...

যমজ সন্তান হওয়ার কারণ কি? স্বামী স্ত্রীর যে ভুলের কারণে যমজ সন্তান হয়

যমজ সন্তান

যমজ সন্তান

যমজ সন্তান হলো একই গর্ভধারনে সৃস্ট দুটি সন্তান।যমজ মনোজাইগোটিক (“অভিন্ন”) হতে পারে, অর্থাৎ তারা একটিমাত্র জাইগোট থেকে বড় হতে পারে পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি এমব্রায়োস গঠন করে, অথবা ডিজাইগোটিক (“ভ্রাতৃসম”), অর্থাৎ তারা আলাদা ডিম্বক থেকে বড় হয়, প্রত্যেকটি নিষিক্ত হয় আলাদা শুক্রানু দ্বারা।

অন্যদিকে একটি ফিটাস যখন একা গর্ভে বড় হয় তাকে সিঙ্গেলটন বলে এবং বহুজন্মে ভূমিষ্ঠ সন্তানেরের সাধারন পরিভাষা হলো মাল্টিপল।
এমন ইচ্ছাটা অনেকেরই হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই হয়ত যমজ সন্তান নিতে পারবেন না তবে প্রক্রিয়াটি জেনে রাখতে পারেন।

 

যমজ সন্তান কখন হয়?

একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুইটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়। এভাবেই অভিন্ন যমজ শিশুর (আইডেন্টিক্যাল টুইন) জন্ম হয়। এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জীন একই হয়ে থাকে। একারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়।
যেসব যমজ শিশু দেখতে অভিন্ন হয়, তারা আসলে ‘নন আইডেন্টিক্যাল টুইন’।

 

মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনও একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এসময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সবসময় একই লিঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্ন হয়।

পড়ুন  আমার স্বামী ওর অফিসের কলিগের সঙ্গে সম্পর্ক করে..

 

প্রতি ৬৫ জনে একজন মায়ের সাধারণ প্রক্রিয়াতেই দুটি যমজ সন্তান হতে পারে। মায়ের পরিবারে কেউ যমজ থেকে থাকলে এর সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রতি ১০,০০০ এ একজন মায়ের তিনটি টুইন শিশু হতে পারে। চারটি যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। তবে বর্তমান সময়ে নিঃসন্তান দম্পতিদের চিকিৎসার অগ্রগতির কারণে টুইন শিশু হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে গেছে।

জেনে নিন যমজ বাচ্চা হওয়ার কারণ কি?

যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা

• গর্ভধারণের শুরু থেকেই বেশি বেশি শরীর খারাপ লাগতে থাকলে
• গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় বেশ বাড়লে
• পরিবারে কেউ যমজ থাকলে
• চিকিৎসার মাধ্যমে নিঃসন্তান মায়েরা যখন গর্ভধারণ করেন

গর্ভধারণের দুমাসের মাথায় আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষায় যমজ সন্তান হবে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়। অভিন্ন যমজ কিনা তাও এসময় বলা যেতে পারে। না পারা গেলে পরবর্তী সময়ে আবার পরীক্ষা করিয়ে জেনে নেওয়া যায়।

আপনার গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কেননা যমজ শিশুর জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষত অপরিপক্ক শিশু হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়। অভিন্ন যমজ হলে ১৬ সপ্তাহের পর প্রতি ২-৩ সপ্তাহ অন্তর আল্ট্রাসাউন্ড করা ভাল, অভিন্ন না হলে ৪ সপ্তাহ অন্তর। যমজ সন্তান হলে সিজার করাটাই নিরাপদ। কিন্তু স্বাভাবিক উপায়ে সন্তানের জন্ম দিতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পড়ুন  ওর নাকি হ্যাজবেন্ডের সাথে কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি...

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.