...

সহবাসকালে পুরুষদের যে সব কাজে সঙ্গিনী অতিবিরক্ত হয়

 

সঙ্গিনী

পুরুষদের যে সব কাজে সঙ্গিনী অতিবিরক্ত হয়

যৌন মিলনে সব পুরুষই তাদের সব কৌশল ও দক্ষতা কাজে লাগাতে চাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময় পুরুষের অনেক ব্যবহার নারী সঙ্গিনী যৌন মিলনে বিরক্ত বোধ করে। চলুন দেখে নিই মিলনকালে ছেলেদের যে সব কাজে মেয়ে সঙ্গিনী বিরক্ত হয় ।

১. বীর্যপাতের পূর্বে সঙ্গিনীকে সতর্ক না করাঃ

যখন যোনির ভেতরে কনডমবিহীন লিঙ্গ থাকবে, তখন বীর্যপাতের পূর্বে কেন সঙ্গিনীকে সতর্ক করতে হবে তা আশা করি বলে দিতে হবে না। কারন আপনার সঙ্গিনী বার্থকন্ট্রোলে নাও থাকতে পারে। আর ও যখন আপনার লিঙ্গ চুষবে, বিশেষ করে প্রথমবার, তখন অবশ্যই ওকে সাবধান করতে হবে। কারন বীর্যপাতের স্বাদ ও গন্ধ অনেকটা সমুদ্রের নোনা পানির সাথে ডিমের সাদা অংশের মিশ্রনের মত; অনেক মেয়ের তা ভালো নাও লাগতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সাবধান।

দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা ( প্রথম পর্ব )

২. সঙ্গিনীর মাথা নিচের দিকে চেপে ধরাঃ

সঙ্গিনী যদি Aggressive হয়ে ছেলের দেহে আদর করতে থাকে। যেমন, ছেলের বুকে জিহবা দিয়ে চেটে দিতে থাকে তবে তারা অনেক সময় মেয়েটির মাথা ঠেলে নিচে তার লিঙ্গের কাছে নিয়ে যেতে চায়। এরমকমটা করা যাবে না। কারন মেয়ে যখন Aggressive মুড এ থাকবে তখন সেই চাবে আপনাকে Control করে আনন্দ দিতে।

 

৩. অনেক্ষন ধরে মেয়েকে উপরে রেখে মৈথুন করতে দেয়াঃ

স্বভাবতই মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় দূর্বল তাই তাকে অনেক্ষন ধরে উপরে থেকে আপনাকে থাপ দিতে দেওয়া উচিত নয়। এতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাছাড়াও ও যখন আপনার উপরে থাকবে তখন আপনিও নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকবেন না যেন…ওর স্তন গুলো টিপে দিন, আদর করুন, মাঝেমাঝে ওর মুখখানি টেনে এনে চুমু খান যেন ও একঘেয়ে হয়ে না পড়ে।

পড়ুন  বিয়ের পর ফুলশয্যার লাস্ট মিনিট টিপস জেনে নিন

নারীদের যোনি চোষার বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নিন

 

৪. সঙ্গিনী লিঙ্গ চুষার সময় নড়াচড়া করাঃ

সঙ্গিনী লিঙ্গ চুষার সময় নড়াচড়া করলে এটা তার জন্য যথেষ্ট বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়। ওই যা করার করবে, আপনি নিজে থেকে আপনার লিঙ্গ ওর মুখে ঠেলে দিতে যাবেন না। ওর মাথা চেপেও ধরা যাবে না। মেয়েকে লিঙ্গ চুষতে দেওয়ার সময় সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শুয়ে থাকা, বা বিছানার কিনারায় বসে থাকা, দাঁড়ানো নয়।

 

৫. Porn video থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করাঃ

মনে রাখবেন পর্ন ভিডিওতে যা দেখান হয় তার সবই সত্য নয়। বেশিরভাগ পর্ন ভিডিওতে যেসব মেয়েরা পারফর্ম করে তারা সবাই সোজা বাংলায় ডগি টাইপের। তাই তারা তাদের মুখের উপর ছেলেদের বীর্য ফালানো, বীর্য খেতে, পিছনদিয়ে (নিতম্বের ফুটো) ছেলেদের লিঙ্গ ঢোকানো ইত্যাদি পছন্দ করা দেখে কেউ বিভ্রান্ত হতে যাবেন না। বাস্তবের চিত্র অনেকাংশেই ভিন্ন। এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গিনীর সাথে খোলামেলা হলেই তার পছন্দ অপছন্দ পরিস্কার হয়ে যাবে।

 

৬. সঙ্গিনীর  ছবি তোলাঃ

আহা! এতক্ষনে আসল কথায় এলাম। বিভিন্ন সাইটে বাংলাদেশের যেসব পর্ন দেখা যায় তার ৯০% হল গোপন ক্যামেরায় তোলা। তবে আমি যারা গোপন ক্যামেরায় এভাবে ছবি তুলে তাদের মানা করতে যাবো না, কারন জানি কোন লাভ নাই, তারা এমনটি করবেই। তবে অনেক ছেলে আছে যারা সঙ্গিনীকে দেখিয়েই ছবি তুলে বা ভিডিও করে। এরকম অবস্থায় আপনার সঙ্গিনী যদি নেহায়েত রাজি না হয় তবে তাকে ছবি তুলতে দেওয়ার অনুরোধ করতে যাবেন না। কারন “তোমার একটা ছবি তুলি?” এই কথা ওকে বললে তার কানে এই কথাটাও বাজবে, “আমার বন্ধুদের দেখানোর জন্য বা সাইটে পোস্ট করার জন্য”

পড়ুন  বিয়ের কয় দিন পর বাসর রাত হয়, সে রাতে কি করতে হয়?

