...

আপু এভাবেই আমি ওকে দিনের পর দিন…

আমি

আপু এভাবেই আমি ওকে দিনের পর দিন…

বিচিত্র মানুষের জীবন আর এই বিচিত্র জীবনের বহু বাক, জীবন আছে বলেই সমস্যা আছে। এই সব সমস্যার সমাধান ও আছে। কিছু কিছু সময় এই সব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে, মানুষের দ্বারা তৈরী কিছু সমস্যা মাঝে মাঝে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এই সব ঝামেলা মোকাবেলা করে জীবনকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি সোমা কামাল সবাইকে সবসময় এটাই বলে থাকি, জীবন আপনার এটাকে গুছিয়ে নেবার দ্বায়িত্ব আপনারই। দীর্ঘ সময় থেকে আপনাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে আমরা পরামর্শ দেবার চেষ্টা করছি, আশা করছি এই ধারা অব্যাহত থাকবে, আপনিও চাইলে আপনার যেকোন সমস্যার কথা আমাদেরকে মেইল করতে পারেন কিংবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানাতে পারেন, আমাদেরকে লেখার ঠিকানা: www.facebook.com/apoardoctor

 

আমাদের গতকালের লিখাটি প্রকাশ করার পর অনেকে ইশিতা কে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। এ জন্য সকল পাঠককে ধন্যবাদ জানাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন তার জীবনের কিছু কথা, আমরা সংক্ষেপে সেটা প্রকাশ করলাম।

রুমি (ছদ্মনাম): আপু আমি আমার এই ছোট্ট জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি এই কথা কারও সাথে শেয়ার করতে পারছি না, আবার নিজের ভিতরে রেখে সহ্য ও করতে পারছি না। আমি আপনার থেকে ভালো কিছু পরামর্শ চাই। আমি বুজতে পারছি না যে, বিষয়টি আপনি কিভাবে নিবেন তবু আমি এটাও বলছি একহাতে কিন্তু তালি বাজে না। আমি মালিবাগ একটি বাসায় থাকতাম ঢাকা কলেজ পড়াকালীন, আমাদের বাসায় কাজের জন্য এক পরিচিত মহিলাকে বলি, উনি অনেক চেষ্টা করে একজন কে ঠিক করে দেন কিছুদিন পরে।
শারীরিক সম্পর্কের পর সে বিয়ে ভেঙে দিতে চায়…

পড়ুন  বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে নগ্ন করেছিলেন প্রথমে তারপর…

 

আমি প্রথমে দেখে বিশ্বাসই করতে পারিনি যে এই মেয়েই বাসায় কাজ করবে, এত সুন্দর সেটা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। মেয়েটির নাম কাজল। ও কাজ শুরু করার অল্প দিনের মধ্যেই আমার সাথে বেশ ভালোই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। পরে একদিন জানতে পারলাম ও বিবাহিত এবং প্রেম করেই বিয়ে করেছে। গ্রামের মেয়ে স্বামী ব্যাবসা করতে যেয়ে সবকিছু লস করেছে, তাই ঢাকায় চলে এসেছে। স্বামী চাকরি খুজছে লেখাপড়া খুব বেশী জানে না। ওর বিয়ের কথা শুনে আমি ভেংগে পড়লাম কিন্তু হাল ছাড়েনি। আমি কাজল কে ভালোবাসার প্রস্তাব দিলে, কাজল বলে এটা এই জনমে সম্ভব না। আর্থিক অনটনের কারণে ওদের সংসারে সবসময় অশান্তি লেগেই থাকতো, তাছাড়া কাজল এর স্বামীর কিছু শারিরীক সমস্যা ও ছিলো। আমি বিভিন্নভাবে সাহায্য করতাম, ও আস্তে আস্তে আমার প্রতি ও দুর্বল হয়ে যায়। আমাদের সম্পর্ক এক সময়ে প্রনয়ে রুপ নেই। দৈহিকভাবে আমরা সুযোগ পেলেই মিলিত হই, ওর একটি ছেলে আছে তবুও আমি কাজলকে বিয়ে করবো এই বলে আশা দিয়ে রাখি। কিন্তু আজ বলছি আমার পক্ষে ওকে বিয়ে করা সম্ভব ছিলো না কারণ আমার পরিবার থেকে সেটা মেনে নিবে না।

পড়ুন  আব্বু কেন আমার সাথে এমন করে....

আব্বুর হাতে ধরা পড়লেই আম্মু বড় আপুর নামে দোষ দিত

একদিন কোন একটা কারণে বাড়িওয়ালা আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে, আমার সাথে এক বন্ধু থাকতো নাম রাজন। রাজন কলেজের হলে চলে যায়। যেহেতু কাজলের স্বামীর সাথেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো তাই, আমি কাজলের বাসায় উঠি। ওদের রুমের পাশেই একটা চিপা জায়গা ছিলো সেখানেই থাকতাম, ইতিমধ্যে আমি ওর স্বামীকে একটি চাকরির ব্যাবস্থা করে দিই, লক্ষ্য একটাই কাজলকে একান্তে কাছে পাওয়া। আমাদের ভিতরে এই সম্পর্ক এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন, কোন একটি সুত্রধরে কাজলের স্বামি এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে। আমি ওদের বাসা থেকে পালিয়ে চলে আসি। কাজলকে ব্যাপক মারধর করে, কিছুদিন পরে কাজলকে তালাক দিয়ে দেয়। কাজল আমার কাছে চলে আসতে চায় কিন্তু আমার পক্ষে কাজলকে বিয়ে করা সম্ভব না। আবার নিজের কাছে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে, আমি কেন এভাবে কাজলের জীবন টা নষ্ট করলাম, কাজলের তো কোন দোষ ছিলো না। আপু আমি না পারছি সহ্য করতে না পারছি কিছু করতে, এখন আপু প্লিজ আমাকে কিছু বলুন আমি এখন কি করতে পারি?

পড়ুন  চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন ৪৫বছরের শিক্ষক !

আরো একটি ঘটনা প্রথমে বড় আপাকে, তারপর মেঝো আপা আর এখন আমাকে….

পরামর্শঃ আপনি নিজেই বলছেন আপনার কিছুই করার নেই, তাহলে আমি কি পরামর্শ দিবো আপনাকে? আপনি ওই মেয়েটিকে মন থেকে ভালোবাসেননি। নিজের কু লালসা চরিতার্থ করার জন্যই আপনি তাকে বেঁচে নিয়েছিলেন, এভাবে একটি মেয়ের জীবন কেন নস্ট করলেন? মেয়েটিকে কেন এভাবে ফাঁদে ফেললেন? আমার তো মনে হয়, আপনি একজন মনুষ্যরুপী জানোয়ার। আপনার শিক্ষার কোন মুল্য নেই, আপনার মতো ভন্ডরা সমাজের কান্সার। আপনার মত কিছু পুরুষের কারণে সমাজে নারীদের এত দুরাবস্থা।

পাঠক আপনারা যারা এতদিন ধরে আমাদের এই কলাম পড়ছেন তাদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখছি এইসব নরপশুদের কি শ্বাস্তি হওয়া উচিত?

সূত্র:ভিন্নডটকম

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.