...

ওর স্বামী প্রবাসে চলে যাওয়ার পর আমাদের সম্পর্ক আরও

প্রতিদিনই আপনার ডক্টর অনলাইন বাংলা স্বাস্থ্য টিপস পোর্টালের ফেসবুক ফ্যানপেজে অনেক ম্যাসেজ আসে। সব ম্যাসেজর উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।তাই পাঠকদের কাছে প্রশ্নটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয় (প্রশ্নকারীর নাম ও ঠিকানা গোপন রেখে)। আপনি ও আপনার সমস্যার কথা লিখতে পারেন অামদের ফেসবুক ফ্যানপেজে https://www.facebook.com/apoardoctor/ আজকের প্রশ্নঃ ওর স্বামী প্রবাসে চলে যাওয়ার পর আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে…

স্বামী

সমস্যাটা হচ্ছে সম্পর্কের। একটি মেয়ের সঙ্গে আমার দুবছররে সম্পর্ক। আমরা দুজনেই দুজনের প্রতি দুর্বল ছিলাম। দুজনেই সমবয়সি, তাই জানতাম আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ওটা ভেবেই চলতাম। কিন্তু ভালবাসা সব ভুলিয়ে দিত। একবছর আগে ওর বিয়ে হয়ে যায়। তখন আমার কিছু করার ছিল না। আমি এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী ছিলাম। ওরসঙ্গে কিছু হওয়ার কোনো উপায়ও ছিল না। আর কিছু করার সাহসও হয় নি, যেহেতু প্রথম থেকেই মনে ছিল যে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই বিয়ে টাকে মেনে নিতে হলো। শর্ত ছিল ওর বিয়ের পর আমরা বন্ধু হয়ে থাকব। যোগাযোগ থাকবে, মাঝে মাঝে কথা হবে।

পরকীয়া থেকে স্বামীকে বিরত রাখার ৮টি পরামর্শ জেনে নিন

কিন্তু আমি তখন বুঝেছিলাম- বিয়ের পরে যোগাযোগ রাখা খারাপ হবে। সবাই খারাপ বলবে। তাই যা চলে গেছে, তা গেছে। ভাগ্যে ছিল না তাই ওকে পাই নি। এই ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম। তারপর ওর বিয়ের তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পর ওর স্বামী দেশের বাইরে চলে যায়। আমি ওকে ভুলতে চেষ্টা করলাম অনেক। কিন্তু পারলাম না। মনে হয় কী যেন একটি নেই। ওর সব স্মৃতিগুলো আমি ডিলিট করে দিই। কিন্তু তবুও কেন যেন আমি পারতাম না কিছুই। ওর কথা মনে হতো আর কান্না করতাম। ও ছিল আমার প্রথম ভালবাসা ছিল, আমার স্বপ্নের কন্যা, সত্য তো তাই মনে হয়। ওকে ভোলার জন্য অনেকবার নতুন সম্পর্ক করার চেষ্টা করি। কিন্তু যখনই সম্পর্ক হতে যাবে তখনই ওর কথা মনে পড়তো। কিছু ভালো লাগত না। সম্পর্ক করতে পারতাম না।

পড়ুন  পিরিওড বন্ধ হবার পরদিন অসুরক্ষিত সঙ্গমের ফলে গার্লফ্রেন্ডের স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হচ্ছে...

যৌনসম্পর্ক নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে স্বামী স্ত্রীর কিছু বাধা নিষেধ!

যাহোক, ওর স্বামী দেশের বাইরে চলে যাবার পর হঠাৎ আমি ফোন দিই। কথা হয় বন্ধুর মতই। এভাবে কথা চলতে থাকে। কিন্তু তখন আমি ওকে এড়িয়ে চলতাম, তাচ্ছিল্য করতাম, কেন যেন আমার খুব রাগ উঠে যেত ওর উপর তখন। ওর খুব মন খারাপ হতো। মাঝে মাঝে আমার এসব আচরণের জন্য ও খুব কান্না করতো, কিন্তু আমি বুঝতাম না। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কখনই বন্ধু থাকতে পারে না। আমার ধারণা আমাদের মধ্যে সেটাই হলো। কীভাবে যেন মনের অজান্তে সম্পর্কে জড়িয়ে গেলাম। এভাবে চলতে থাকলো আর সম্পর্কটা আগের থেকেও গভীর হতে থাকলো। আমিও ভুলে গিয়েছিলাম যে ও বিবাহিতা। এ সম্পর্কের জন্য যে ওর সমস্যা হতে পারে সেটা মন থেকে একেবারে মুছে গেল। ও আমার প্রতি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল ভীষণ। জানতে পারি ও বিয়ের পর কোনোভাবেই স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে নি। কারো সঙ্গে কারো কথা মিলতো না। আমি বলতাম যদি ওখানে ভালো না লাগে তাহলে আমার কাছে চলে আসো। ও হাসতো আর বলতো- যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে কোনো একসময় আসবো। আমি ওর এ কথাটিকে একদম সিউর ধরে ফেলেছি। ঠাণ্ডা মাথায় কখনও ভেবে দেখি নি যে এটা কখনই সম্ভব না। তখন আমার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে ওর কাছে তখন ওর স্বামীকে ভালো লাগতো না। সহ্য করতে পারতো না।

