![]() |
নারীদের সাদাস্রাব এর লক্ষন এবং প্রতিরোধের উপায় সমূহ |
মেয়েদেরর্ মাসিক বা ঋতুস্রাব একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।যা একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরোনোর পর নির্দষ্ট সময় অন্তর অন্তর চলতে থাকে এবং এটা নির্দষ্ট বয়স শেষে আবার এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়।তবে অনেক মেয়েদের স্বাভাবিকভাবে ঋতুস্রাব প্রক্রিয়া নাও চলতে পারে। যাদের স্ববাবিকভাবে ঋতুস্রাব হয় না তারা জেনে নিন অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ১১ টি ভেষজ চিকিৎসা ।অনেকের আবার অতিররিক্ত period pain হয়। তবে আপনার ডক্টর bangla health tips এর আজকের টিপসটি হলো নারীদের সাদাস্রাব এর লক্ষন এবং প্রতিরোধের উপায় সমূহ নিয়ে। মেয়েদের অতিরিক্ত এবং দুর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব খুব বিব্রতকর এবং জরায়ুর মুখে ইনফেকশন হওয়ার অন্যতম কারন তা নিশ্চই জানি।।আপনার যৌন স্বাস্থ্যের সমতা রক্ষা করার জন্য, সাদাস্রাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাদাস্রাব এর মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলে সেটি ইনফেকশনের কারনও হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে মেয়েদের ১৩-১৯ বছরের , সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়ে শিশুর (এস্ট্রজেন হরমোন এর জন্য), প্রেগনেন্সির সময় স্বাভাবিক সাদাস্রাব হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় সাদাস্রাবের বহু কারণ রয়েছে। জেনে নিন মহিলাদের সাদাস্রাব কেন হয়?
অতিরিক্ত সাদাস্রাব-এর কারণ ও লক্ষন সমূহঃ
১। জরায়ুতে ব্যাকটেরিয়া জন্মালে। জরায়ু সব সময় ভেজা থাকে, তাই তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে।
২। ছোঁয়াচে যৌন রোগ।
৩। ইস্ট এর সংক্রামন ঘটলে।
৪। অতিরিক্ত সাদা স্রাব-এ কোমরে ব্যথা করে,
৫।গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব নিঃসরণ।
৬। তলপেট ভারি হয়ে থাকা।
৭। শরীর দুর্বল লাগা।
৮। চোখের নিচ গর্ত ও কালো হয়ে যাওয়া।
৯। বদ হজম।
১০। জরায়ুতে চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়া।
১১। আন্ডার গার্মেন্টস এ দাগ লেগে থাকা।
১২। মুখের মলিনতা নষ্ট হয়ে যাওয়া।
সাদাস্রাব প্রতিরোধে করনীয়ঃ
১। কখনও অনেক সময়ের জন্য খালি পেটে থাকা যাবে না।
২। খুব বেশি জরায়ু চুলকালে কুসুম গরম পানিতে লবন দিয়ে, জরায়ুর মুখ ভালো করে ধুতে হবে।
৩। জরায়ুর মুখ সবসময় পরিষ্কার এবং শুকনো রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে জরায়ুর মুখ ভেজা থাকে বলেই বেশি ইনফেকশন হয়।
৪। স্যানিটারি ন্যাপকিন ৫ ঘণ্টা অন্তর অন্তর বদলাতে হবে।
সাদাস্রাব এর জন্য ডায়েটঃ
১। প্রতিদিন ২ চামচ টক দই খান।
২। ভাজাপোড়া খাওয়া একদমই বাদ দিতে হবে।
৩। অ্যালার্জি যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
জীবন যাত্রায় পরিবর্তনঃ
১। রাতে কম পক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
২। বেশি রাত জাগা যাবে না।
৩। ফাস্ট ফুড পরিহার করতে হবে।
সাদাস্রাব নিরাময়ে ঘরোয়া পদ্ধতিঃ
১। এলাচি দানা মেয়েদের জন্য খুব উপকারি। প্রতিদিন এলাচি খেলে শরীরে হরমোনের সমতা থাকে। সাদাস্রাব এর জন্য প্রতিদিন রাতে একটি গ্লাসে ৪/৫ টা এলাচি দানা দিয়ে রাখবেন। সকালে উঠে পানিটা খেয়ে ফেলবেন অথবা হারবাল চা-তে এলাচি দানা ব্যবহার করতে পারেন।
২। জরায়ুর মুখ ধোয়ার সময় ৫ চামচ ভিনেগার অথবা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং ১ চামচ লবন পানিতে মিশিয়ে ধুবেন, আরাম পাবেন।
৩। প্রতিদিন ১/২ কোয়া রসুন খেলে সাদাস্রাব কমবে।
৪। আধা চামচ বেকিং সোডা পানিতে গুলিয়ে জরায়ুর মুখ ভালো ভাবে ধুলে সাদাস্রাব কমবে।
সাদাস্রাব খুব বেশি আকার ধারন করলে ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে। জরায়ুর মুখ পরিষ্কার এবং শুকনো রাখলে, ইনফেকশন হওয়ার হার অনেক কমে যায়।
আপনার যৌন জীবনের যেকোন পিপাসা মিটাতে সহায়তায় আপনার ডক্টর সর্বদা রয়েছে আপনার পাশে।তাই যেকোন প্রশ্ন ও তার সমাধান পেতে ভিজিট করুন আপনার ডক্টর সাইটটি। প্রয়োজনে অঅপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন সাইটটি।ধন্যবাদ
সুত্রঃ প্রিয়.কম
Tags: সাদাস্রাব এর লক্ষন ও প্রতিরোধ সমূহ, সাদাস্রাব এর লক্ষন, সাদাস্রাব,সাদাস্রাবের কারণ, সাদাস্রাব, সাদাস্রাব হলে কী করতে হবে, সাদাস্রাব হলে করণীয়, সাদাস্রাবের ডাক্তারী টিপস, সাদাস্রাব থেকে মুক্তি, সাদাস্রাব দূর করার উপায়, সাদাস্রাব প্রতিকার, অনিয়মিত মাসিক, সাদাস্রাব প্রতিরোধের উপায়, মহিলাদের সাদাস্রাব, মাসিক, জরায়ু, তলপেটের ব্যাথা নিরাময়