...

দাঁতের কালো দাগ দূর করতে কি করবেন

দাঁতেরদাঁতের কালো দাগ দূর করতে কি করবেন

 

black-spot-on-teeth

দাঁতের ফাঁকে বা ওপরে কালো কালো দাগ সুন্দর চেহারার বারোটা বাজিয়ে দেয় অনেক সময়। অনেকে এই কালো দাগের জন্য প্রাণভরে হাসতেও ভয় পান। দাঁতের ফাঁকে কালো দাগ নানা কারণে হতে পারে।

সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো দন্তমল। খাওয়ার পর বিভিন্ন খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে বা মাড়িতে আটকে থাকে। দীর্ঘদিন আটকে থাকার কারণে এর ওপর শক্ত আবরণ পড়ে, যা দন্তমলে পরিণত হয়।

এ ছাড়া ধূমপান, জর্দা, পান ও তামাক ব্যবহারে দাঁতে দাগ পড়ে।দন্তমল কেবল দেখতে খারাপ নয়, এর ভেতরে জন্ম নেয় ও বেড়ে ওঠে অসংখ্য জীবাণু।

অনেক সময় এই জীবাণু রক্তে মিশে গিয়ে নানা বিপত্তির সৃষ্টি করতে পারে, এমনিক গর্ভস্থ শিশুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। এ ছাড়া মুখে দুর্গন্ধ এবং বারবার মাড়ির প্রদাহের জন্যও এটি দায়ী।

দাঁত সুন্দর ও সাদা রাখতে কিছু বিষয়ে সচেতনতা দরকার।

 দিনে অন্তত দুবার ভালো করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁত ব্রাশ করুন।

 ব্রাশ করার আগে ডেন্টাল ফ্লস বা সুতা দিয়ে দাঁতের ফাঁকগুলো পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।

পড়ুন  কিভাবে কয়লা দিয়ে দাঁত ঝকঝকে সাদা করবেন?

 জীবাণু দূর করে এমন মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন রাতে।

 রোজ কোনো শক্ত ফল যেমন পেয়ারা, আমড়া, আপেল ইত্যাদি দাঁত দিয়ে কামড়ে খান। তাজা শাক-সবজি যেমন গাজর, শসা, টমেটো, লেবু ইত্যাদিও দাঁত সুরক্ষার জন্য ভালো।

 বছরে অন্তত দুবার দন্তমল দূর করার জন্য ডেন্টাল স্কেলিং করা উচিত।

অনেকেরই দেখা যায় দাঁতের মাড়ির ওপর কালো দাগ পড়েছে। আর সেখানে প্রচন্ড ব্যাথা, গর্ত হওয়া বা ফাঁকা হওয়া, রক্ত পড়া সহ বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই দাতে লবন এবং সরিষার তেল দিয়ে দাঁত মাজি। কিন্তু ডাক্তারদের মতে এটা করা ঠিক নয়। বরং দাঁতে কালো দাগ দেখা দেবার সাথে সাথে আমাদের যা করা উচিৎ তা হলো একজন দাঁতের ডাক্তার দেখানো।

মূলত দাঁতে কালো দাগ দেখা মানে হচ্ছে এটি দাঁত ক্ষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্যা। প্রথম অবস্থাতেই এটির চিকিৎসা করালে এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা ফিলিং করিয়ে নিলে ভবিষ্যতের ব্যয়বহুল রুট ক্যানেল করানোর মত ঝামেলা এড়ানো যায় সহজেই।

আর আপনি যদি সময় মত দাঁতের এই কালো দাগ দূর করে ফিলিং করান, তাহলে দাঁতে অ্যাপিক্যাল অ্যাবসেস হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। আর না করালে এবং অ্যাপিক্যাল অ্যাবসেস হলে রুট ক্যানেল করে ফিলিং করালে যদিও দাঁত রক্ষা করা যায়, কিন্তু তা খুবই ব্যয়বহুল।

পড়ুন  দাঁতের জন্য উপকারী ৫ ধরণের খাবার-পানীয়

 

কিছু নিয়ম মানুনঃ

 

দাঁতের নিয়মিত সুরক্ষার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। এগুলি মেনে চললে অনেকাংশেই আমরা আমাদের দাঁতকে রাখতে পারবো ঝকঝকে সাদা, রোগমুক্ত।

প্রতিদিন সকালের নাস্তার পর, এবং রাত্রে ঘুমাবার আগে দাঁত ব্রাশ করুন

দিনে মাত্র একবার দাঁতব্রাশ করলে তা অবশ্যই রাত্রে ঘুমাবার আগে

দেড় থেকে দুমিনিট দাঁত ব্রাশ করা শ্রেয়, এর বেশী বা কম নয়

ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁকার মধ্যে জমে থাকা ময়লা পরিস্কার করতে পারেন

যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, চুইংগাম, কেক, ফাস্টফুড খাবার পর অবশ্যই পানি দিয়ে ভালো ভাবে কুলকুচি করবেন
মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন, তবে টানা ব্যবহার করবেন না, ৪/৫ দিন ব্যবহারের পর আবার ৪/৫ দিন ব্যবহার বাদ দিন
অতিরিক্ত ফ্লুরাইড ব্যবহার করে এমন টুথপেষ্ট লম্বা সময় ব্যবহার করবেন না, এতে আপনার দাঁতে সাদা দাগ পড়া সহ ভেঙ্গে যেতে পারে
সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করবার নিয়মটি আপনার দাঁতের ডাক্তারের কাছ থেকে ভালো ভাবে শিখে নিন
দাঁতে সমস্যা থাকুক চাই না থাকুত, বছরে অন্তত ২/১ বার দন্ত চিকিৎসককে দেখানো উচিত
আশাকরি উপরের তথ্য গুলি আপনাদের সকলের কাজে লাগবে। আর আপনার কাছে যদি আরও কোন তথ্য থেকে থাকে, কিংবা আমাদের লেখার মধ্যে কোন অসামঞ্জস্যতা খুজে পান, অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলেও আমাদের জানাতে ভুলবেন না।

পড়ুন  ২ মিনিটে দাঁত সাদা করবে কলার খোসা! জেনে নিন

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.