![]() |
চুলের যত্ন, চুলের সৌন্দর্য ও hair style |
আপনি কি সুন্দর চুল চান না? এক কথায় উত্তর দিবেন অবশ্যই হ্যা।short hair, long hair যাই হোক সেটাকে সুন্দর আর ঝলমলে করে তুলতে আমাদের চেষ্টার অন্ত থাকেনা।কিছু best hair tips আছে যেগুলো অবলম্বনপূর্বক পেতে পারেন সুন্দর ও সিল্কি চুল ।চিন্তা করে দেখুন তো আপনার সেই সুন্দর ঝলমলে চুলের জন্য দেখা স্বপ্নটা যদি পূরণ হয়ে যায় সামান্য কলা দিয়ে তাহলে কেমন হবে? ঘরে বসেই আপনি কলা দিয়ে আপনার চুলের ডিপ কন্ডিশনিং করে পেয়ে যেতে পারেন সুন্দর ও সিল্কি চুল। বাজারে নানান রকম নামি দামী ডিপ কন্ডিশনিং কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে হয়ে উঠবেও কিন্তু আপনাকে কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না যে এই কেমিক্যাল ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করার পর আপনার চুল কি ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে এমন সুন্দরই থাকবে। তবে আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন করেন করেন তাহলে আর যাই হোক চুলের কোন ক্ষতি হবে না এই গ্যারান্টি আপনাকে নিশ্চিন্তে দেওয়া যায়।
আজ Online Bangla Healh Tips আপনার ডক্টর আপনাদের কলা দিয়ে সেরকমই একটি ডিপ কন্ডিশনিং রেসিপির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো যা আপনার চুল সুস্থ্য সুন্দর আর ঝলমলে করার সাথে সাথে চুলের সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখবে।
কলার ডিপ কন্ডিশনিং রেসিপিঃ
যা যা লাগবেঃ
* কলা(২ থেকে ৩ টি)
* নারকেলের দুধ(২ টেবিল চামচ)
* নারিকেল তেল(১ টেবিল চামচ)
* অরগানিক মধু(২ বড় টেবিল চামচ)
যেভাবে করবেনঃ
কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরো উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এই পেস্টটি আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
যে কারণে এই ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করবেনঃ
কলাঃ
কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।
নারিকেল দুধঃ
নারিকেল দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাট থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ করে।
নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেলের ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস কমিয়ে তোলে। এমনকি নারিকেল তেল চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল দূর করতে সাহায্য করে।
অরগানিক মধুঃ
মধু আইরন, জিঙ্ক, সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল ও নজরকাড়া হয়।
অাশাকরি উপরের টিপসটি অনুসরন পূর্বক অাপনি চুলের প্রকৃত সুন্দর্য ধরে রাখতে পারবেন।আপনার যেকোন স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ক টিপস পেতে আপনার ডক্টরের সাথে থাকুন।ধণ্যবাদ
সূত্র:সাজগোজ.কম