![]() |
উকুনের বংশ ধ্বংস করার সহজ উপায় |
উকুনের এর কবলে যারা পড়েছেন তারাই এর যন্ত্রনায় বেশ ভালো করে বুঝতে পারেন।উকুন সাধারণত বাড়ির কাজের মেয়ে ও ইস্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে।উকুন সাধারণত নোংরা ত্বকে থাকতে পছন্দ করে, যাদের চুলে ময়লা তাদের চুলে উকুন বাসা বাধে। সাধারণত কোথাও বেড়াতে গেলে রাতে যার তার কাছে ঘুমালে, বেড়াতে গিয়ে অপরের চিরুনী ব্যবহার করলে বাচ্চারা উস্কুলে অন্য বাচ্চাদের সাথে মিশলে ইত্যাদি কারণে উকুনের অবির্ভাব ঘটে।উকুনের এই সমস্যা তেকে রেহাই পেতে অনেকে বাজারের উকুননাশক সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহাার করে থাকেন।মনে রাখবেন উকুননাশক সাবান ও শ্যাম্পু চুলের সর্বনাশ ডেকে আনে।সাময়িক সময় উকুনের সমস্যা দূর হবে কিন্তু কিছুদিন পরই ঠিক আবার ফিরে আসে সেই উকুন। তাহলে কী করবেন? আসলে উকুন দূর করা কয়েক মিনিটের খেল মাত্র!
চুলের মাঝে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে উকুন মরে যাবে। এই রক্ত চলাচল বন্ধ করিয়ে দেয়াটাই হচ্ছে আসল।
* উকুন নির্মূল করার জন্য মাথায় চুলে পেট্রোলিয়াম জেলী বা এমন কোন পদার্থ মেখে রাখুন। আপনি চাইলে মেয়নিজ ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সেটা বেশ দামী হয়ে যায়। মেয়নিজ আপনার চুলের জন্য ভালো। উকুন তো মারবেই, সাথে চুলকেও নরম ও মোলায়েম করে তুলবে। মেয়নিজ ব্যবহার করলে সাথে বেশ অনেকটা পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। পেঁয়াজের সালফার উকুন মারতে সহায়ক।
* মেয়নিজ বা পেট্রোলিয়াম জেলী মেখে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বসে থাকুন (যত বেশী সময় রাখবেন ততই ভালো), তারপর হাত দিয়ে চুল থেকে মেয়নিজ/ভ্যাসেলিন সরিয়ে উকুন নাশক চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। এতে বড় বড় উকুন থাকলে সব ঝরে যাবে।
* চুল সঠিকভাবে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার মেখে রাখুন আরও মিনিট পাঁচেক। এই সময়ে চুল আরেকবার ভালো করে উকুন নাশক চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন।
* চুল ধুয়ে ফেলুন। এবং সম্ভব হলে ধোয়া চুল নিম পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। (পানিতে বেশী করে তেজপাতা দিয়ে আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে ছেঁকে নেবেন। এই পানি উকুনের বংশ নির্মূল করতে সহায়ক।)
* চুল শুকিয়ে গেলে আরেকবার উকুন নাশক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। তবে আঁচড়ানোর আগে চিরুনি ধুয়ে নেবেন অবশ্যই।
* যেদিন চুলে এই কাজ করবেন, সেদিনই আপনার বিছানার চাদর থেকে শুরু করে বালিশের কাভার ও সমস্ত আধোয়া কাপড় ধুয়ে ফেলবেন গরম পানি দিয়ে, যেন এসব কাপড়ে রয়ে যাওয়া উকুন বা উকুনের ডিম চুলে ফেরত আসতে না পারে।
* নিজের চিরুনি থেকে শুরু করে হেয়ার ব্যান্ড পর্যন্ত সবকিছুই বদলে ফেলুন বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। একটু উকুনের ডিম থেকে গেলেও সেটা থেকে ১০০ উকুন জন্ম নেবে।
* নিয়ম মেনে করতে পারলে প্রথমবারেই উকুন চলে যাবে। উকুন বেশী হয়ে থাকলে বা আপনার ব্যবহার্য জিনিস ভালোভাবে পরিষ্কার না হলে ২/৩ বার ওয়াশ লাগতে পারে। এই ট্রিটমেন্ট চুলের কোন ক্ষতি করে না। আপনি প্রত্যেক সপ্তাহেই করতে পারেন এটি।
আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য দিতে আপনার ডক্টর সর্বদা আপনাদের পাশে আছে। আপনার সুস্থ্য , সুন্দর জীবন নিশ্শ্চি করতে নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর সাইটটি।