যমে পাপ হতে পারে তাই আমাদের সকলকে পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য সহবাসের নিয়ম পদ্ধতি জেনে রাখা খুবই জরুরি।

সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। … আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে সহবাস করার সময় স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয়না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক।

সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি

স্বামী স্ত্রীর মিলন পৃথিবীতে সৃষ্টির সবচাইতে আনন্দময় মুহূর্ত তবে এই মুহূর্ত থেকে আপনি আনন্দদায়ক করার জন্য সহবাস করার পদ্ধতি যাতে হবে আর সহবাস করার পদ্ধতি হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর সাথে মিলিত হবে যৌনমিলন বা স্ত্রীর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করাবে এটি হচ্ছে সহবাস।

সহবাসের সময় যে বিষয়টি আপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আপনি কি সহবাস করার জন্য নিষিদ্ধ কোন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন কিনা যেমন।

স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করছেন কিনা অর্থাৎ ইস্তিরির পিছন দিক থেকে আপনি সহবাস করছেন কিনা সেটি মনে রাখতে হবে কারন স্ত্রীর পিছন দিক দিয়ে সহবাস করা ধর্মীয় দিক থেকে নিষিদ্ধ

সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

এছাড়াও সহবাস করার সময় স্ত্রীর ঋতুস্রাবের সময় সহবাস করা যাবে না এটি সহবাস করার একটি কঠোর পদ্ধতি কারণ এই সময়ে সহবাস করা একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি

রোজা রাখা অবস্থায় আপনি সহবাস করতে পারবেন না এ সময় সহবাস করা হারাম তাই যখন রোজা রাখবেন দিনের বেলা সহবাস করবে না তবে রোযা রাখা সময় রাতের বেলায় সহবাস করা যেতে পারে।

স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর নিচে শুয়ে থাকবে পুরুষ উপর থেকে সহবাস করা যাবে আবার স্ত্রী পুরুষের উপরে সহবাস চালিয়ে যাবে এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধ পাওয়া যায়নি।

স্ত্রী হচ্ছে পুরুষের যৌন শস্য ক্ষেত তাই শস্য ক্ষেতে পুরো যেভাবে ইচ্ছে চাষ করতে পারবে কিন্তু বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আপনার স্ত্রীর ওপর আপনি নিষিদ্ধ ভাবে সহবাস না করেন।

ইসলামিক পদ্ধতিতে সহবাস করার নিয়ম

ইসলামিক পদ্ধতিতে কিভাবে সহবাস করতে হয় সে সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তবে ইসলামী দিক থেকে সহবাস করার আরও কিছু নিয়ম হচ্ছে।

সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি

সহবাসের সময় অবশ্যই ইস্তিরির সিধান্তকে গুরুত্ব দিতে হবে স্ত্রীর উপর কখনোই জোরজবরদস্তি করা যাবেনা সহবাসের মাধ্যমে আনন্দ লাভ করা হয় তাই সহবাসের সময় স্ত্রীকে ব্যথা দেয়া যাবে না।

পড়ুন  ভিন্না স্বাদের জিলাপির হালুয়া তৈরীর রেসিপি

দীর্ঘ সময় সহবাস করার পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক দীর্ঘ সময় সহবাস করার পদ্ধতি হচ্ছে আপনি সহবাস প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে চালিয়ে যান আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাসের সময় শুধু সহবাস না আরো অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলুন তাহলে দেখবেন আপনি সহবাসের সময় ডেকে দীর্ঘায়িত করতে পারছেন।

স্ত্রী সহবাসের ছবি

এছাড়াও সহবাস দীর্ঘ করার পদ্ধতি হিসেবে আপনি বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন এই ঔষধ গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ সময় সহবাস চালিয়ে যেতে পারবেন আর সহবাসের সময় যত দীর্ঘ হবে আনন্দ তত বেশি লাভ করা যাবে।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি ছবি আপনি ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন এগুলো থেকে আপনি দিতে দেখে নিতে পারবেন কিভাবে গর্ভ অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করবেন গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় আঘাত না পায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

সহবাস করার নিয়ম পদ্ধতি

গর্ভ অবস্থায় স্ত্রীর পিছন বা পশ্চাদ্দেশ দিয়ে সহবাস করা থেকে বিরত থাকুন স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে সহবাস কখনোই করা যাবে না কারণ ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সহবাসের আগে স্বামীর কর্তব্য