পড়ুন  সঙ্গমের সময় কুকুরের লিঙ্গ আটকে যায় কেন ! মানুষের কি এমন আটকে যাওয়া সম্ভব?

সহবাস করার সময় স্বামী স্ত্রীর মারাত্মক ভূলের কারনে সন্তান প্রতিবন্দী হতে পারে

তার কিছুদিন পর ওর স্বামী দেশে ফিরে আসে। তখনও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। তখন শুনতাম- ওর কিছুই ভালো লাগে না, ও কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না। আমাকে বলতো- আমি যেন ওকে ভুলে না যাই। আমিও সম্মতি দিয়েছিলাম। ও ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদি আরও খারাপ কিছু হয় তখন! দ্বিতীয়বার ওর স্বামী আসার পর ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ খুব কমই হয়। অনেক দিন হয়ে গেল। এখন আমার ধারণা হচ্ছে আমার সঙ্গে সম্পর্ক হবার জন্যই ও বিয়ের পর সংসারে মনোনিবেশ করতে পারছে না। আবার আমাকে ভুলতেও পারছে না! ভিন্নও হতে পারছে না, কেন না শ্বশুর বাড়ির দিকে কোনো সমস্যা নেই। আবার এখন কোন ভাবেই স্বামীকে মেনে নিতে পারে না। আবার আমাকে ভোলার চেষ্টা করতে পারছে না। আমিও বুঝতাম কারণটি হচ্ছি আমি। আর আমাদের মধ্যে কিছু না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিছু করার পেছনে একটা কারণ লাগে। ও দুই দিকেই আটকানো। আমি বুঝছি যে সম্ভবত আমার কিছু হবে না, আর আমি আগে না বুঝে সম্পর্কটা চালিয়ে নিয়েছিলাম, কিন্তু এখন বুঝেও যদি চালিয়ে নিই- তখন ও সুখী থাকতে পারবে না। আমি না পারছি ওকে কিছু বলতে, না পারছি কিছু করতে। কেন যেন আটকে যাই। আমি এখন কী করবো? আমার কী করা উচিত? আমি কি কষ্ট করে হলেও ওর থেকে দূরে চলে যাব? নাকি অন্য কিছু করবো? প্লিজ, সমাধান দিন।

পড়ুন  বিয়ে হয়েছে ১২ বছর, এখনও আমার শ্বশুর আমাকে…

স্বামীর লিংগ ছোট হলে স্ত্রীর কি করনীয়?

উত্তর: ভাইয়া, আপনাদের সমস্যাটি আসলেই খুব জটিল, কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে হ্যাঁ, এটার সমাধান কঠিনই বটে। তাছাড়া আপনার চিঠি পড়ে আমার মনে হলো আপনি আর এই সম্পর্কটা চালিয়ে নিতে চাইছেন না। এবং মেয়েটির বিয়ে হয়েছে খুব ছোট বয়সে। দেখুন ভাই, এত ছোট বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়াটা রীতিমত অন্যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক যে স্বামীর সাথে সে মানিয়ে চলতে পারবে না। সেটার কারণ আপনি নন! আপনি না থাকলেও মেয়েটি সংসার জীবনে কখনো সুখী হতে পারবে, এমন গ্যারান্টি দেয়া যায় না। কারণ বিয়েটি তো স্বেচ্ছায় হয়নি। তাই প্রথমে আপনাকেই চিন্তা করে দেখতে হবে- আপনি কি মেয়েটিকে চান? আপনি কি তাঁকে বিয়ে করার সাহস রাখেন? আপনি কি মেয়েটিকে নতুন একটি জীবন দিতে পারবেন? আর আপনি সব পারলেও মেয়েটি কি পারবে?

উত্তরগুলো যদি “না” হয়, তাহলে কষ্ট করে হলেও নিজেকে সরিয়ে আনুন ভাই। এতে আপনাদের দুজনেরই ভালো হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন-
রুমানা বৈশাখী

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.