...

বয়স্কদের সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করবে অ্যাপ

বয়স্কদের সুস্থ জীবনযাপনে একাকী বয়স্কদের সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করবে অ্যাপ ,আপনি একা থাকেন। বয়সও হয়েছে। আত্মীয়রাও সব দূরে দূরে। যতই সাহস দেখিয়ে বলুন আপনি একাই একশো, ভয় কী হয় না! রাতবিরেতে শরীর খারাপ হলে কে দেখবে! হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করালেই তো হল না। শুশ্রূষার পর বাড়িতে ফিরেও শান্তি নেই। সাহায্য করতে যাকে রেখেছেন তার কাজে মোটেও সন্তুষ্ট নয়। আবার সাহায্যের জন্য কাউকে না রেখেও শান্তি নেই। মনে হয় যেন কিছু খুঁত থেকে গেল। হয়ত ঠিক সময় ওষুধ খেতেই ভুলে গেলেন। এখন থেকে চিন্তা ছাড়ুন। কারণ মুশকিল আসান হিসেবে হাজির নতুন একটি স্মার্টফোন অ্যাপ ।

 

অ্যাপ

 

এবার থেকে বয়স্কদের বিশেষ করে যারা একা থাকেন তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে অ্যাপ টি। বয়স্কদের জীবনীশক্তি এবং মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াবে অ্যাপ টি। আমেরিকার নত্র দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার ডিসিপ্লিন্যারি সেন্টার ফর নেটওয়ার্ক সাইন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনের এক গবেষক।

এমন অভিনব অ্যাপ তৈরির ভাবনা কেন?

ক্রমশ অ্যাপ নির্ভর হয়ে উঠছে জীবনযাত্রা। বিভিন্ন অ্যাপের সিংহভাগ ক্রেতাই যুব সম্প্রদায়। এই অবস্থায় অন্য কিছুই ভেবেছিলেন এক জন। আমেরিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক নিতেশ চাওলা। অ্যাপটির নাম তিনি দিয়েছেন ‘ইসিনিয়রকেয়ার’। বয়স্করাও যাতে নিশ্চিন্তে সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারেন তার জন্যই অ্যাপটি তৈরি হয়েছে।
বয়স্করা অত টেকস্যাভি নন। তাই তারা যাতে স্বাচ্ছন্দে এটি ব্যবহার করতে পারে সেভাবেই এটি বানানো হয়েছে। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাও রাখবে এটি।
কী ভাবে কাজ করবে অ্যাপটি?
বাইরের ফাস্ট ফুড থেকে গিয়েছেন কোনও বয়স্ক মানুষ। তাকে সাবধান করে দেবে অ্যাপই। বল দেবে ঘরের তৈরি খাবার খাওয়া ভাল। হয়ত কফি খেতে ভালবাসে কেউ। অ্যাপটিই বলে দেবে ক্যাফেন সমৃদ্ধ পানীয় কম খাওয়া উচিত। ভাবেন না যেন অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এড়িয়ে চলতে পারবেন। দিনে কতটা পরিমাণে সেই সব খাবার খেয়েছেন তারও তথ্য রাখবে অ্যাপ টি। হয়ত এত সবের পরেও ছোটখাট কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন পেটের গোলমাল, বদহজম হয়েছে। ভয় পাবেন না। আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে আপনার অ্যাপ। এটির মাধ্যমে তিনিই আপনাকে প্রয়োজনে নির্দেশ দিয়ে দেবেন। এ ছাড়া কেউ যদি অবসাদে ভোগে তার মোটিভেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া যোগাভ্যাসের উপকারিতা এব‌ং যোগ করার কথাও মনে করিয়ে দেবে এটি। অ্যাপ টিতে আরও বেশি ইন্টারঅ্যাক্টিভ করার জন্য অডিও এবং ভিডিও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কোনও প্রশ্ন থাকলে টেক্সট মেসেজ অথবা ভিডিও রেকর্ডং পাঠালে, সমাধান জানিয়ে দেবে কেয়ার প্রোভাইডার। তবে শুধু শারীরিক সমস্যা মেটানোর কথাই ভাবা হয়নি। মনও যাতে ভাল থাকে সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। শব্দছক, সুদোকু পাজলের মতো খেলার ব্যবস্থা রয়েছে।
তাই বয়স্ক বন্ধুরা আর নিজেকে আলাদা ভাববেন না। ভাল থাকতে বরং হাত বাড়ান প্রযুক্তির দিক

পড়ুন  বক্ষ বন্ধনী প্রচলিত হলো কীভাবে ?

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.