...

অতিরিক্ত খাবার আসক্তি কমিয়ে ফেলুন এই চমৎকার ৪টি কৌশলে

বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয় একটি কাজ। তবে অতিরিক্ত কোন ব্যাপারই ভালো নয়। আর সেই কথাটি প্রযোজন্য এই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও। আমাদের ভেতরে অনেকেরই অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে রেগে গেলে, মন খারাপ থাকলে বা নানারকম নিত্যনতুন পরিস্থিতির বদৌলতে যাদের খাওয়ার পরিমাণটা বেড়ে যায় বহুগুন। আপনিও যদি হন তাদেরই মতন একজন তাহলে সময়, পরিস্থিতি ও আবেগভেদে অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের আসক্তিকে কমিয়ে ফেলার চমত্কার এই কৌশলগুলো আপনারই জন্যে।অতিরিক্ত খাবার আসক্তি

অতিরিক্ত খাবার আসক্তি কমিয়ে ফেলুন এই চমৎকার ৪টি কৌশলে

১. বিরক্তি থেকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন
ব্যাপারটা যদি এমন হয় যে, বিরক্ত হলেই অতিরিক্ত খাবার খাচ্ছেন আপনি, বেড়ে যাচ্ছে আপনার ক্ষুধা- তাহলে পরেরবার থেকেই এই কাজগুলো করুন।

ক. একা একা বিরক্ত বোধ করার ফলে যাতে আপনার চিন্তা-ভাবনা খাবারের দিকে না চলে যায় সে কারণে বিরক্ত হলেই ফোন করুন আপনার কোন প্রিয় বন্ধুকে যার সাথে অনেকদিন যাবত কথা বলা হয়ে ওঠেনি আপনার। এছাড়া চাইলে বন্ধুদের সাথে বইরে এক পাক ঘুরেও আসতে পারেন।

খ. হাতের কাছেই আপনার পছন্দের কাজের আনুষাঙ্গিক রাখুন। এই যেমন- ছবি আঁকতে ভালোবাসলে সাথে রাখুন পেন্সিল, রঙ আর কাগজ। যখনই বিরক্ত লাগবে করতে থাকুন নিজের পছন্দের কাজকে আর ব্যস্ত করে ফেলুন নিজেকে।

পড়ুন  দ্রুত ওজন কমাতে পারে রাতের ৩টি ডায়েট প্ল্যানে

২. মানসিক চাপ থেকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন
অফিসের অতিরিক্ত কাজের চাপ বা অন্য কোন চাপ যদি মানসিকভাবে অশান্ত করে ফেলে আপনাকে সেক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক যে আপনি সেই চাপটা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করবেন অন্যকিছু করার। অনেকেই এক্ষেত্রে বেছে নেন খাবার খাওয়াকে। তবে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে আর মানসিক চাপের সময়ে সৃষ্টি হওয়া ক্ষুধাকে পাকাপাকিভাবে মিটিয়ে ফেলতে এই কাজগুলো করুন।

ক. নিজের পেটকে সবসময় ভরা রাখুন। কেবল মানসিক চাপই আপনাকে ক্ষুধার অনুভূতি এনে দিতে পারেনা। ক্ষুধার অনুভূতিও মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিজের দিনের তিন বেলার খাবার ঠিক সময়ে খেয়ে নিন। সেইসাথে মাঝে মাঝেই স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। একটু হালকা কিছু। যাতে করে পেট ভরা থাকে।

খ. নিজেকে এই সময় একটু স্থির রাখুন। চোখ দুটো বুজে নিজেকে বোঝান যে, ক্ষুধা আপনাকে নয়, বরং আপনিই ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও এই অযাচিত ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যস্ত থাকুন অন্য কোন কাজে।

৩. ক্লান্তির সময় অতিরিক্ত খাবার গ্রহন
খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লেই ক্ষুধা বেড়ে যায় আপনার? এক্ষেত্রে নিজের বাসায় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। কারণ, ক্লান্ত মন ও মস্তিষ্ক যখন এটা বুঝতে পারবে যে খাবার বাসাতেই আছে তখন তার ক্ষুধার অনুভূতি একটু হলেও কমে যাবে। এছাড়া একটা খাবার তালিকা তৈরি করুন। আর সেই তালিকার সাথেই একদম আটকে থাকুন সবসময়।

পড়ুন  অসহনীয় গরমে ঘাম কমানোর উপায়

৪. আবেগজনিত কারণে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন
এটা খুব অহরহই ঘটে থাকে যে, কারো কাছ থেকে কষ্ট পেলে, অভিমান করলে, নিজেকে শান্ত করতে, আবেগ চাপা দিয়ে রাখতে খাবারের সাহায্য নেন অনেকেই। তবে এটা না করে বরং সেই মানুষ ও ঘটনাগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন আপনি। যাদের উপস্থিতিতে আবেগের শিকার হন আপনি আর খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায় আপনার। এড়িয়ে চলুন তাদেরকে কিংবা সরাসরি নিজের সমস্যাটিকে নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। প্রতিবার ক্ষুধা লাগলে নিজেকে প্রশ্ন করুন- আমার কি ক্ষুধা লেগেছে, নাকি আমি আবেগের বশবর্তী হয়েছি? উত্তরই পথ দেখাবে আপনাকে।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.