...

চুল জট মুক্ত রাখতে মেনে চলুন এই উপায়গুলো

আমাদের অসাবধানতায় অনেক সময় আমাদের মাথায় চুল জট বেধে যেতে পারে।চুল জট বেধে গেলে এটি একই সঙ্গে বিরক্তিকর আর যন্ত্রণাদায়ক।সাধারণ চুলের চাইতে কোঁকড়া চুলের জট আরও বেশি বেদনাদায়ক।এই জট থেকে ধুরে থাকার উপায় নিয়ে আপনার ডক্টরের আজকে এই পোস্ট।

চুল.PNG

চুল জট মুক্ত রাখতে মেনে চলুন এই উপায়গুলো

নিয়ম করে চুলের আগা ছাঁটুনঃ চুলের আগা ফাটার মানে হল আগা পাতলা হয়ে আসছে। আর পাতলা চুলে জটও বাঁধে সহজে। তাই আগা ফাঁটা Hair থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চুলের আগা ছেঁটে নিতে হবে। এতে অাপনার মাথায় জটও কম পড়বে এবং আপনার Hair ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও কমবে।

প্রতিদিন শ্যাম্পু নয়ঃ প্রতিদিন মাথায় শ্যাম্পু করা হলে এর প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে ফেলে। ফলে Hair শুষ্ক হয়ে যায় এবং গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মাথার ত্বকে স্বাভাবিক তেল আপনার মাথার Hair সুস্থ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে চুলে জট বাঁধে না। প্রয়োজন অনুসারে সপ্তাহে দুতিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে।

চুল খোলা রাখা ঠিক নয়ঃ সব সময় খোলা রাখলে দ্রুত মাথায় জট বেঁধে যায়। তাই খোলা চুল ভালোবাসলেও বেশিরভাগ সময়ই বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন। দিনে দুতিনবার আপনার মাথা আঁচড়ান এবং ঝুটি বা বেণি করে রাখুন।

পড়ুন  আপনার চুল খারাপ হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে যে ১০টি কারণ

চুলের যত্নে মাস্কঃ মাথার ত্বক আর্দ্র রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে নিয়ম করে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি।ঘরোয়া উপাদান দিয়েই চুলের জন্য উপযোগী মাস্ক তৈরি করা যায়। তাই চুলের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সুস্থ এবং মশ্রিণ চুলে জট কম হয়।

এড়িয়ে চলুন ‘স্টাইলিং টুলসঃ নিয়মিত ‘স্ট্রেইটনার’, ‘কার্লার’ বা ‘হেয়ার ড্রায়ার’ ব্যবহারের কারণে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। শুষ্ক চুলে জটও বাঁধে সহজে। এছাড়া অতিরিক্ত ‘স্টাইলিং টুলস’য়ের ব্যবহারের ফলে চুল ফাঁটা, ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন ‘স্টাইলিং টুলস’ ব্যবহারের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

সিরাম ও তেলের ব্যবহারঃ বিশেষ ধরনের স্প্রে, সিরাম এবং ক্রিম পাওয়া যায়। যা ব্যবহারের ফলে চুলের উপর একটি মশ্রিণ পরত পড়ে এবং এতে জটও কম বাঁধে। চুলের ধরন বুঝে সিরাম বা ক্রিম বেছে নিতে হবে। এছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহার করলেও জট পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

চুলের আগায় কন্ডিশনার ব্যবহারঃ চুলের মাঝামাঝি থেকে আগা পর্যন্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল কোমল থাকবে। তাছাড়া শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি।

পড়ুন  চুল তৈলাক্ত হলে জেনে নিন সহজ সমাধান

কেমিকল প্রসাধনী এড়িয়ে চলুনঃ কেমিকল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু নিয়মিত ব্যবহারে Hair শুষ্ক ও প্রাণহীণ হয়ে যায়। এ ধরনের চুলে জটও বাঁধে বেশি। তাই কেমিকল প্রসাধনী এড়িয়ে চলা উচিত। শ্যাম্পু কেনার সময় এতে অ্যালকোহল আছে কিনা দেখে নেওয়া জরুরি। চুলের যত্নে ভেষজ উপাদান থেকে তৈরি প্রসাধনী বেছে নিলে উপকার বেশি হবে।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.