...

চুল বড় করার ঘরোয়া ৪টি উপায় চটজলদি শিখে নিন

চুল নারীর সৌন্দরয্যে প্রতিক। একজন নারীর সুন্দর, লম্বা ও ঘন চুল যে কোন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক যে কারো মনে ছাপ ফেলতে বাধ্য। কিন্তু প্রাকৃতিক আবহাওয়া ছাড়াও শারীরিক নানান সমস্যার কারণে চুলকে লম্বা ও ঘন করতে পারেন না। আবার লম্বা ঘন চুল পেতে অনেকেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

চুল ঘনো.PNG

চুল বড় করার ঘরোয়া ৪টি উপায় চটজলদি শিখে নিন

অনেকেই জানে না যে তার ঘরেই রয়েছে চুলকে লম্বা ঘন ও সুন্দর করে তোলার ঔষধ। ঘরোয়া পদ্ধতিতে খাবারের মাধ্যমে চুলের যত্ন সেই প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে।

 চুল লম্বা, ঘন ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল করার ৪টি সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনিও পেতে পারেন এ সমস্যার সমাধান। এবার জেনে নেই কি সেই ৪টি পদ্ধতি…

১ঃপিঁয়াজ

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের বৃদ্ধির সবচাইতে পুরনো ও প্রাচীন পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পিঁয়াজের ব্যবহার। পিঁয়াজ সালফারের একটি বেশ ভালো উৎস। পিঁয়াজের রসের সালফার মাথার ত্বকের কোলাজেন টিস্যু উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে নতুন চুল গজায়।

পিঁয়াজ ব্যবহারের পদ্ধতি :

একটি লাল পেঁয়াজ নিন। লাল পেঁয়াজে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। তারপর পেঁয়াজটি কুচি করে কাটুন ও ভালো করে পাটায় থেঁতলে নিন। একটি নরম পাতলা কাপড়ে এই পেঁয়াজ রেখে চিপে রস বের করে নিন। তারপর এই পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। বাড়তি পাওনা হিসাবে দূর হবে খুশকি ও অন্যান্য সমস্যা।

পড়ুন  চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে ২টি কার্যকরী মাস্ক সম্পর্কে জেনে নিন

২ঃডিম 

স্বাস্থ্য উজ্জল চুলের জন্য ডিমের ব্যবহারটিও বেশ। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুল পড়া রোধ করে। এছাড়া ডিমে রয়েছে সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়োডিন যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।

ডিম ব্যবহারের পদ্ধতি :

প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন (চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে চুল ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

৩ঃগ্রীণ টি

সবুজ চা’র (গ্রীণ টি) স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। আজকে জেনে নেই গ্রীণ টি ব্যবহারে কি করে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল hair পাওয়া যায়। গ্রীণ টির এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানসমূহ ত্বকের জন্য যতটা কার্যকরী চুলের জন্য ঠিক ততোটাই উপকারী। গ্রীণ টি চুলের আগা ফাটা রোধ করে যার ফলে চুল লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও গ্রীণ টি চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোতে সহায়তা করে।

পড়ুন  চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল

গ্রীণ টি ব্যবহারের পদ্ধতি :

গ্রীণ টি কম বেশি সবাই বানাতে জানি। বাজারে গ্রীণ টি পাওয়া যায়। প্রথমে গ্রীণ টি বানিয়ে নেবেন। অনেকেই গ্রীণ টিতে মধু বা চিনি দিয়ে থাকেন। কিন্তু চুলে ব্যবহারের জন্য গ্রীণ টি তে চিনি বা মধু দেবেন না। এক কাপ পরিমাণ গ্রীণ টি নিয়ে হালকা গরম থাকতেই পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাবেন। ১ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে hair ধুয়ে ফেলুন।

৪ঃআলু 

আলুর ত্বকের ও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রের গুণাবলী সম্পর্কে অনেকেই জানলেও আলু চুলের জন্য কতোটা উপকারী তা অনেকেই জানেন না। আলুর হচ্ছে টাকের সমস্যা দূর করার জাদুকরী উপাদান। আলুর ভিটামিন বি৬ টাক পরা রোধে কাজ করে। এছাড়াও আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফাইবার যা নতুন চুল গজানো, চুলের অকালপক্বতা রোধ ইত্যাদির জন্য কাজ করে।

আলু ব্যবহারের পদ্ধতি :

একটি মাঝারি আকৃতির আলু ঝুরি করে চিপে এর থেকে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে আলুর রস, একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। খুব ভালো করে মিশে গেলে, মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় আলতো ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।

পড়ুন  চুল পড়া বন্ধ করার ২ টি প্রাকৃতিক উপায়

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.