 

৭. সঙ্গিনীর জন্য কষ্টকর পজিশনে সেক্স করাঃ

এমনকোন পজিশনে সেক্স করতে যাবেন না যা সঙ্গিনীর জন্য কষ্টকর হয়ে উঠে।
৮. সঙ্গিনীর অনিচ্ছায় পিছন দিয়ে ঢুকানোঃ
এই ভুলটুকু কোনমতেই করবেন না। ছেলেদের পিছনের ফুটোয় কিছু ঢুকালে তার সাহায্যে তার প্রস্টেট গ্রন্থি নামক এক অঙ্গে আনন্দ দেয়া যায়, একে ছেলেদের একপ্রকার অর্গাজম বলে (বিস্তারিত পরে)। কিন্তু মেয়েদের প্রস্টেট গ্রন্থিই নেই। তাই তাদের জন্য পিছন দিয়ে লিঙ্গ ঢুকানো খুব সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। তাই শুধুমাত্র সঙ্গিনী চাইলেই এটা করতে হবে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক সেক্স পজিশন

৯.সঙ্গিনীর সাথে  গৎবাধা সেক্সঃ

অনেকছেলেই যতবার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হয় তারা একই রকম ভাবে সেক্স করে এর মজাটাই নস্ট করে ফেলে। তাই কিছুদিন পরপরই নতুন কিছু চেষ্টা করতে হবে। যেমন নতুন নতুন পজিশনে সেক্স করা, সঙ্গিনীর স্তনে চকলেট মাখিয়ে চোষা, জিহবা দিয়ে ওর পিঠে ড্রইং করার চেষ্টা ইত্যাদি।

 

১০. সঙ্গিনীর অর্গাজমের কেয়ার না করাঃ

আপনার অর্গাজম যদি আপনার সঙ্গিনীর আগেই হয়ে যায় তবুও তার যোনি চুষে, আঙ্গুল ঢুকিয়ে যেকোনভাবে হোক তারও অর্গাজম করিয়ে দিতে হবে।

 

১১. এলোমেলো ভাবে সঙ্গিনীকে  ‘লাভ বাইটস’ দেওয়াঃ

সেক্সের সময় মেয়েরা হাল্কা পাতলা কামড় খেতে পছন্দ করে। লাভ বাইট মানে শুধু কামড়ই নয়। চামড়ার কোন স্থানে বেশ কিছুক্ষন ধরে একনাগারে চুষতে থাকলে, সেখানে গাঢ় লাল একটা দাগ পড়ে যায়, ওটাকেই লাভ বাইটস বলে। বিশেষ করে যারা ফর্সা তাদের এই দাগটা বেশি ফুটে থাকে। এই দাগ প্রায় একদিন ধরে ফুটে থাকে। তাই এমনকোন যায়গায় এভাবে চুষবেন না যেখানে এই দাগ স্পষ্ট দেখা যায়। যেমন, গলা, গাল ইত্যাদি। কারন এই দাগ মেয়েটির জন্য পরে লজ্জার কারন হবে।

পড়ুন  বীর্য পান করা কী আসলে ক্ষতিকর?

 

১২.সঙ্গিনীকে  খিস্তিপাত করাঃ

অনেকেই আছেন সেক্সের সময় নানা খিস্তিপাত তথা বাজে কথা বলতে থাকেন। এ ব্যপারে একটু সাবধান থাকবেন। আপনার সঙ্গী যদি চায় তবেই খিস্তিপাত করবেন। অনেক মেয়ে সেক্সের সময় খিস্তিপাত সহ্য করতে পারে না, তাদের মজার অর্ধেকটাই এতে নস্ট হয়ে যায়। তাই সঙ্গিনী না চাইলে এ অভ্যাস দূর করার চেষ্টা করতে হবে

 

১৩. বীর্যপাত করেই সঙ্গিনীর কাছ থেকে সরে যাওয়াঃ

এই ভুলটা আমাদের দেশের ৮০% ছেলেরাই করে থাকে। ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই অর্গাজম যদি একসাথেও হয় তবুও মেয়েরা চায় সেক্স শেষ হলে ছেলেরা আরো কিছুক্ষন তাকে আদর করুক। তাই বীর্যপাত করেও সঙ্গিনীকে বেশ কিছুক্ষন সময় দিতে হবে।

নারীদের যোনি টাইট বা সঙ্কোচনের উপায় কি?

আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না। মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন, আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব। ধণ্যবাদ আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটের সাথে থাকার জন্য।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

One comment

  1. thanks.all the best

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.