কিশমিশ খাওয়ার ৮ টি শারীরিক সমস্যার সমাধান
কিশমিশ আমরা সাধারণত রান্নার কাজেই বেশি ব্যবহার করে থাকি। এমনিতে খাওয়া হয় অনেক কম। অনেকের ধারণা শুধু কিশমিশ খেলে দাঁতের ক্ষতি হয় অনেক।
কিন্তু এটি ভুল ধারণা। এটি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এটি। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি থেকে দূরে থাকাই ভালো।
১) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কিশমিশের ভুমিকা:
এটিতে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।
২) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কিশমিশের ভুমিকা:
এটিতে পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৩) কলেস্টোরলের সমস্যা:
কিশমিশে খারাপ কলেস্টোরল রয়েছে ০%। এছাড়া এটির স্যলুবল ফাইবার খারাপ কলেস্টোরল দূর করে কলেস্টোরলের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।
৪)চোখের সুরক্ষায়:
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। এটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।
৫) অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে কিশমিশের ভুমিকা :
অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করে।এটিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।
৬) কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে:
কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও এটিতে বিদ্যমান টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।
৭) রক্তস্বল্পতায় :
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।
৮) দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় কিশমিশের ভুমিকা:
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে।অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।
যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনাদের পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর health সাইটে।মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন।ধন্যবাদ
Nice post