...

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে পাবেন ২৫টি উপকারিতা

সস্তা কিংবা সহজলভ্য জিনিসের কার্যকারিতা সম্পর্কে মানুষের খুব একটা বিশ্বাস নেই। সম্ভবত এ কারণেই ক্যাস্টর অয়েলের নাম ও গুনাগুন এখনো অনেকের কাছেই অজানা। কিন্তু ক্যাস্টর অয়েলের এই কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমাণিত এবং মানবস্বাস্থ্যে এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাবও নেই।‘রেঢ়ির তেল’ বা ক্যাস্টর অয়েল। যে যেভাবেই একে চিনে থাকুন না কেন, শারীরিক নানা সমস্যার সমাধানে এই তেলের কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই।

ক্যাস্টর অয়েল.PNG

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে পাবেন ২৫টি উপকারিতা

আজকাল ক্যাস্টর অয়েলের নাম যারা জানেনও, তাদের জানা কেবলমাত্র চুলের ক্ষেত্রেই এই তেলের গুনাগুনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু ত্বকেও এই তেল দারুণ কাজ করে। ত্বকে বাদামি দাগ থাকলে তা দূর করা, কোমরের পিঠের অংশে ব্যথা- অর্থাৎ ‘লোয়ার ব্যাক পেইন’ দূর করা, গোড়ালি মচকে গেলে সে ব্যথা দূর করা এবং এরকম অন্যান্য ছোট ছোট যেসব শারীরিক সমস্যা আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোকে কঠিন করে তোলে, তার প্রায় সবগুলোই দূর করা সম্ভব এ তেলের মাধ্যমে।

১. সকালে পাঁচ ফোঁটা ক্যাস্টর  অয়েল দূর করবে যেকোনো ধরনের অ্যালার্জি।

পড়ুন  ওজন কমাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

২. অন্তঃসত্ত্বা নারীরা গর্ভাবস্থার শেষ দু’ মাসে পেটে নিয়মিত এই অয়েল মালিশ করলে ফাটা দাগ কমবে।

৩. হালকা থেকে মাঝারি ক্ষতে খানিকটা লাগিয়ে নিন এই তেল আরাম দেবে।

৪. পায়ের গোড়ালি মচকে গেলে সেখানে ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন, সকালে উঠেই দেখতে পাবেন জাদু!

৫. শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে? সেক্ষেত্রে কানে একটুখানি ক্যাস্টর  অয়েল ঢেলে দিন, নিয়মিত কয়েকদিন এমন করে দেখুন, পরিষ্কার পার্থক্য দেখতে পাবেন।

৬. রাতে ঘুমানোর আগে চোখের ভেতর এক ফোঁটা ক্যাস্টরঅয়েল দূর করবে ছানি।

৭. ফোঁড়াতে এই অয়েল দারুণ কার্যকরি।

৮. ক্যাস্টর অয়েল ও বেকিং সোডার ঘন মিশ্রণ তৈরি করে তা ত্বকের বাদামি দাগের ওপর ব্যবহার করুন।

৯. চোখে প্রদাহজনিত সমস্যা, তা যত গুরুতরই হোক না কেন, দূর করতে হলে চোখের পাতার ওপর খানিকটা ক্যাস্টরঅয়েল রাতে ঘুমোনোর আগে হালকা করে মালিশ করুন।

Loading...

১০. ‘লোয়ার ব্যাক পেইন’র ক্ষেত্রে ব্যথার জায়গায় সপ্তাহে একবার নিয়মিত এই অয়েল মালিশ করুন।

১১.গুরুতর ডায়রিয়ায় পেট ব্যথা কমাতে পুরোনো কাপড়ে খানিকটা ক্যাস্টর  অয়েল ঢেলে তা পাকস্থলীর ওপরে পেটের অংশে রাখুন।

পড়ুন  ভ্রুর যত্ন নেবার কিছু উপায় জেনে রাখুন

১২. একইভাবে ঘাড়ে ভেজানো কাপড় রাখলে তাতে কণ্ঠনালীকে ভেতর থেকে মসৃণ করবে এবং কণ্ঠের কর্কশ ভাব কমে আসবে। এ চিকিৎসা নিতে হবে অন্তত তিন মাস।

১৩. এক মাস প্রতিদিন ছয় থেকে আট ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল পানে কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ শুনতে পাওয়ার সমস্যা কেটে যাবে।

১৪. এই অয়েল পানে পেটের ভেতরে ফাঁপা অনুভূতি বা গ্যাস জমে ভুটভাট, গুটগুট শব্দ বন্ধ হবে।

১৫. আঁচিল দূর হবে এর ওপর টানা চার সপ্তাহ ক্যাস্টর এর অয়েল লাগালে।

১৬. ত্বকের নিচে ক্যালসিয়াম জমে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন।

১৭. ত্বকের ক্যান্সারের চিকিৎসায় দারুণ কাজ করবে ক্যাস্টর অয়েল ও বেকিং সোডার মিশ্রণ।

১৮. নাকডাকা বন্ধের সমস্যায় নাভি ও তলপেটে টানা দু’ সপ্তাহ ক্যাস্টর অয়েল মালিশ করুন।

১৯. মৌমাছির কামড়ে ত্বকে প্রদাহ ও ব্যথা কমায় ক্যাস্টরঅয়েল।

২০. চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে শ্যাম্পু করার আগে ২০ মিনিট মাথার তালুতে এই অয়েল মালিশ করুন নিয়মিত।

২১. হেপাটাইটিসের চিকিৎসায় ঔষধের মতো কাজ করে এই অয়েল।

২২. নখে ছত্রাকের সংক্রমণের ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন।

পড়ুন  সকালে ১ গ্লাস মধু পানি পানের ৭টি দারুণ উপকারিতা

২৩. মদে আসক্তি দূর করে।

২৪. তারুণ্য ফিরে পেতে নিয়মিত এই অয়েল ব্যবহার করুন।

২৫. ক্যান্সারের শেষ ধাপে থাকা রোগীদের আরামের জন্য ক্যাস্টরঅয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

এসব ক্ষেত্রে ক্যাস্টরঅয়েল ব্যবহারের নিয়ম হলো- পরিষ্কার, শুকনো, নরম সুতির কাপড়  ডুবিয়ে নিংড়ে নিতে হবে। এরপর তা দেহের যেকোনো আক্রান্ত স্থানের ওপর রাখতে হবে আলতো করে, ১৫ মিনিট ধরে। তবে এর আগে আক্রান্ত স্থানটি বেকিং সোডার মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ভালো ফলাফল পেতে অন্তত ৪০ দিন ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন এই অয়েলের জাদুকরী গুন।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.