সহবাসের পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে সঠিকভাবে পাক-পবিত্র হওয়া এবং সহবাসের পূর্বে একে অপরের প্রতি আন্তরিক ভাবে আন্তরিকতার সাথে সহবাসে প্রস্তুতি নেবে।

সহবাসের পূর্বে মনোমালিন্য থাকলে জোরজবস্তি করে সহবাস করলে সহবাসে আনন্দ যেমন লাভ হবে না তেমনি সহবাসের মাধ্যমে উপকারের চাইতে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য বেশি দেখা দেবে

সহবাসের বিভিন্ন স্টাইল

সহবাসের বিভিন্ন স্টাইল রয়েছে এর মধ্যে কোনটি আপনার পছন্দনীয় সেটি কমেন্টে লিখে জানিয়ে দিতে পারেন যাতে অন্যরা জানতে পারে সহবাসের জন্য আদর্শ স্থান কোনটি।

সহবাসের পর দুর্বলতা

সহবাসের পর দুর্বলতা কাটাতে আপনি একটু বিশ্রাম নিতে পারেন নানা প্রকার ফলমূল দুধগুলো খেতে পারেন এতে সহবাসে আপনার যে শক্তি খরচ হয়েছে এগুলো আবার সঞ্চিত হয়ে উঠবে।

সহবাসের পর কি খাওয়া যায়

সহবাসের পর কি খাওয়া যায় এটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন এই উত্তরটি আপনারা দেয়ার চেষ্টা করুন সহবাসের পর আপনি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন এই খাবারগুলো আপনার সহবাসের ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।

সহবাসের নিয়ম নীতি

সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কে আর্টিকেলটির প্রথম অংশে আমরা উল্লেখ করেছি নিষিদ্ধ সহবাসের পদ্ধতি গুলো আমরা উল্লেখ করেছি সহবাসের সময় স্ত্রীকে কতটা বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এগুলো সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা লিখেছি।

সহবাসের আনন্দ পাওয়ার উপায়

আমাদের আজকের আর্টিকেলটির শেষ পর্যায়ে আমরা একটি পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করব পুরুষের বীর্য বের হয়ে যাওয়ার পর সহবাসের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার স্ত্রীর অর্গাজম হয়েছে কিনাঃ যদি স্ত্রীর অর্গাজম না করতে পারেন তাহলে ইস্ত্রী আস্তে আস্তে সহবাসের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখবেন

স্ত্রী সহবাসের সময়  কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত?

স্ত্রী সহবাসের সময় যেসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত, সংক্ষেপে তা নিম্নে পেশ করা হল-

পড়ুন  মেকওভার সাতকাহন সম্বন্ধে জানুন

১- নিয়ত খালেস করে নেয়া। অর্থাৎ, কাজটির মাধ্যমে নিজেকে হারাম পথ থেকে বিরত রাখার, মুসলিম উম্মাহর সংখ্যা বৃদ্ধি করার এবং সাওয়াব অর্জনের নিয়ত করা। এ মর্মে আবু যার রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,

وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ ‏ ‏.‏ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ؟ قَالَ : ‏‏ أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ

স্ত্রী সহবাসও সদকা। তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কেউ যদিস্ত্রী সহবাস এতেও কি সে সাওয়াব পাবে? তিনি বললেন, তোমরা কি মনে কর যদি সে কামাচার করে হারাম পথে তাতে কি তার গুনাহ হবে না? অনুরূপভাবে যদি সে কামাচার করে হালাল পথে তবে সে সাওয়াব পাবে। (মুসলিম ২২০১)

২- সহবাসের সময় শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করা। হাদিসে এসেছে,

كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها

রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)

৩- সহবাসের শুরু করার সময় দোয়া পড়া–

بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ।’

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এরপরে যদি তাদের দু’জনের মাঝে কিছু ফল দেয়া হয় অথবা বাচ্চা পয়দা হয়, তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী ৪৭৮৭)

৪- যেকোনো আসনে স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ইসলামে আছে। মুজাহিদ রহ. نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ (তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর।)-এই আয়াতের তফসিরে বলেন, قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ ‘দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে।’ ( দুররে মানছুর ১/২৬৫ তাফসীর তাবারী ২/৩৮৭-৩৮৮ মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২)

৫- মলদ্বারে সহবাস হারাম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

لا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করে, আল্লাহ্ তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকান না। (ইবন মাজাহ ১৯২৩)

৬-ঋতুবতী অবস্থায় সহবাস হারাম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ

যে ব্যাক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলো অথবা স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করলো অথবা গণকের নিকট গেলো এবং সে যা বললো তা বিশ্বাস করলো, সে অবশ্যই মুহাম্মাদ ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত জিনিসের (আল্লাহ্‌র কিতাবের) বিরুদ্ধাচরণ করলো। (তিরমিযী ১৩৫ আবূ দাঊদ ৩৯০৪)

আরো জানার জন্য দেখুন–জিজ্ঞাসা নং–৮২।

৭- একবার সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে চাইলে অজু করে নেয়া মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

পড়ুন  স্ত্রীর ফেসবুকে ঢুকে চ্যাটিং দেখতে পাই...

إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُودَ فَلْيَتَوَضَّأْ بَيْنَهُمَا وُضُوءًافإنه أنشط للعود

যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযু করে নেয়। কেননা, এটি দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক। (মুসলিম ৩০৮ হাকিম ১/২৫৪)

তবে গোসল করে নেয়া আরো উত্তম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, هَذَا أَزْكَى وَأَطْيَبُ وَأَطْهَرُ এরূপ করা অধিকতর পবিত্র, উত্তম ও উৎকৃষ্ট। ( আবু দাউদ ২১৯)

ফরয গোসলের নিয়ম জানার জন্য দেখুন–জিজ্ঞাসা নং–৩৭৫।

দুই. সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয আছে। হাদিসে এসেছে, বাহয বিন হাকীম তিনি তাঁর পিতা তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, একদা তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের গোপনাঙ্গ কী গোপন করব, আর কী বর্জন করব?’ তিনি বললেন, احْفَظْ عَوْرَتَكَ ، إِلَّا مِنْ زَوْجَتِكَ ، أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ ‘তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকটে লজ্জাস্থানের হেফাযত কর।’ সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! লোকেরা আপোসে এক জায়গায় থাকলে?’ তিনি বললেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়।’ সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! কেউ যদি নির্জনে থাকে?’ তিনি বললেন, اللهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ مِنَ النَّاسِ ‘মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তাঁকে লজ্জা করা হবে।’ (আবূ দাঊদ ৪০১৯, তিরমিযী ২৭৯৪)

উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবন হাজর আসকালানী রহ. বলেন,

وَمَفْهُومُ قَوْلِهِ (إِلَّا مِنْ زَوْجَتك) يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ يَجُوزُ لَهَا النَّظَرُ إِلَى ذَلِكَ مِنْهُ ، وَقِيَاسه أَنَّهُ يَجُوزُ لَهُ النَّظَرُ

‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া’ (إِلَّا مِنْ زَوْجَتِكَ)-এর দ্বারা বোঝা যায়, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয। যুক্তিও বলে, এটা জায়েয হবে। (ফাতহুল বারী ১/৩৮৬)

ইবন কুদামা আল মাকদেসী রহ. বলেন,

وَيُبَاحُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْ الزَّوْجَيْنِ النَّظَرُ إلَى جَمِيعِ بَدَنِ صَاحِبِهِ ، وَلَمْسُهُ ، حَتَّى الْفَرْجِ … ؛ وَلِأَنَّ الْفَرْجَ يَحِلُّ لَهُ الِاسْتِمْتَاعُ بِهِ ، فَجَازَ النَّظَرُ إلَيْهِ وَلَمْسُهُ ، كَبَقِيَّةِ الْبَدَنِ

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সমস্ত দেহের দিকে তাকানো, স্পর্শ করা, এমনকি যৌনাঙ্গের ক্ষেত্রেও বৈধ। কেননা, যৌনাঙ্গে মিলন হালাল। সুতরাং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মত তা দেখা ও স্পর্শ করাও জায়েয। (আল মুগনী ৭/৭৭)

হাশিয়াতুত দাসুকী (২/২১৫)-তে আছে,

وَحَلَّ لَهُمَا ، أَيْ لِكُلٍّ مِنْ الزَّوْجَيْنِ … نَظَرُ كُلِّ جُزْءٍ مِنْ جَسَدِ صَاحِبِهِ ، حَتَّى نَظَرُ الْفَرْجِ ، وَمَا وَرَدَ مِنْ أَنَّ نَظَرَ فَرْجِهَا يُورِثُ الْعَمَى مُنْكَرٌ لا أَصْلَ لَهُ

স্বামী-স্ত্রীর জন্য জায়েয একে অপরের সমস্ত দেহের দিকে তাকানো, এমনকি যৌনাঙ্গের দিকেও। বলা হয়, স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকালে স্বামীর চোখের জ্যোতি কমে যায়-একথার কোনো ভিত্তি নেই।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন

শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.