...

নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গ লোমমুক্ত করার জন্য যে ৭টি টিপস

স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো লোমমুক্ত রাখার ব্যাপারে মেয়েরা খুবই সচেতন। হাত-পা তো আছেই, এছাড়াও আন্ডারআর্ম, বিকিনি লাইন এবং শরীরের যে কোন স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত লোম হতে পারে।

লোমমুক্ত

নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গ লোমমুক্ত করার জন্য যে ৭টি টিপস

আর সেটা পরিষ্কার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকেই। এই কাজে অনেক নারী বেছে নেন শেভিং পদ্ধতি, কেউ কেউ ব্যবহার করেন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশন, অনেকে আবার স্পর্শকাতর অঙ্গেও যন্ত্রণাদায়ক ওয়াক্সিং করিয়ে থাকেন। পদ্ধতি যেটাই হোক না কেন, স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো লোমমুক্ত করার সময়ে এই ৭টি টিপস মনে রাখতে হবে অবশ্যই। তাতে স্পর্শকাতর অঙ্গ লোমমুক্ত রাখা সহজ হবে, লোমমুক্ত করার পর জ্বালা পোড়া বা ব্যথা হবে না।

জেনে নিন শরীরের অবাঞ্ছিত লোম ওয়াক্স করার পর ত্বকের সুরক্ষায় ৬ টিপস

১) আপনার পদ্ধতি যদি শেভিং হয়ে থাকে, তাহলে উপযুক্ত রেজর ও ভালো শেভিং ফোম বেছে নেয়াটা খুবই জরুরী। যেন তেন রেজর ব্যবহার করবেন না। অনেকে দেখা যায় স্বামীর পুরনো রেজরটাই ব্যবহার করছেন। সেটাও করবেন না। এসব কাজের জন্য আলাদা রেজর রাখুন। এবং অবশ্যই ভালো রেজর। নাহলে ত্বকে ছিলে যাবে।

পড়ুন  বুকের দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় কি?

 

২) এয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশনের ক্ষেত্রে নিজের ত্বকের সাথে মিলিয়ে উপযুক্ত প্রসাধনীটি বেছে নিন। আজকাল প্রত্যেক স্কিন টাইপের জন্যই ভিন্ন ভিন্ন ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায়। বেশী শুষ্ক ত্বক বা বেশী ব্যথা পাওয়ার প্রবনতা থাকলে বাড়তি ময়েসচারাইজার যুক্ত ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন। এতে ব্যথা কম পাবেন।

 

৩) যারা ব্যথা সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের জন্য ওয়াক্সিং না করাই ভালো। কেননা তাতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষ করে স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যথা ও ত্বকের জ্বালাপোড়াটা অনেক সময় থাকে। তাছাড়া ঘন ঘন স্পর্শকাতর অঙ্গে ওয়াক্স করলে র‍্যাশ হবার প্রবনতা অনেক বেড়ে যায়।

 

৪) যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন, তার অন্তত ঘণ্টা খানেক আগে কোন কোমল সাবান বা বডি ওয়াশ দিয়ে স্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ও তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। এতে লোম পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। খুব ভালো হয় ডাভ বা এই ধরণের খুবই কোমল ও ময়েশ্চারাইজার যুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে। যাদের গোপন অঙ্গের লোম বেশী মোটা বা শক্ত, তাঁরা পরিষ্কার করার সময় চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে সহজে শেভ করতে পারবেন, হেয়ার রিমুভালও সহজে অবে।

পড়ুন  রাতে ঘুমানোর আগে ব্রা পরা কি আসলে উচিত?

নারীদের অবাঞ্ছিত লোম হয় কেন ? হলে প্রতিকার কি ?

৫) লোম পরিষ্কার শেষ? এবার শুরু হবে বাড়তি যত্ন। পরিষ্কার করার পর উক্ত স্থানে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। একু ম্যাসাজ করে করে লাগান। এটা ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করবে এবং ত্বকে যে কোন রকম জ্বালাপোড়া কম করবে। গ্লিসারিনের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগাতে পারেন।

 

৬) লোম পরিষ্কারের পর বেশি জ্বালাপোড়া করলে পাতলা কাপড়ে বরফ বেঁধে উক্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন। এতে আরাম মিলবে আর অনাকাঙ্ক্ষিত র‍্যাশ হবে না।

 

৭) স্পর্শ কাতর অঙ্গের লোম পরিষ্কার করার পর (বিশেষ করে বিকিনি এরিয়া বা বগল) বেশ অনেকটা সময় টাইট পোশাক পরবেন না। নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। নাহলে র‍্যাশ হতে পারে।

 

আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না। মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন, আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব। ধণ্যবাদ আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটের সাথে থাকার জন্য।

পড়ুন  মেয়েদের ইউরিন ইনফেকশন - Girls urine Infection

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.