শীতকালের সাথে সাথে একদিকে যেমন ধুলা, শৈত্যপ্রবাহ, রুক্ষ ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, আরেকদিকে বাজারে ওঠে শীতের বিশেষ ফল ও সবজি যা এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে আমাদের শরীরকে শক্তি দেয়। শীতের খুবই উপকারী একটি সবজি হলো গাজর, যা খাওয়া যায় বিভিন রূপে। গাজরের হালুয়ার তো কোনো তুলনাই হয় না। আর তা ভাজি, তরকারি কিংবা সালাদেও অনন্য স্বাদ এনে দেয়। তা যেমন কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমাতে কাজে আসে, তেমনি টাটকা গাজর শরীরকে অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেয়। গাজর থেকে পুষ্টি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তার জুস পান করা। শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে যেহেতু টাটকা গাজর পাওয়া যায় না, তাই এই মৌসুমে গাজর নিয়মিত খাওয়াই উচিত। জেনে নিন নিয়মিত গাজরের জুস পানের কিছু উপকারিতা-
শীতের সবজি গাজরের জুস পানের কিছু উপকারিতা জেনে নিন
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস পানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বলশালী হয়। কারণ এতে আছে দরকারি ভিটামিন ও মিনারেল যেমন ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন কে, ফসফরাস ও পটাসিয়াম। আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের বিপক্ষে লড়তে এগুলো কাজে আসে।
২) ত্বক সুন্দর করে
শীতকালে ত্বকে দাগ, ছোপ ও শুষ্কতার সমস্যা বেড়ে যায় অনেকগুনে। কিন্তু এই সব সমস্যা দূর করতে পারে গাজরের জুস। গাজরের জুস থেকে পুষ্টি পাওয়া যায় দ্রুত। তা ত্বকের কোষ সুস্থ ও তরুণ রাখে, দাগ দূর করে ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
৩) দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
চোখ ভালো রাখতে সবচেয়ে ভালো খাবারটি হলো গাজর। এতে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ থাকায় তা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে কাজে আসে। আপনার যদি ভিটামিন এ’র অভাব থাকে, তাহলে তা দ্রুত পূরণ করতে পারবে গাজরের জুস। শুধু তাই নয়, গাজরের জুসে বিট, আমলকি ও আপেল যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদ যেমন বাড়ে তেমনি বাড়তি উপকারিতা পাওয়া যায়।