কেশ লম্বা রাখবেন তাও খোলা কিন্তু কি ভাবে ?
লম্বা খোলা কেশ। দেখতে লাগে বেশ। কোঁকড়া, সোজা, ঢেউখেলানো লম্বা চুলের আবেদন ছিল, আছে, থাকবে। লম্বা চুলে বেণি, খোঁপা, ঝুঁটি—পছন্দমতো যেকোনো স্টাইল করা সম্ভব।
তবে এত কষ্ট করে বড় করা চুল গুলো মাঝেমধ্যে খোলা রাখার ইচ্ছে হতেই পারে। তবে সাদামাটাভাবে কেশ খুলে রাখাটা অনেকের কাছেই একঘেয়ে মনে হতে পারে। তাঁরা দেখে নিন, কীভাবে নতুন নতুন রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন খোলাকেশ।
কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘সামনের অংশেকেশ কেটে ছোট করতে পারেন। এতে করে লুক বদলে যাবে।
কেশ কিছুটা ফুলেও থাকবে। বেশি লম্বা হয়ে গেলে অনেকের চুল পড়তে থাকে, এটাও কমে যাবে। তবে সামনের দিকে কেশ কাটলে সেট করে রাখা ভালো। পেছনের চুল খোলা রাখতে চাইলে ব্লো ড্রাই করে রাখা যায়। তাহলে গোছানো একটা ভাব আসবে।’
এ ছাড়া রাতের বেলা ঘুমানোর সময় এক আঙুল সমান চিকন করে পরের দিন সকালে চুল খুলে দিলে পুরা চুলেই কোঁকড়ানো ভাব চলে আসবে। এতে কোনো ড্রায়ারও ব্যবহার করতে হবে না।
কেশ যখন ব্লো ড্রাই করবেন, তখন বেশি গরম বাতাস ব্যবহার করবেন না। লম্বা কেশের যত্ন বেশি নিতে হয়। সপ্তাহে তিন দিন তেল গরম করে মাথায় হালকা ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত আঁচড়াতে হবে—কেশ যেন খুব বেশি জট লাগতে না পারে। ঘুমের সময়কেশগুলো বেঁধে রাখতে হবে।
সামনে কোঁকড়ানো পেছনে সোজা
হটকার্ল ব্যবহার করে সামনের দিকে কিছু চুলে বড় আকারের কোঁকড়া করা হয়েছে। পেছনের কেশ গুলো সোজাই আছে।
কোঁকড়ানো স্টাইল
পুরো কেশই হটকার্ল ব্যবহার করে কোঁকড়া করা হয়েছে। তবে খুব লম্বাকেশে বেশিক্ষণ কোঁকড়ানো ভাবটা থাকে না। কিছুক্ষণ পরেই সোজা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মুজ বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
ওপরে সোজা, নিচে কোঁকড়া
ওপরের চুলগুলো ব্লো ড্রাই করা। নিচের অংশের চুলগুলো কার্লারের মোটা অংশটি ব্যবহার করে কোঁকড়া করা হয়েছে। সাধারণত কেশের যে পাশটায় সিঁথি করেন, সেটা না-হয় একটু বদলে নিলেন। চাইলে সামনের কেশ নিয়ে উল্টো করে ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে নিতে পারেন। তৈরি হয়ে যাবে আরেকটি স্টাইল।
জিগজ্যাগ কোঁকড়া
ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত জিগজ্যাগ কোঁকড়া করা হয়েছে। যাঁরা বড় আকারের ঢেউ চাইছেন না পছন্দের কেশে তাঁরা এটা করে দেখতে পারেন।