...

নারীদের মৃত্যুঝুঁকি কমাবে পটাশিয়াম যুক্ত খাবার

নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে পটাশিয়ামযুক্ত যেকোনো খাবার, বিশেষ করে কলা হৃদরোগে আক্রান্ত বয়স্কা নারীদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এনওয়াই ব্রঙ্কসে অবস্থিত আলবার্ট আইনস্টাইন মেডিকেল কলেজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী সিলভিয়া ওয়াসেরথেইল স্মোলার বলেন, ‘পূর্বের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পটাশিয়াম কমে গেলে দেহে রক্তচাপও কমে যেতে পারে।

নারীদের

নারীদের মৃত্যুঝুঁকি কমাবে পটাশিয়াম যুক্ত খাবার

এর ফলে নারীরা বিভিন্ন পটাশিয়ামযুক্ত ফলমূল খাওয়া শুরু করেন যা নারীদের অনিয়মিত মাসিক সমস্যা রোধ করে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকিও কমিয়ে ফেলে।’

 

প্রায় ৯০১৩৭ জন মহিলা যাদের বয়স ৫০-৭৯ বছর বয়স এবং বেশিরভাগ অনিয়মিত পিরিয়ড রোগে আক্রান্ত তাদের উপরে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষণাটিতে দেখা গেছে যে, যারা বিভিন্ন স্ট্রোক যেমন ইস্কেমিক ও হেমোরেজিক স্ট্রোকে মারা গেছেন তাদের দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক কম ছিল। কিন্তু যারা অনেকটা সুস্থ হয়েছেন তাদের দেহে প্রতিদিন পটাশিয়ামের মাত্রা ছিল ২৬১১ মিলিগ্রাম।

 

গবেষকরা বলেন, ‘যাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে তাদের প্রায় ১২ শতাংশেরও কম হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং যারা কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খান তাদের প্রায় ১৬ শতাংশ বিভিন্ন জটিল স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

পড়ুন  স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা এবং গর্ভাবস্থায় কেগেল ব্যায়ামের উপকারিতা

নারীদের মধ্যে যারা প্রচুর পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ কমে আসে। আর যাদের কোনো ধরনের উচ্চ রক্তচাপ একেবারেই নেই এবং পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাদের ইস্কেমিক স্ট্রোক প্রায় ২৭ শতাংশ কমে যায় এবং ২১ শতাংশ অন্যান্য যেকোনো স্ট্রোক কমিয়ে ফেলে।

Loading...

যেসব নারীদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এবং যারা এর জন্য বিভিন্ন ঔষধ গ্রহণ করেন তারা যদি প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাহলে তাদের মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমে আসে। পটাশিয়াম যেকোনো ধরনের স্ট্রোক হতে দেহকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণেও আনতে সক্ষম।

যদিও দেহে পটাশিয়ামের উপস্থিতি বৃদ্ধা মহিলাদের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়, তবুও মাত্রাতিরিক্ত পটাশিয়াম হার্টের জন্য বিপজ্জনকও বটে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি স্ট্রোক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই গবেষণাটি শুধুমাত্র বৃদ্ধা মহিলাদের জন্যই বেশ কার্যকরী। যদিও দেহে সোডিয়ামের মাত্রার উপরে কোনো গবেষণা করা হয়নি তবুও দেহে পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়।

 

তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখা উচিৎ যা উচ্চ পটাশিয়াম বহন করে।

পড়ুন  নবজাতকের নাভি সুস্থ সুন্দর রাখার উপায়

জেনে নেয়া যাক নারীদের মৃত্যুঝুঁকি কমায়  তেমন কিছু খাবার সম্পর্কে

মটরশুটি: মটরশুটি শুধু পটাশিয়ামই নয় ফাইবার, প্রোটিন ও লৌহদ্বারা সমৃদ্ধ। আর তাই এ খাবারটি রাখতে পারেন নিয়মিত খাবার তালিকায়।
খোসাসহ আলু: শর্করার পাশাপাশি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এছাড়া রক্তে চিনির মাত্রা নির্ধারণকারী হিসেবেও খোসাসহ আলুর বেশ সুনাম রয়েছে।
গাজর-টমেটোর জুস: কমলা রঙের গাজরের জুস বা লাল টমেটোর জুস একসঙ্গে বা আলাদা করেও খেতে পারেন। এ দুই ধরনেই রয়েছে সমপরিমান পটাশিয়াম।
মাছ: শুধু পটাশিয়ামই নয় মাছে আছে কোলেস্টরেল কমাতে স্বাস্থ্যকর চর্বি। যা মূলত হার্টকে সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করবে।
আখের গুড়: চিনি বা মধুর বিকল্প হিসেবে গুড় খেতে পারেন। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারটিতে মিষ্টির ক্ষতিকারক প্রভাব কিছুটা কম।
শুকনো ফল: শুকনো খেজুর, আলুবোখারা, ডাবের পানি, কাঠবাদাম জাতীয় শুকনো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। খাবার তালিকায় এ জাতীয় ফলগুলোও মন্দ নয়। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই ফলগুলো হতে পারে দারুণ এক সংযোজন।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.