...

বিয়ে না করে পুরুষের সঙ্গে বসবাস করলে মেয়েদের যে ৭টি সুবিধে!

ভারতে দু’জন অবিবাহিত মানুষের মধ্যে লিভ-ইন আইনসম্মত। শহরগুলিতে এখন অনেকেই বিয়ে না করেই একসঙ্গে থাকেন এবং সন্তানপালনও করেন। এই ব্যবস্থার বিপদ যেমন আছে, সুবিধেও তেমন আছে, বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে।

মেয়েদের

লিভ-ইন করা উচিত কি অনুচিত তা এই প্রতিবেদনের বিচার্য বিষয় নয়। লিভ-ইন করার জন্য উৎসাহ দেওয়াও আমাদের কাজ নয়। বলা হয় লিভ-ইন করলে ছেলেদের পক্ষে সুবিধা কারণ তাদের কোনও দায়িত্ব নিতে হয় না। কিন্তু সুবিধাটি শুধু ছেলেদের নয়, মেয়েরাও এই ট্রেন্ড থেকে প্রচুর সুবিধাভোগ করেন—

১) মেয়েদের সবচেয়ে কষ্টের সময় হল বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়া। বহু মেয়ের কাছেই এটা ট্রমায় পরিণত হয়। লিভ-ইনে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই।

২) লিভ-ইন মানেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলাদা একটি বাড়িতে দু’জনে একসঙ্গে থাকা, অর্থাৎ বাবা-মায়ের শাসন নেই, শ্বশুর-শাশুড়ির চোখরাঙানিও নেই। উইক-এন্ডে বন্ধুদের সঙ্গে রাতভর পার্টি করতে কেউ আটকাচ্ছে না।

Loading...

৩) লিভ-ইন মানেই একটি সমান-সমান সম্পর্ক। ছেলেরা এখানে ‘পার্টনার’, স্বামী নন। তাই সামাজিক ট্রেন্ড অনুযায়ী অতিরিক্ত কর্তৃত্ব করার কোনও জায়গা নেই।

৪) দু’টি মানুষের মধ্যে বনিবনা না হলেও, সম্পর্ক অসহনীয় হয়ে উঠলেও একসঙ্গে থাকার বাধ্যবাধকতা নেই, যা বেশিরভাগ বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে রয়েছে।

পড়ুন  মেয়ে হয়ে জন্মানোর ১৫টি চমৎকার সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন

৫) দু’জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক দু’জন মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে লিভ-ইন-এ। টিভি সিরিয়ালে যেমন দেখা যায় সেরকম ননদ বা জা-এর কূটকচালির কোনও জায়গাই নেই এখানে।

৬) বেশিরভাগ মেয়েদেরই বিয়ের পরে শুনতে হয় যে বাড়ির ‘বউ’-কে কী কী করতে নেই এবং কী কী করা উচিত। লিভ-ইনে এই সব বলার কেউ নেই।

মেয়েদের অরগাজম ফিলিংসটা আসলে কেমন? জেনে নিন

৭) লিভ-ইন-এ সন্তানের জন্ম হলে তার ন্যাচারাল গার্ডিয়ান কিন্তু মা, বাবার স্টেটাস সেখানে বায়োলজিক্যাল ফাদার। কিন্তু বিবাহিত হলে গার্ডিয়ান স্টেটাস কিন্তু বাবারই থাকে। শিক্ষা-দীক্ষা থেকে শুরু করে বিয়ে, বাবার সিদ্ধান্তই মূলত গৃহীত হয়। লিভ-ইন-এর সন্তানের ক্ষেত্রে কিন্তু মায়ের হাতেই সব ক্ষমতা।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.