...

নারীদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার লক্ষণ !

হরমোন (ইংরেজি: Hormone, গ্রিক: ὁρμή) হচ্ছে এক প্রকার রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়। হরমোনের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য অল্প একটু হরমোনই যথেষ্ট। এটি একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে যা এক কোষ থেকে অপর কোষে বার্তা বহন করে। সকল বহুকোষীয় জীবই হরমোন নিঃসরণ করে। গাছের হরমোনকে ফাইটোহরমোনও বলা হয়। প্রাণীর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ হরমোনই রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। কোষ হরমোনের সংস্পর্শে প্রতিক্রিয়া করে যখন সেগুলোর ঐ হরমোনের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রিসেপ্টর রয়েছে।

হরমোনের

নারীদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার লক্ষণ !

অন্তঃক্ষরা হরমোনের অণুগুলো রক্ত সংবহন তন্ত্রে সরাসরি নিঃসরিত হয়। অপরদিকে বহিঃক্ষরা হরমোনগুলো (এক্সোহরমোন) সরাসরি নালিতে, বা নালির মাধ্যমে নিঃসরিত হয়। এ ধরনের হরমোন সংবহন তন্ত্রের মাধ্যমেও নিঃসরিত হতে পারে, এছাড়াও ব্যাপন প্রক্রিয়ায় এক কোষ থেকে অন্য কোষেও এক্সোহরমোন পরিবাহিত হতে পারে।

 

হরমোন গ্রন্থি হতে নিঃসারিত হয়ে বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়া বিক্রিয়া, বৃদ্ধি, রক্ত চাপ নিয়ন্ত্র, মাতৃদুগ্ধ তৈরী, যৌন পরিপক্কতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে ৷ নারীদের প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরীরে হরমোনের ক্রিয়াকলাপ বেড়ে যায়। এ সময়ে হরমোন তাদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বেশ বড় প্রভাব রাখে।
পিরিয়ডের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও মাঝে মাঝে দেখা যায় অকারণেই অনেক দিন ধরে রয়ে গেছে এসব উপসর্গ। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে পাঁচটি লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো।
অবসাদ :- অবসাদের অনেক অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে দেন অনেকেই। সারা সপ্তাহ কাজ বা পড়াশোনার ধকলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক।

পড়ুন  মাসিকের সময়ে টয়লেট হ্যাবিট পরিবর্তিত হয় কেন?

এপিনেফ্রাইন (অ্যাড্রেনালিন), একটি ক্যানকোলামিন ধরনের হরমোন

এপিনেফ্রাইন (অ্যাড্রেনালিন), একটি ক্যানকোলামিন ধরনের হরমোন

কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানান।
ত্বকের অবনতি :- ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে।
দ্রুত পশম/চুলের উদ্ভব :-শরীরের এখানে সেখানে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে শুরু করতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে। আর টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে যদি শরীরে এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে।
অনিয়মিত পিরিয়ড :- অবসাদের মতই অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা PCOS (polycystic ovary syndrome)।
PCOS এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য। তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার পেছনে এটাই কি কারণ কিনা তা জেনে নিতে হবে, এরপর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর প্রতিকার করা যায়।
ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া :- ইলেক্ট্রিসিটি যদি চলে না যায় বা আপনার বেডরুম যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত গরম না হয়, তাহলে ঘেমে-নেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাবার কারণ হতে পারে ইস্ট্রোজেনের অভাব এবং অনিয়মিত ডিম্বপাত।
এই জটিলতাকে বলা হয় পেরিমেনোপজ। মেনোপজ হবার মতো বয়স হবার আরও বছর দশেক আগেই দেখা দিতে পারে পেরিমেনোপজ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন সমস্যাটি আরও গুরুতর কি না।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.