...

অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা কমাতে ১০টি খাবার

রোগশোকের দুনিয়ায় পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত অসুখবিসুখ বেশ বড় একটি জায়গাজুড়ে রয়েছে। পাকস্থলীতে অম্ল বা অ্যাসিডের উপস্থিতির পরিমাণ বেশি হলে দেখা দেয় বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা। যেমন বুকে, পিঠে বা পেটে ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া করা। এই সমস্যাগুলো অ্যাসিডিটি নামেই পরিচিত। অ্যাসিডিটি যেকোনো বয়সী মানুষের হতে পারে। তবে যাঁরা সাধারণত খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করেন বা ভাজাপোড়া ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার খান, তাঁদের অ্যাসিডিটি হবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। ভেজালযুক্ত খাবারও অ্যাসিডিটির অন্যতম একটি কারণ। নিয়ম মেনে চললে অ্যাসিডিটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। তবে অ্যাসিডিটি যদি হয়েই যায়, তবে তা উপশমের ব্যবস্থা করাই শ্রেয়। অ্যাসিডিটি উপশমের উপায় আমরা নানা ধরনের ওষুধপত্র খেয়ে থাকি। যেগুলো অ্যাসিডিটি কমায় বটে, সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে! পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ঘরোয়া উপায়েও অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা উপশম করা যায়। রইল তেমনই কিছু উপায় –অ্যাসিডিটি

অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা কমাতে ১০টি খাবার

১) অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা তাত্‍ক্ষণিকভাবে উপশম করতে ঠান্ডা দুধের জুড়ি নেই! অ্যাসিডিটির ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া শুরু হলে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খেয়ে নিন।

২) দুধের মতো দইও চমত্‍কার ‘অ্যান্টাসিড’ হিসেবে কাজ করে। অ্যাসিডিটির শুরুতেই কয়েক চামচ টক বা মিষ্টি দই খান। এটা খুব দ্রুত কাজে দেবে।

পড়ুন  রোজাদারদের ইফতার , রাতের খাবার ও সাহরি তে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার

৩) অ্যাসিডিটি হলে অনেকেরই অনবরত ঢেঁকুর উঠতে থাকে যা খুবই অস্বস্তিকর। এই অস্বস্তি কাটাতে কয়েকটি টাটকা তুলসীপাতা মুখে নিয়ে ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন। অস্বস্তি কেটে যাবে। জ্বালাপোড়া দূর করতে তুলসীপাতার সাথে এক টুকরো গুড়ও মুখে নিয়ে চিবুতে থাকুন।

৪) চোয়া ঢেঁকুর উঠতে থাকলে বা জ্বালাপোড়া করলে কয়েকটি কাঠবাদাম চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৫) অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা উপশমে লবঙ্গও বেশ উপকারী। কয়েক টুকরো লবঙ্গ ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন। দ্রুত অস্বস্তি ও যন্ত্রণা উপশম হবে।

৬) তরমুজ, শসা, কলা অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা উপশমে সহায়তা করে। তাই অ্যাসিডিটির আভাস পেলেই খেয়ে নিতে পারেন এসব ফল।

৭) পেট ফেঁপে গেলে বা ব্যথা করলে, টকটক ঢেঁকুর উঠলে আদা খুবই উপকারে আসে। অ্যাসিডিটির এসব সমস্যা শুরু হলে আদা ছোট ছোট করে কয়েক টুকরো করে কেটে নিন। আদার টুকরোতে সামান্য লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ পরপর চিবিয়ে খেতে থাকুন। কিছুক্ষণের ভেতরেই ফল পাবেন। যাঁদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁরা লবণ টেলে নিয়ে খেতে পারেন। লবণ খেতে না চাইলে মধু মাখিয়ে অথবা শুধু আদাও খেতে পারেন।

পড়ুন  পাকস্থলীর গঠন ও কার্যক্রম

৮) কাঁচা হলুদও অ্যাসিডিটির জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খান। এতে ক্রনিক অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। একই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

৯) পাঁচফোড়ন বা ডালমসলার একটি প্রধান উপকরণ হলো মৌরি। অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা উপশমে মৌরি খুবই উপকারী। আধা লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম মৌরি জ্বাল দিয়ে পানি কমিয়ে অর্ধেক করে ফেলুন। পানি ছেঁকে নিন। কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় পানিটা একটু একটু করে খান। অ্যাসিডিটির যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। শিশুদের খাওয়াতে হলে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।

১০) পুদিনা পাতার রসও অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা উপশমে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতার রস করে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়ে যায়। ক্রনিক অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে প্রতিবেলা খাবার পর দু চামচ করে পুদিনা পাতার রস খেলে ক্রনিক অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর হয়ে যায়।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.