
আমাদের অনেকের ত্বকেই বিভিন্ন কারনে সৃষ্ট কালো দাগ, ব্রণের দাগ বা যেকোনো কোন প্রদাহের কারনে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। এটা খুব বিরক্তিকর ও কষ্টকরও বটে। তাই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারের মাধ্যমে বা ঔষধের মাধ্যমে বা লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে এই অবস্থার চিকিৎসা অনেক সময় করা সম্ভব হলেও তা বেশ ব্যায়বহুল এবং অপ্রাকৃতিক। তাই সৌন্দর্যবর্ধক প্রসাধনীর জন্য অতিরিক্ত বেশি টাকা খরচ না করে যদি নরম, মসৃণ ও দাগহীন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে একটি সাধারণ ও কার্যকরী একটি ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু কি কারনে এসব সমস্যার সৃষ্টি হয় চলুন তা আগে জেনে নিই। যে রাসায়নিক উপাদানটি আমাদের ত্বকের রঙের জন্য দায়ী তার নাম হচ্ছে মেলানিন। এই উপাদানটি যদি ত্বকের যেকোনো এক স্থানে বেশি পরিমান উৎপন্ন হয় তাহলে সেখানে কালো কালো দাগের সৃষ্টি হয়, তিল বা ত্বকের রঙ থেকে গারো ছোপ ছোপ দাগের সৃষ্টি হয়। এই ধরনের গাঢ় বা কালো দাগ সাধারণত হাইপার পিগমেন্টেশন নামে পরিচিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসবের কারন হচ্ছে হরমোনের উঠানামা, বেশি সূর্যের আলোতে থাকা এবং কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
ত্বকের এসব কালো দাগ বা হাইপার পিগমেন্টেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে
লেন্টিজিনেস
এই ধরনের ত্বকের দাগ গুলো সূর্যের আলোতে বেশি থাকার ফলে এর অতিবেগুনী রস্মির ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে হয়ে থাকে।
মেলাজমা
থাইরয়েডের সঠিক কার্যকারিতার অভাবে এবং বিভিন্ন হরমোনের পরিমানের হ্রাস বৃদ্ধির কারনে মুখের ত্বকে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
প্রদাহজনিত হাইপার পিগমেন্টেশন(PIH)
কোন আঘাতের কারনে ত্বকে কালো দাগ যেমন পুড়ে গেলে, ব্রণের কারনে বা অন্য কোন কারনে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের গাঢ় বা কালো দাগের সৃষ্টি হতে পারে।
মাত্র ৩টি উপাদানে তৈরি এই প্রাকৃতিক ঘরোয়া মাস্কটির সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী।এতে থাকে মধু, বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েল। মধু ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও লোমকূপের ভাঁজ দূর করে ত্বকেকে করে তুলে প্রাণবন্ত, সতেজ এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে বেকিং সোডা হচ্ছে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েট এজেন্ট যা ত্বকের প্রদাহ দূর করে এবং রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়।
যা যা লাগবে
– ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা
– আধা চামচ মধু
– ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন
একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান নিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে যতক্ষন না ভালো একটি পেস্ট পাওয়া যায়। মুখ ভালো করে ধুয়ে মাস্কটি লাগাতে হবে এবং ১০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সুন্দর ত্বক পেতে সপ্তাহে ২ ব্যবহার করুন।
লেখক
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)
আপনার যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনার পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর health সাইটে।মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন।ধন্যবাদ
সূত্র: প্রিয় লাইফ