...

সৌন্দর্য চর্চায় লবণ এর ব্যবহার কি জানেন? না জানলে এখনি জানুন

লবণ বা নুন​ হলো খাদ্যে ব্যবহৃত এক প্রকারের দানাদার পদার্থ যার মূল উপাদান হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অধিকাংশ স্থলজ উদ্ভিদের জন্য বিষবৎ। লবনের স্ফটিক তৈরির এর সাথে জৈব ইউরিয়ারূপে মূত্র ব্যবহার করা হয়।এর লবনাক্ততার জন্য স্বাদকে মৌলিক স্বাদের একটি বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এটি খাদ্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়।

লবণ

মানুষের খাদ্যে বিভিন্ন ধরণের লবণ ব্যবহার করা হয়। যেমন অপরিশোধিত সৈন্ধব লবণ (sea salt), পরিশোধিত খাবার লবণ, আয়োডিনযুক্ত লবণ, ইত্যদাই। লবণ দেখতে দানাদার, সাদাটে বর্ণের। সমূদ্রের পানি থেকে অথবা খনি থেকে লবণ আহরণ করা হয়।

লবণ একটি পানিগ্রাহী পদার্থ, তাই বর্ষাকালে লবণের মধ্যে পানি জমতে থাকে।এই পানিযুক্ততা রোধ করার জন্য বর্তমানে লবনের সাথে ইউরিন বা মূত্র যোগ করা হয়।

অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে , সৌন্দর্য চর্চায় লবণ এর ব্যবহার আছে। আপনার ডক্টরের পক্ষ থেকে চুলন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্বন্ধে।

সামুদ্রিক লবণে রয়েছে সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান যা ত্বক ও চুলের যত্নে বেশ উপকারী।

পড়ুন  পানি কম খেলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়

লবণ দিয়ে চুল, ত্বক এবং নখের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন পন্থা রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে দেওয়া হল।

ত্বকের যত্নে

পরিষ্কারক: ত্বক ও লোমকূপ গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে সামুদ্রিক লবণ। বাড়তি তেল দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে লবণ। তাছাড়া লবণে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণাবলী যা ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণ বা র‌্যাশ কমাতে সাহায্য করে।

এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে: প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে লবণ। সামুদ্রিক লবণের সঙ্গে খানিকটা লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করলে তা ত্বকে জমে থাক ধুলাবালি ও মৃতকোষ দূর করে ত্বককে পরিষ্কার ও কোমল করে তোলে। শুধু মুখের ত্বক নয় পুরো শরীরের জন্যই লবণ বেশ উপযোগী স্ক্রাব।

টোনার: পানিতে খানিকটা সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে ত্বকে স্প্রে করা হলে তা তেল শুষে নিয়ে ত্বকে আর্দ্রতা যোগায়। এছাড়া গরমে ত্বকে আরাম পেতে লবণ স্প্রে করা যেতে পারে।

মাস্ক হিসেবে ব্যবহার: ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্দ্রতা জুগিয়ে ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নিতে সাহায্য করে লবণ। লবণ দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহারে ত্বকের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় থাকে।

পড়ুন  প্রাকৃতিক রূপচর্চায় গোলাপের পাপড়ি

লবণের মাস্ক ত্বকে জমে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে। মাস্ক শুকিয়ে যাওয়ার সময় বিষাক্ত পদার্থ শুষে ত্বককে পরিষ্কার করে তোলে।

বাথ সল্ট: গোসলের পানিতে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে নিলে তা ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করে এবং শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

পেশির ব্যথা উপশমে লবণ: কুসুম গরম পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে ৩০ মিনিট শরীর ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এতে পিঠ, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশের পেশির ব্যথা উপশম হয়।

চুলের যত্নে

সামুদ্রিক লবণ খুশকি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে চুল ও মাথার ত্বক ঝলমলে হয়। মাথার ত্বকে জমে থাকা তেল শুষে নিয়ে ফাঙ্গাস জনিত সংক্রমণ রোধে সহায়তা করে।

নখের যত্নে: খানিকটা পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ গুলে নখ ডুবিয়ে রাখুন। লবণের খনিজ উপাদান নখ মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে নখ ফাটা ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যা হ্রাস পায়। এছাড়া নখ পরিষ্কার করে সাদা করে তুলতেও সাহায্য করে।

পড়ুন  ত্বকের সতেজতায় ঘরোয়া ফ্রুট ফেসিয়াল

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.