...

সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

বর্ষাকাল এসে গিয়েছে আর তার সাথে বহন করে নিয়ে এসেছে নানা রকমের সর্দি কাশির অসুখ। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজলে সেটা কিন্তু আমাদের শরীরে বিভিন্ন ইনফেকশন নিয়ে আসে। ঠান্ডা লাগলে নিজেদের শরীরের ব্যাপারে অবহেলা করে থাকি এবং তার জন্য আমাদের পরে ভুগতে হয়। তাই আজ আমরা সর্দি কাশির থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নেব।সর্দি

সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

নুন জল
নুন জল দিয়ে গারগেল করা আমাদের সর্দি কাশির থেকে আরাম পেতে সাহায্য করে। প্রথমে একটি পাত্রে উষ্ণ গরম জল নিতে হবে। তারপর উষ্ণ গরম জলে নুন মিশিয়ে সেই নুন জল দিয়ে গারগেল করতে হবে। চাইলে নুনের সাথে হলুদও মেশাতে পারেন। নুন এবং হলুদ আমাদের সর্দি সারাতে সাহায্য করে এবং আমাদের গলা ব্যাথায়ও কমায়। তাছাড়া খাবার খাওয়ার সময় ঠান্ডা জলের জায়গায় গরম জল খেলে আমাদের গলায় আরাম হয় এবং সর্দী কাশিও তাড়াতাড়ি সেরে যায়। গরম জল আমাদের ফুলে যাওয়া টনসিলকে কমায় এবং ঠান্ডা লাগার ইনফেকশন শরীর থেকে বের করে দেয়।

পড়ুন  লম্বা হওয়ার জন্য যে সব খাবার খাবেন

আদার সাথে নুন বা তুলসী খাওয়া
একটি আদার টুকরোকে ছোট ছোট করে কেটে তার সাথে নুন মেশাতে হবে। তারপর ওই নুন মেশানো আদা মুখে নিয়ে কিছুক্ষন চিবোতে হবে। এই পদ্ধতিটি আমাদের সর্দি কাশি দূর করতে খুবই কার্যকরী। আবার আদা এবং তার সাথে তুলসী পাতা থেঁতো করে মধু মিশিয়ে আর একটি মিশ্রণ তৈরি করা যায়। এই মিশ্রনটি প্রচন্ড কার্যকরী সর্দি কাশি দূর করার জন্য। আদার সাথে তুলসী এবং মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি দূর হওয়ার সাথে সাথে আমাদের গলা ব্যাথ্যাও দূর হয় এবং আমরা গলায় আরাম অনুভব করি।

গরম দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেলে
দুধকে গরম করে তার মধ্যে হলুদ মেশাতে হবে। এই হলুদ দেওয়া দুধ আমাদের সর্দি কাশি দূর করতে সাংঘাতিক ভাবে উপকার করে। এই মিশ্রণটি খেলে খুব তাড়াতাড়ি আমরা সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারি। কাশি দূর করতেও এই হলুদ সহ দুধ খাওয়া খুব উপকারী। গরম দুধ আমাদের গলায় আরাম এনে দেয় এবং হলুদ আমাদের সর্দী কাশি দূর করে।

স্টিম নিলেও সর্দি কাশি দূর হয়
আমাদের সর্দি সারানোর একটি চট জলদি উপায় হল স্টিম নেওয়া। স্টিম নেওয়ার জন্য একটি পাত্রে গরম জল নিতে হবে এবং তার মধ্যে চা গাছের তেল বা ট্রি অয়েল মেশাতে হবে। এরপর আমাদের মুখটি ওই গরম জলের উপর রেখে মাথার উপরে তোয়াল দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে হিটপ্রুফ বাটি নেওয়া হয় যাতে গরম বাটি আমাদের ত্বকে না লাগে। খুব বেশি গরম লাগলে কিছুক্ষনের জন্য তোয়ালের থেকে বেরোনো যেতে পারে। এই পদ্ধতিটি দিনে ২-৩ বার ১৫-২০ মিনিট করলেই আমরা আমাদের শর্দি কাশি দূর করতে পারি খুব তাড়াতাড়ি।

পড়ুন  ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকতে করণীয়

গরম জলের সাথে মধুর এবং লেবুর রস মিশ্রিত সিরাপ
একটি পাত্রে গরম জল নিতে হবে। সেই গরম জলে ১ চামচ লেবুর রস এবং ২ চামচ মধু মেশাতে হবে। ব্যাস আর কি আমাদের সিরাপ তৈরি! এই সিরাপটি বানিয়ে দিনে অন্তত একবার খেতে হবে। এর ফলে আমাদের ঠান্ডা লাগা কমে যায় এবং তার সাথে সর্দি কাশি, মাথা ব্যাথাও দূর হয়। এই মিশ্রণটি আমাদের হজম করার শক্তিও বাড়ায়। তাহলে ঠান্ডা লাগলে এই সিরাপটি খেয়ে একবার তার গুণের পরীক্ষা করে নেওয়া করা উচিত।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.