...

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে পাবেন অসাধারণ কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা

ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল রেড়ি উদ্ভিদের বীজ থেকে আহরিত তেল। প্রাচীন মিশরীয়রা চোখের জ্বালা দূর করার জন্য এই তেল ব্যবহার করতো। ক্যাস্টর অয়েল বর্ণহীন বা ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণের হয় এবং এর গন্ধ অপ্রীতিকর হয়। এই তেলটি ত্বক ও চুলের জন্য উপকারি হিসেবে ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানে কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো বিভিন্ন ধরণের বিউটি প্রোডাক্ট তৈরিতে প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করছে ক্যাস্টর অয়েল।

ক্যাস্টর অয়েল.PNG

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে পাবেন অসাধারণ কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা

 

এতে উচ্চমাত্রার রিসিনোলেইক এসিড থাকে যা বেশিরভাগ সৌন্দর্য উপকারিতার জন্য কাজে আসে। রিসিনোলেইক এসিড একটি অসম্পৃক্ত ওমেগা৯ ফ্যাটি এসিড এবং এই তেলে হাইড্রোক্সাইল এসিডও থাকে। এই তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান ও আছে। এছাড়াও এই তেল ভিটামিন ই, মিনারেল, প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ যা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারি। উপকারিতা পাওয়ার জন্য অর্গানিক ক্যাস্টর এর অয়েল ব্যবহার করতে হবে। ক্যাস্টর অয়েলের সৌন্দর্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই চলুন।

১ঃ শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি প্রদান করে

শুষ্ক ত্বকে চমৎকার ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে ক্যাস্টর অয়েল। এতে উচ্চমাত্রার ফ্যাটি এসিড থাকে বলে এটি ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে ও উজ্জ্বল করে এবং ডারমাটাইটিস ভালো করে। এছাড়াও ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বকের বয়স বৃদ্ধি ধীর করে এবং আপনার ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে। সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল ও নারিকেল তেল মিশিয়ে শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রাতে মুখ ধোয়ার পরে মুখে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে কয়েক মিনিট যাবত আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন। পরদিন আপনি হাইড্রেটেড ও তরতাজা লুক পাবেন।

পড়ুন  রুপচর্চায় ক্যাস্টর অয়েল এর ৭টি ব্যবহার

২ঃ বলিরেখা দূর করে

এই প্রাকৃতিক তেলটি চোখের কুঁচকানো ভাব, ফাইন লাইন ও বলিরেখা দূর করতে পারে। এই তেল সহজেই ত্বকের ভেতরে স্তরে প্রবেশ করতে পারে, কিন্তু ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করেনা। আসলে এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বককে পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়াও এটি ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে কয়েকফোটা ক্যাস্টর অয়েল মুখের ত্বকে লাগিয়ে বৃত্তাকারে ম্যাসেজ করুন। প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার জন্য ৪-৬ মাস নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৩ঃ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ত্বক ছাড়াও ক্যাস্টর অয়েল চুলের জন্যও অনেক ভালো। এটি চুলকে ঘন হতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুলকে উজ্জ্বল করে। মাথার তালুর pH এর স্তরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে রিসিনোলেইক এসিড। এছাড়াও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে, চুলের আগা ফেটে যাওয়া ও চুলের ভঙ্গুরতা রোধে সাহায্য করে। সপ্তাহে ২ দিন রাতের বেলা গরম ক্যাস্টর অয়েল মাথার তালুতে ও চুলে ভালো করে ম্যাসেজ করুন। সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪ঃ আইভ্রু ও আইল্যাশ ঘন করে

যদি আপনি মোটা ভ্রু ও ঘন পাপড়ি চান তাহলে এর সমাধান হচ্ছে ক্যাস্টর অয়েল। চুলের গোঁড়ার ফলিকলকে উদ্দীপ্ত করা ও পুষ্টি সরবরাহ করার মাধ্যমে এই অয়েল আপনার আইভ্রু ও চোখের পাপড়ি ঘন করতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর ওয়েলের মধ্যে একটি তুলার বল চুবিয়ে নিয়ে আপনার ভ্রু এর উপর ঘষুন। প্রতি রাতেই এটি ব্যবহার করুন যতদিনে আপনার কাংখিত মোটা ভ্রু না হয়। চোখের পাপড়ি বড় ও ঘন করার জন্যও প্রতি রাতে আপনার চোখের পাপড়ির উপর ক্যাস্টর অয়েল লাগান কয়েক সপ্তাহ যাবত। পাপড়িতে তেল লাগানর সময় চোখ বন্ধ করে তারপর লাগান।

পড়ুন  ধনে পাতার ফুল যে কারণে ফেলে দেবেন না

তাছাড়া ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে প্রেগনেন্সির স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে, কড়া পরা চামড়া নরম করতে, পায়ের গোড়ালির ফাটা দূর করতে সাহায্য করে, ত্বকের প্রদাহ কমতে সাহায্য করে, ব্রণ কমতে সাহায্য করে, অসময়ে চুল পাকা রোধ করে ও চুলকে কন্ডিশনিং করে।
রেড়ির তেল ব্যবহারের পূর্বে সামান্য তেল আপনার ত্বকে লাগিয়ে পরীক্ষা করুন কোন অ্যালার্জিক রিয়েকশন হয় কিনা। তারপর ব্যবহার করুন।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.