...

নবজাতকের যত্ন নেয়ার উপায় জেনে নিন

নবজাতকের যত্ন কনটেন্টটিতে প্রসবের পর নবজাতকের যত্ন, নবজাতককে শুকানো, নবজাতককে মোড়ানো, নবজাতকের বিপদ বা খারাপ লক্ষণসমূহ, জন্মের পরপর শ্বাস না নিলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়, জন্মের পরপর শ্বাস না নিলে যা করা উচিৎ নয়, নবজাতকের শারীরিক অসুবিধা হলে কোথায় যেতে হবে এসব বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।

%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8

নবজাতকের যত্ন নেয়ার উপায় জেনে নিন

জন্মের পর ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলে। প্রসবের পরপরই নবজাতকের যত্নের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যেমন: জন্মের সাথে সাথে শিশুকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে, শিশুকে উষ্ণ রাখতে হবে, জন্মের পর পরই শিশুকে গোসল করানো যাবে না, নাভির যত্ন নিতে হবে।

প্রসবের পর নবজাতকের যত্নঃ

নবজাতক শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো

নবজাতককে গরম রাখা

নবজাতকের গোসল

নাভীর যত্ন

চুল কাটা

চোখের যত্ন

ত্বকের যত্ন

সময়মত টিকা দেয়ানো

নবজাতকের খারাপ লক্ষণ বা বিপদ চিহ্ন খেয়াল করা

নবজাতকের যত্নে নবজাতককে শুকানোর পদ্ধতিঃ

পরিষ্কার এক টুকরা বড় কাপড়ের উপর শিশুকে নিতে হবে

কাপড় দিয়ে নবজাতকের সারা শরীর জড়িয়ে ফেলতে হবে

কাপড় দিয়ে নবজাতকের মাথা ভালভাবে মুছতে হবে

এরপর নবজাতকেরে গলা, ঘাড় ও কাঁধ ভালোভাবে মুছতে হবে

এরপর নবজাতকের বুক, পেট ও হাত ভালোভাবে মুছতে হবে

এরপর নবজাতকের পিঠ ভালোভাবে মুছতে হবে

এরপর নবজাতকের কোমড় থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত ভালোভাবে মুছতে হবে

একই নিয়মে মাথা থেকে পা পর্যন্ত আরো কয়েকবার মুছতে হবে

পড়ুন  গরমে শিশুর যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় জেনে নিন

মোছানো ভালোভাবে শেষ হলে কাপড়টি ফেলে দিতে হবে

নবজাতকের স্কিন কেয়ার

নবজাতকের যত্নে নবজাতককে মোড়ানোর পদ্ধতিঃ

মোড়ানোর জন্য শুকনা ও পরিষ্কার এক টুকরা বড় সুতী কাপড়ের উপর নবজাতককে নিতে হবে

লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কাপড়ের কিছু অংশ নবজাতকের মাথার উপরের দিকে ও কিছু অংশ নবজাতকের পায়ের নিচের দিকে বাড়তি থাকে

প্রথমে মাথার উপরের দিকের কাপড়ের বাড়তি অংশ দিয়ে নবজাতকের মাথা কপাল পর্যন্ত ঢেকে নিয়তে হবে। কাপড়ের উপরের দুই কোনা নবজাতকের দুই কাঁধের উপর এসে কাঁধ ঢেকে যাবে

এবার নবজাতকের পায়ের দিকের কাপড়ের বাড়তি অংশ দিয়ে নবজাতকের পা ঢেকে দিতে হবে

এবার নবজাতকের শরীরের দুই পাশের বাড়তি কাপড় দিয়ে বুক ও পেট ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে

পরিপূর্ণ মোড়ানোর পর শিশুকে গরম রাখার জন্য মায়ের বুকে দিতে হবে

শালদুধ খাওয়াতে সহায়তা করতে হবে

নবজাতকের বিপদ বা খারাপ লক্ষণ সমূহঃ

জন্মের পরপর শ্বাস না নেয়া

জন্মের পর না কাঁদা

খিঁচুনী হওয়া

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

শ্বাস নিতে বা ছাড়তে কষ্ট হওয়া

শরীরের তাপ বেড়ে যাওয়া

শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া

শরীর হলুদ রঙের হয়ে যাওয়া

নাভী লাল, নাভীতে দুর্গন্ধ বা পূঁজ থাকা

চামড়ায় ঘা-ফোসকা বা পূঁজসহ বড় দানা-লাল ও ফোলা থাকলে

অনবরত বমি

নেতিয়ে পড়লে বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করলে

পড়ুন  টিটি টিকা নিতে হয় কেন?

