...

একজিমার চিকিৎসা না করলে যেসব বিপত্তি হতে পারে

একজিমা কনটেন্টটিতে একজিমা কী, একজিমার প্রকারভেদ, একজিমা হয়েছে কী করে বুঝবেন, কখন ডাক্তার দেখাবেন, কোথায় চিকিৎসা করাবেন, কী ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে, কী ধরনের চিকিৎসা আছে, বাড়তি সতর্কতা সর্ম্পকে বর্ণনা করা হয়েছে।

একজিমার চিকিৎসা

একজিমা  (Eczema) ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। এটি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে একজিমা থেকে নিরাময় লাভ সম্ভব।

একজিমা বা ডারমাটাইটিস ত্বকের এমন একটি স্বাস্থ্যসমস্যা যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুলকানি হয়, লাল র‍্যাশ হয় এবং ফুলে যায়। একজিমা হওয়ার কারণ এখনো অজানা। কিন্তু এটি শিশু ও বয়স্ক সব বয়সের মানুষকেই পীড়িত করতে পারে। একজিমা মোকাবিলা করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং। গবেষণায় জানা গেছে যে, দীর্ঘদিন যাবত একজিমার সমস্যায় ভুগলে আরো ৪ টি রোগ হতে পারে।

১। অ্যাজমা

২০১৪ সালের PLoS One Journal এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, শৈশবে তীব্র একজিমার সমস্যায় আক্রান্ত হলে অ্যাজমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ৯৩ জন শিশুকে নিয়ে এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করেন যে, যে সমস্ত শিশুরা একজিমার পাশাপাশি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভোগে তাদেরকে হাঁপানির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।

পড়ুন  চুলকানির সমস্যার সমাধান কী.?

২। স্থূলতা

যারা একজিমার সমস্যায় ভোগেন তাদের মোটা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে এবং অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বেশি রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। একজিমা আক্রান্তদের খুব কম ব্যায়াম করতে দেখা যায় কারণ ঘামের ফলে তাদের একজিমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।

৩। কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ

২০১৫ সালে অ্যালার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, একজিমা আক্রান্ত রোগীদের কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় ব্যায়ামের ঘাটতির কারণে। এছাড়াও এদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।

৪। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস

স্থূলতা ও হৃদপিণ্ডের রোগ ছাড়াও একজিমা আক্রান্তদের অনেক বেশি ধূমপান ও মদ্যপান করার প্রবণতা দেখা যায়। গবেষকেরা এটাও জেনেছেন যে, একজিমার সাথে ঘুমের সমস্যার সম্পর্ক আছে। যার ফলে একজিমা আক্রান্তদের অবসন্ন হতে দেখা যায় এবং তাদের মধ্যে দিনের বেলা ঘুমানোর প্রবণতা দেখা যায়।

এছাড়াও স্বাস্থ্যবান মানুষের তুলনায় একজিমার মত চর্মরোগে আক্রান্তদের আত্মবিশ্বাস কম থাকতে দেখা যায়। একজিমা আক্রান্তদের অন্ত্রের ছিদ্রের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। অনেক বেশি মানসিক চাপ, সঠিক খাবার না খাওয়া, অ্যান্টিবায়োটিক, অন্ত্রের ভারসাম্যহীনতা, সহজাত দুর্বল হজম(প্রায় সব শিশুরা এই শ্রেণীতে পরে) এগুলো হতে পারে একজিমার কারণে। একজিমা এমনি এমনি ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে চিকিৎসা নিন ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

পড়ুন  চুলকানি সারানোর জন্য কি ধরনের ওষুধ সেবন করা বা শরীরে প্রয়োগ করা যেতে পারে?

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.