...

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আপনার করনীয়

স্ট্রোক প্রাণঘাতি না হলেও অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত হতে শুরু করে যা অনেকসময় প্রাণঘাতীও হয়ে থাকে। স্ট্রোকের কিছু ঝুঁকি আছে যা কমানো সম্ভব। আপনার যদি স্ট্রোকের কারণগুলো জানা থাকে এবং এটি প্রতিরোধে জন্য যা করণীয় তা মেনে চললে আপনার স্টোকের ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করতে পারবেন। কিছু উপায়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম এমন কিছু উপায়।স্ট্রোকের ঝুঁকি

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আপনার করনীয়

বেছে খান
কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার খাওয়ার আগে একটু চিন্তা করুন। কী খাচ্ছেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। রক্তে কোলেস্টেরল, সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করুন নির্দিষ্ট সময় পর পর। আঁশযুক্ত শাক সবজি বেশি পরিমাণে খাবেন। তেলযুক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন। মাছের তেলের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্ট্রোক প্রতিরোধ করে থাকে। আপনি চাইলে ফিশ লিভার অয়েল বা ওমেগা ৩ ক্যাপসুল খেতে পারেন।

ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান স্ট্রোকের প্রধান কারণ। এটি আমাদের ফুসফুসকে নষ্ট করে দেয়। ধূমপানের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়়িয়ে দেয়। “নিয়মিত ব্যায়াম ওজন কমানোর পাশাপাশি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে, স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য”।

পড়ুন  রসুন খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে ৫ দিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। তা জগিং হোক বা স্কিপিং বা জোরে হাঁটা হোক কিংবা যোগাসন যেটা করতে আপনি পছন্দ করেন সেটি করুন। সকালে এবং দুপুরে খাবার আগে ১৫ মিনিট হাটুন। এটি আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দিবে।

ওজন কমান
শরীরে অতিরিক্ত মেদ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বহু গুণ। অতিরিক্ত মেদের কারণে শরীরের কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক কাজে বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।

অল্প পরিমাণে চকোলেট খান
সপ্তাহে এক থেকে দুইবার চকোলেট খাওয়া শতকরা ৩০ ভাগ স্ট্রোকের ঝুকি কমিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত সামান্য পরিমাণে চকোলেট খান। ডায়বেটিক রোগীরা চকোলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

হাইপারটেনশন
নিয়মিত রক্তচাপের পরীক্ষা করাতে হবে। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় রক্তচাপ উঠা নামা করছে, রক্তচাপের প্রকৃতির এই ধরণের তারতম্য হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খান, এবং দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করুন।

নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান
প্রতি ৬ মাস পর পর ডেন্টিস্টের কাছে যান।এই একটি কাজ ২৪% হৃদরোগের এবং ১৩% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। দাঁতে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা ধরা পরলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পড়ুন  জেনে নিন থানকুনি পাতার ঔষধি গুণ গুলো

স্ট্রেস দূরে রাখুন
স্ট্রোকের আরেকটি অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস। দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ আপনাকে স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়। দুশ্চিন্তাকে জীবন থেকে দূরে রাখুন, স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে অনেকখানি।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.