দুর্বল, অনিয়মিত কাঁদা বা কাঁদতে না পারলে

খাওয়ানোর সমস্যা

Loading...

বাচ্চা প্রসবকালে মা এর যত্ন

নবজাতকের যত্নে জন্মের পর পর শ্বাস না নিলে তাৎক্ষনিকভাবে করনীয়ঃ

পরিষ্কার নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে শিশুর সম্পূর্ণ শরীর আরো ভাল করে মুছতে হবে

নাকে ও মুখে কালচে সবুজ পায়খানা লেগে থাকলে তা আঙ্গুলে কাপড় পেঁচিয়ে পরিষ্কার করতে হবে

শিশুকে কাঁত করে পিঠে শিরদাঁড়া বরাবর নিচ থেকে উপর দিকে বারবার হাতের তালুর নিচের অংশ দিয়ে ঘষতে হবে

শিশুর রং এবং শ্বাসের দিকে লক্ষ্য করুন। যদি ঠোঁট, জিহবা ও মুখের রং গোলাপী হয় এবং নিয়মিত শ্বাস নিতে থাকে তাহলে শিশুকে মায়ের বুকে দিতে হবে

*জন্মের পর পর শ্বাস না নিলে যা করা উচিৎ নয়ঃ

পা ওপরে ধরে উল্টা করে নবজাতককে ঝুলানো

বাচ্চাকে থাপ্পড় দেয়া

বাচ্চার শরীরে ঠান্ডা পানি ছিটানো

কানে অথবা নাকে/ফুঁ/বাতাস দেওয়া

পানিতে চুবানো

বুকের খাঁচায় চাপ দেওয়া

বাচ্চাকে পর্যায়ক্রমে গরম ও ঠান্ডা পানিতে চুবানো

গর্ভফুলকে গরম করা

গর্ভফুলের অপেক্ষায় নবজাতককে ফেলে রাখা

মুখে ফুঁ দেওয়া

কানে ফুঁ দেওয়া

*এগুলো করলে শিশুর উপকারতো হবেই না বরং শিশুর ক্ষতি হবে।

শিশুকে কখনো মধু, চিনির পানি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিৎ নয়।

গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য টিপস

নবজাতকের শারীরিক অসুবিধা হলে কোথায় যেতে হবেঃ

উপজেলা হাসপাতাল

পড়ুন  হবু মায়েরা ফাস্ট ফুড ভুলেও খাবেন না

জেলা হাসপাতাল

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বেসরকারী হাসপাতাল

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন.১.জন্মের পর পর শ্বাস না নিলে কি করা উচিৎ নয়?

উত্তরঃ

পা ওপরে ধরে উল্টা করে নবজাতককে ঝুলানো

বাচ্চাকে থাপ্পড় দেয়া

বাচ্চার মুখে অথবা শরীরে ঠান্ডা পানি ছিটানো

কানে অথবা নাকে/ফুঁ/বাতাস দেওয়া

পানিতে চুবানো

বুকের খাঁচায় চাপ দেওয়া

বাচ্চাকে পর্যায়ক্রমে গরম ও ঠান্ডা পানিতে চুবানো

গর্ভফুলকে গরম করা

গর্ভফুলের অপেক্ষায় নবজাতককে ফেলে রাখা

মুখে ফুঁ দেওয়া

কানে ফুঁ দেওয়া

প্রশ্ন.২.নবজাতকের বিপদ বা খারাপ লক্ষণ কোনগুলো?

উত্তরঃ

জন্মের পরপর শ্বাস না নেয়া

জন্মের পর না কাঁদা

খিঁচুনী হওয়া

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

শ্বাস নিতে বা ছাড়তে কষ্ট হওয়া

শরীরের তাপ বেড়ে যাওয়া

শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া

শরীরের হলুদ রঙের হয়ে যাওয়া

নাভী লাল, নাভীতে দুর্গন্ধ বা পূঁজ থাকা

মড়ায় ঘা-ফোসকা বা পূঁজসহ বড় দানা-লাল ও ফোলা থাকলে

অনবরত বমি

নেতিয়ে পড়লে বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করলে

দুর্বল,অনিয়মিত কাঁদা বা কাঁদতে না পারলে

খাওয়ানোর সমস্যা

প্রশ্ন.৩.নবজাতকের শারীরিক অসুবিধা হলে কোথায় যেতে হবে?

উত্তরঃ

উপজেলা হাসপাতাল

জেলা হাসপাতাল

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বেসরকারী হাসপাতাল

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.