...

নারীদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার কিছু লক্ষণ

ডায়াবেটিস রোগটি আজকাল খুব সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। নারী ও পুরুষ সমান ভাবে এই রোগটির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। বেশির ভাগ সময় নারীরা গর্ভাবস্থায় এক ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। আর সব নারীরাই ৩ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে সব ডায়াবেটিসেরই লক্ষণ এবং উপসর্গে খুব একটা তারতম্য থাকে না।তিন ধরনের ডায়াবেটিসের লক্ষণই নারীদের মাঝে প্রায় একই রকম। নারীদের মাঝে সাধারণত কিছু লক্ষণ দেখা যায় যা দ্বারা আগেই ডায়াবেটিস সনাক্ত করা সম্ভব। এখানে নারীদের ডায়াবেটিস হবার কিছু লক্ষণ উল্লেখ করছি যদি কারো মাঝে এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তবে অবশ্যই দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।ডায়াবেটিস

নারীদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার কিছু লক্ষণ

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় ডায়াবেটিস প্রচণ্ড ওজন বাড়া বা কমার জন্য দায়ী। দেহের ওজনের উঠানামা ডায়াবেটিসের বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ। তবে ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া হয়তো অন্য কোন রোগের বা ইনফেকশনের লক্ষণও হতে পারে কিন্তু ভালো হয় যদি দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া হয়। অনেক নারীর ক্ষেত্রে ওজন হঠাৎ কমে যেতে দেখা যায় হয়তো তাদের খাবার ইচ্ছে কমে যাওয়ার ফলে আবার অনেকের ওজন বেড়ে যায় অনেক বেশি ক্ষুধা লাগার কারণেও। তাই ওজনের হঠাৎ উঠানামা হতে পারে নারীদের মাঝে ডায়াবেটিসের অন্যতম একটি লক্ষণ।

পড়ুন  জেনে যে একটি পাতা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে

ঘন ঘন পিপাসা লাগা
নারীদের ডায়াবেটিস হবার আরো একটি প্রাথমিক লক্ষণ হলো ঘন ঘন পিপাসা লাগা। কোনো ভাবেই পিপাসা নিবারন হয় না এবং সব সময় পানির প্রয়োজন হয়। এটা হয় যখন নারীদের মাঝে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। তখন তারা অনেক বেশি পানি পান করেন তাদের পিপাসা মেটানোর জন্য। এতে করে তারা অন্য খাবার খাওয়ার প্রয়োজন ও অনুভব করেন না। পানি পান করা যদিও স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ নয় যদি না সেটা ডায়াবেটিস বা অন্য কোন রোগের লক্ষণ না হয়। তাই যদি দেখা যায় যখন কোনো নারী অনেক বেশি পানি পান করছেন এবং খুব বেশি পিপাসা অনুভব করছেন তাহলে অবশ্যই তার ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

ক্লান্ত বা অবসন্ন লাগা
ক্লান্ত লাগা নারীদের ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ের একটি সাধারণ লক্ষণ। ক্লান্তি এবং অবসন্নতা নারীদের শারিরিকভাবে দুর্বল ও শক্তিহীন করে দিতে পারে। যদিও ক্লান্তি বা অবসন্নতা অন্য কোনো রোগের লক্ষণও হতে পারে। তবে ভাল হয় যদি ঘন ঘন এমন হয় তবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেয়া। কারণ অনেক সময় এই অবসন্ন ভাব এত বেশি থাকে যে কোনো ধরনের শারীরিক কাজ বেশীক্ষণ করার শক্তি পর্যন্ত থাকে না দেহে। এই অবসন্নতা থেকেই বিষণ্ণতা এবং মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়।

পড়ুন  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস থেকে বাঁচবেন কিভাবে?

ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
মূত্রের মাধ্যমে দেহের সমস্ত দূষিত পদার্থ দেহে থেকে বের হয়ে যায়। দেহের দূষণ দূর করা হয় মূত্রের মাধ্যমেই তাই ঘন ঘন মূত্রত্যাগ খারাপ নয়। তবে সেটা যদি হয় প্রতিঘন্টায় বা তার চেয়েও কম সময়ের ব্যবধানে হয় তাহলে এটা অবশ্যই ডায়াবেটিসের বেশ বড় ধরনের লক্ষণ যা কোনো ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ঘন ঘন মূত্রত্যাগের কারন সাধারণত দেহের রক্তের শর্করার মাত্রার ভারসাম্যহীনতা। এই অভ্যাস খুবই অস্বস্থিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং দেহের শক্তিও অপচয় হয়। তাই এই লক্ষণ দেখে দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব
ডায়াবেটিস রোগীদের যেকোনো ক্ষত নিরাময় হতে অনেক সময় লাগে। তাই যদি দেখা যায় যেকোনো ক্ষত শুকাতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে তাহলে সেটা কোনো ভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

উল্লেখিত লক্ষণ গুলো শুধু যে নারীর ক্ষেত্রেই হবে এমন কোনো কথা নেই তবে নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। তাই এসব লক্ষণের কোনোটিও যদি দেখা যায় তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

পড়ুন  শরীরের জন্য কাঁচা রসুনের উপকারিতা গুলো জেনে রাখুন

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.