...

২৩ বছর বয়সে ৪৩,২০০ বার

কার্লা জেসিন্তো। বয়স ২৩। কোঁকড়া চুল, সুশ্রী মুখ, সাবলীল আলাপচারিতা। জন্ম, বেড়ে ওঠা মেক্সিকো সিটিতে। প্রথম পরিচয়ে বোঝার উপায় নেই, চোখ-মুখ থেকে আভা

বার

২৩ বছর বয়সে ৪৩,২০০ বার

ছড়ানো কার্লার জীবন কেটেছে কতটা অন্ধকারে। পাচারকারীদের নিষ্ঠুরতায় কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে তার জীবন।
কার্লা জানিয়েছেন তার জীবনের কালো অধ্যায়। কখন, কোথায়, কীভাবে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তার হৃদয়বিদারক বর্ণনা।
মেক্সিকো সিটির একটি বাগানে বসে কার্লা জানান, টানা চার বছরে প্রতিটি দিন, সপ্তাহ, মাস তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে পাচারকারীদের হাতে। দিনে কমপক্ষে ৩০ বার হিসাব করে মোটের ওপর ৪৩,২০০ বার ধর্ষণের কথা জানান তিনি। কার্লা জানান, মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি পাচারকারীদের হাতে পড়েন। তার পাচারের গল্পটাও ছিল কৌতূহলোদ্দীপক।
এই নারী জানান, একদিন মেক্সিকো সিটির একটি পাতাল রেলস্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় মিষ্টান্ন বিক্রেতা একটি শিশু তার হাতে একটি লজেন্স দিল। ওই শিশু তাকে বলল, কেউ একজন এটি পাঠিয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে একজন যুবক তার কাছে এলো। যুবকটি নিজেকে ব্যবহৃত গাড়ির ব্যবসায়ী পরিচয় দিল।

পড়ুন  গ্রামীনফোন এ নিয়ে নিন ৯০ টাকায় ১০ জিবি ইন্টারনেট!

যুবকের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় কার্লার। এর পর ওই ব্যক্তি তাকে জানান, তিনি নিজেও শিশু বয়সে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তখন কার্লার মনে হলো, এ তো পুরোদস্তুর ভদ্রলোক। তার সঙ্গে মেশা যায়।

স্যারের রুমে ঢুকতেই স্যার আমাকে… পড়ুন বিস্তারিত

Loading...

ওই দিনই যুবকের সঙ্গে নম্বর বিনিময় হয় কার্লার। যুবকটি কার্লাকে প্রস্তাব দেন, মেক্সিকোর পুয়েবলার শহরে যেতে। কার্লা গররাজি ছিল। এর কয়েক দিনের মধ্যে কার্লা সত্যিই এই লোকটির সঙ্গে পুয়েবলা গেল। এর জন্য অবশ্য তার মায়েরও দায় ছিল।

একদিন রাতে দেরি করে ঘরে ফেরায় কার্লার মা তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি। এর পরদিনই ওই লোকটির সঙ্গে চলে যান কার্লা। এর পর থেকে শুরু হয় তার অন্ধকার জীবন।

‘আমি সকাল ১০টায় শুরু করতাম। চলত মধ্যরাত পর্যন্ত। শুরুতে এক সপ্তাহের জন্য ছিলাম গুয়াদালাজারায়। তখন হিসাব কষতাম। এই সপ্তাহ ধরে দিনে ২০ বার আমাকে বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো।

অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন ৪ বার শারীরিক সম্পর্ক করেছে আমি কখনোই বাঁধা দেইনি..

তখন আমার কান্নাকাটি দেখে কিছু লোক হাসত। আমাকে চোখ বন্ধ করে রাখতে বলা হতো, যাতে আমার সঙ্গে কী করা হচ্ছে, তা দেখতে না পাই’, বলেন কার্লা।

পড়ুন  শাড়ি পরা শিখে নিন ধাপে ধাপে ছবিসহ

মেক্সিকোর এই নারী জানান, তাকে কয়েকটি শহরে বিভিন্ন পতিতালয়, রাস্তার পাশের মোটেলে রাখা হয়। কোনো ছুটির দিন বা অবসর ছিল না।

পাচারের শিকার হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দিনে ৩০ বার বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো। এভাবে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

আমি বুঝতে পারছি না, আংকেল সুযোগ পেলেই আমার সাথে…. পড়ুন বিস্তারিত

২০০৬ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক পাচারবিরোধী অভিযানে মুক্ত হন কার্লা। সেই থেকেই তার অন্ধকার জীবনের অবসান হয়।

সুত্র:বিডিলাইভ২৪ডটকম

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

2 comments

  1. tanjilul alam

    amar linger aga mota gora chikon ajonne amar koronio ki?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.