...

ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়?এর লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত জ্বর।এডিস মশকী এই ভাইরাস বহন করে। আমাদের দেশে বর্ষাকাল থেকে অর্থাৎ জুন-জুলাই মাসে এই ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার বেশি হয়। সারাবিশ্বে বছরে ৪০০ মিলিয়নের মত লোক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এখনও কোন টিকা আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা।

ডেঙ্গু জ্বর

ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়?এর লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের কারণঃ

ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে চার ধরনের ভাইরাসজনিত ট্রপিক্যাল বা উষ্ণণ্ডলীয় রোগ। এটি সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত এডিস মশকী দ্বারা ছড়ায়।

ডেঙ্গু জ্বরের রোগের লক্ষণঃ

একজন ডেঙ্গু জ্বরে ব্যক্তির সাধারণত উচ্চ জ্বর হয় অর্থাৎ তাপমাত্রা ১০৪-১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার থেকে বেশি হবে। সাথে নিম্নের লক্ষণগুলোর অন্তত দুটি প্রকাশ পাবে।

তীব্র মাথা ব্যথা

চোখের পিছনের দিকে তীব্র ব্যথা

জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা

মাংসপেশী অথবা হাড়ে ব্যথা (এজন্য অন্য নাম: হাড় ভাঙ্গা জ্বর)

হামের মত র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়

নাক, দাঁতের মাড়ি থেকে অল্প রক্তপাত হতে পারে

রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ করে যাবে।

লক্ষণগুলো রোগীর বয়স অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ছোট বাচ্চা ও প্রথমবার আক্রান্তদের থেকে বয়স্ক, শিশু ও দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের মাঝে রোগের তীব্রতা বেশি হয়।

পড়ুন  এই ২টি পানীয় পেটের মেদ কমাবে মাত্র ১৫ দিনে

ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তের প্রধান ১০টি লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতাঃ

সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যেই জ্বরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। তবে যদি নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা যায় দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

তীব্র পেট ব্যথা ও ক্রমাগত বমি

ত্বকে লাল দাগ

নাক ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে

বমির সাথে রক্ত আসলে

কালো বা আলকাতরার মত পায়খানা হলে

ত্বক ফ্যাকাশে, ঠান্ডা ও স্যাঁতসেতে হলে

শ্বাসকষ্ট হলে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধঃ

এ রোগের কোন টিকা নেই। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হয়। এজন্য –

জমে থাকা খোলা পাত্রের পানিতে মশকী ডিম পাড়ে। পোষা প্রাণির খাবার পাত্র, পানির পাত্র, ফুল গাছের টব, নারকেলের মালা ইত্যাদিতে পানি জমে থাকতে পারে। সেগুলো পরিষ্কার রাখবেন।

দিন ও রাতে আলোতেও এরা কামড়ায়। তাই দিনের বেলাতেও মশারী ব্যবহার করুন।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে মশা কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন জেনে রাখুন

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসাঃ

এই রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই রোগ লক্ষণগুলোর উপর চিকিৎসা দেয়া হয়।

পড়ুন  ঘুমের আগে কি ব্যায়াম করা উচিত?

রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখুন।

প্রচুর পানি পান করতে দিন।

স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর বারবার মুছে দিন।

প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে।

ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ঔষধ দিন।

রোগীকে অ্যাসপিরিন বা এজাতীয় ঔষধ দিবেন না।

ডেঙ্গু জ্বরে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায়।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.