...

কোমরে ব্যথা মানেই কিডনি সমস্যা?

কোমরে

কোমরে ব্যথা মানেই কিডনি সমস্যা?

waist-pain

কোমরের পেছন দিকে হালকা চিনচিনে ব্যথা—এমন উপসর্গ নিয়ে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে ছোটেন চিকিৎসকের কাছে। আমার কিডনি কি খারাপ হয়ে গেল?

শুনেছি কিডনির সমস্যায় পেছনে ব্যথা হয়? কোমর ব্যথার বেশির ভাগ রোগী মনে করেন, তাঁদের কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কিডনিতে পাথর বা খারাপ ধরনের সংক্রমণ না হলে ব্যথা করার কথা নয়।

কোনো রকম ব্যথা-বেদনা ছাড়াও কিডনি খারাপ হতে পারে। কোমর ব্যথারও আছে নানা কারণ ও উৎস।

কিডনি রোগের উপসর্গ বা ব্যথা

* কিডনিজনিত ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাম পাশে হয়। এটি পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হওয়ার কথা। এই ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথা থেকে থেকে আসে, শোয়া-বসা বা কোনো কিছুতেই আরাম মেলে না।

* কিডনির সমস্যায় ব্যথা মূল উপসর্গ নয়, এতে শরীরে পানি আসা, দুর্বলতা, অরুচি, বমির ভাব দেখা দেয়।

* সংক্রমণ হলে জ্বর হতে পারে এই ব্যথার সঙ্গে।

* প্রস্রাব ঘোলাটে হয়, দুর্গন্ধ বা রক্ত থাকতে পারে।

পড়ুন  কতক্ষণ ঘুম শরীরের জন্য ভালো

* প্রস্রাবের পরিমাণ কম-বেশি হয়। রক্তশূন্যতা থাকতে পারে। কিডনি খারাপ হওয়ার পেছনে দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ, ব্যথানাশক বড়ি খাওয়া ইত্যাদির ইতিহাস থাকবে।

কোমর ব্যথা মানে কী?

* বেশির ভাগ কোমর ব্যথা সাধারণত মাংসপেশি, মেরুদণ্ডের হাড়, ডিস্ক, সন্ধি ও স্নায়ুসম্পর্কিত।

* এটি নির্দিষ্ট অংশ জুড়ে হয়।https://aponardoctor.com/archives/2740

* মেরুদণ্ডের নড়াচড়া যেমন ওঠাবসা, সামনে ঝোঁকা, হাঁটা বা দাঁড়ানো, অনেকক্ষণ ধরে কাজ করা বা শুয়ে থাকার সঙ্গে এই ব্যথা বাড়ে-কমে।

* সাধারণত জ্বর হয় না (তবে টিউমার, টিবি ইত্যাদি ছাড়া)। দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অরুচি, বমির ভাব ইত্যাদি আনুষঙ্গিক সমস্যা সাধারণত থাকে না।

* সাধারণত বিশ্রাম ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে ভালো হয়; বন্ধ করলে ব্যথা আবার ফিরে আসে।

 

আসুন জেনে নেয়া যাক কালো জিরার ঔষধি গুনগুলো –

 

১) কালো জিরার তেল মাথা ব্যাথা সারাতে দারুন উপকারী । কালো জিরার তেল কপালে মালিশ করলে এবং তিন দিন খালি পেটে ১ চা চামচ তেল খেলে আরোগ্য লাভ করা যায় ।

২) চুল শ্যাম্পু করার পর শুকিয়ে নিন। এবার পুরো মাথায় কালো জিরার তেল ভাল মতো লাগান । এক সপ্তাহ নিয়মিত করলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।https://aponardoctor.com/archives/279

পড়ুন  দ্রুত ও সহজে ঘুমিয়ে পড়ার দারুণ কার্যকরী কিছু কৌশল

৩) যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তারা বুকে ও পিঠে কালো জিরার তেল মালিশ করতে পারেন,উপকার পাবেন।

৪) কালো জিরার তেল ও চূর্ণ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

৫) চা বা গরম পানির সাথে কালো জিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি শরীরের বাড়তি মেদও কমে ।

৬) এক কাপ দুধ ও ১ চা চামচ কালো জিরা তেল একসাথে মিশিয়ে দৈনিক পান করুন। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে ।

৭) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা দৈনিক কোন না কোন ভাবে কালো জিরা সেবনের চেষ্টা করুন, কারন কালো জিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গরম ভাতের সাথেও কালো জিরার ভর্তা খেতে পারেন ।

৮) জ্বর হলে সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে কালো জিরার তেল পান করুন । জ্বর দ্রুত সেরে যাবে ।

৯) হাঁটুর ব্যাথা সারাতে রোজ রাতে কালো জিরার তেল হাঁটুতে মালিশ করুন ,হাঁটুর ব্যাথা কমে যাবে ।

১০) ছুলি বা শ্বেতী হলে আক্রান্ত স্থানে আপেলের টুকরো দিয়ে ঘষে নিন,তারপর কালো জিরার তেল লাগান । এভাবে ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত লাগান।

পড়ুন  পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে কি খাবেন ও কি খাবেন না

১১) কালো জিরা নারী ও পুরুষে উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুব উপকারি । নিয়মিত কালো জিরা সেবনে পুরুষত্ব হীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

১২) বাতের ব্যাথা সারাতে কালো জিরার তেল নিয়মিত মালিশ করুন ।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.