...

বাঙালিদের মদ খাওয়া সম্পর্কে যে মারাত্মক ভুল ধারণা  রয়েছ

মদের সাথে আমরা বাঙালীরা কম বেশি পরিচিত। মদ খাওয়া যেমন বাঙালির এক প্রিয় নেশা, তেমনই এই নেশা সম্পর্কে হাজারটা ভুল ধারণাও বাঙালির রয়েছে। সেরকমই ৯টি ভুল ধারণার উল্লেখ রইল এখানে—

মদ খাওয়া

বাঙালিদের মদ খাওয়া সম্পর্কে যে মারাত্মক ভুল ধারণা  রয়েছ

১. মদ খেলে নাকি মস্তিস্কের কোষ নষ্ট হয়ে যায়:
মদ খেলে চিন্তাভাবনায় কিছুটা শিথিলতা আসে ঠিকই, কিন্তু মদের প্রভাবে মস্তিস্কের কোষ নষ্ট হয়ে যায়— এটা বাড়াবাড়ি রকমের অতিরঞ্জিত ধারণা। মস্তিস্কে যে ডেন্ট্রাইট নামক বস্তুটি থাকে, যার কাজ হল মস্তিস্ক থেকে শরীরে বৈদ্যুতিক বার্তা প্রেরণ করা, তার কিছুটা ক্ষতি মদের কারণে হয়। দীর্ঘদিন ধরে অত্যধিক মদ্যপানের সঙ্গে যদি সেরকম পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া হয়, তা হলে স্মৃতি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু মস্তিস্কের কোষ এর দ্বারা প্রভাবিত হয় না।

২. মদ খাওয়ার আগে পেট ভরে খেয়ে নেওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যেস:
মদ খাওয়ার পর পাকস্থলি ও ক্ষুদ্রান্ত্রে সেই মদ শোষিত হয়। খাবার খেলে শরীরে মদ শোষণের সেই প্রক্রিয়াটি একটু মন্দীভূত হয় ঠিকই, কিন্তু খাবার হজম যাওয়ার পরেই মদের ক্রিয়া শুরু হয়ে যায় শরীরে। ফলে খাবার খেয়ে মদ খাওয়ার অর্থ— মাতাল হওয়ার অনুভূতিটিকে একটু পিছিয়ে দেওয়া মাত্র। খালি পেটে মদ খাওয়া নিশ্চয়ই ভাল অভ্যেস নয়, তবে ভরা পেটে মদ খাওয়াও একইরকম অস্বাস্থ্যকর অভ্যেস।

পড়ুন  সাধারণত যে সব কারণে আপনি সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভব করেন

৩. বমি করলে মদের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়:
মদ্যপানের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা রক্তে মিশে যায়। আর বমি করলে রক্তে মিশে যাওয়া মদ শরীর থেকে আদৌ বেরোয় না। কাজেই বমি করলে মদের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

৪. অল্প বয়সে মদ খাওয়া শুরু করলে শরীরের আলাদা কোনও ক্ষতি হয় না:
সমীক্ষা থেকে কিন্তু জানা যাচ্ছে, যাঁরা যত বেশি বয়সে প্রথমবার মদ খান তাঁদের মদে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তত কম। কাজেই অল্প বয়সে মদ না খেলে, পরোক্ষে হলেও, শরীর কিছু‌টা তো উপকৃত হয়ই।

৫. গাঢ় রঙের মদ শরীরের ক্ষতি করে কম:
বিয়ার, ওয়াইন, রাম প্রভৃতি গাঢ় রঙের মদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে ঠিকই, কিন্তু এইসব মদে কোগেনার নামের এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিকও বেশি পরিমাণে থাকে। ফলে শরীরের পক্ষে এই ধরনের মদ ভাল— এমনটা নয়।

৬. বিয়ার খেলে নেশা হয় কম:
ভারতে বিয়ারে সাধারণত অ্যালকোহলের পরিমাণ থাকে ৮ শতাংশ, আর হুইস্কিতে সেই পরিমাণ ১০ শতাংশ। কাজেই বিয়ার অ্যালকোহলের পরিমাপে হুইস্কির থেকে খুব পিছিয়ে রয়েছে, এমনটা নয়। আর যে কোনও মদই কতটা নেশার কারণ হবে তা নির্ভর করে, কী পরিমাণ মদ আপনি পান করছেন তার উপরে।

পড়ুন  হাঁপানি থাকলে কি করবেন কি করবেন না জেনে রাখুন

৭. মদ খেলে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
একেবারেই ভুল ধারণা। বরং মনস্তাত্ত্বিকরা বলেন, মদ খেলে মানসিক ও শারীরিক শিথিলতার কারণে যৌন আনন্দলাভের ক্ষমতা হ্রাস পায়।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.