...

জন্ডিস হলে কি খাওয়া উচিত ও কি খাওয়া উচিত না

জন্ডিসজন্ডিস হলে কি খাওয়া উচিত

►► জন্ডিস (Jaundice) নিজে কোন রোগ নয়, বরং এটি রোগের লক্ষণ। লিভারের সমস্যা ছাড়াও রক্তের রোগ কিংবা পিত্তের স্বাভাবিক প্রবাহ পাথর, ক্যান্সার কিংবা অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলেও জন্ডিস হতে পারে। তবে জন্ডিস বলতে সাধারণত আমরা লিভারের একিউট প্রদাহ বা একিউট হেপাটাইটিস জনিত জন্ডিসকেই বুঝে থাকি। ভাইরাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ওষুধ, এলকোহল ইত্যাদি অনেক কারণেই লিভারে একিউট হেপাটাইটিস হতে পারে। প্রসঙ্গত প্যারাসিটামল কিংবা টিবি রোগের ওষুধের কথা বলা যায়।
►► তবে আমাদের দেশে একিউট হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস ই, এ এবং বি ভাইরাস। এর মধ্যে এ এবং ই পানি ও খাদ্যবাহিত আর বি ছড়ায় মূলতঃ রক্তের মাধ্যমে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস প্রধানত শিশুদের জন্ডিসের কারণ, তবে যে কোন বয়সের মানুষই হেপাটাইটিস ই ও বি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

 

►► আমাদের প্রথাগত বিশ্বাস হচ্ছে জন্ডিস হলেই বেশি বেশি পানি খেতে হবে। খেতে হবে বেশি করে আখের রস, ডাবের পানি, গ্লুকোজের সরবত ইত্যাদিও। আসলে ব্যাপারটি কিন্তু এরকম নয়। জন্ডিস রোগীকে সাধারণ মানুষের মতোই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। সমস্যা হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পানি খেলে।

পড়ুন  সিগারেট খেলে ক্যান্সার রুখবে, অবাক হচ্ছেন? বিশেষজ্ঞরা যা বললেন জানুন

এক গ্লাস উষ্ণ লেবুর পানির ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

Loading...

বিশ্রামই যেখানে জন্ডিস রোগীর প্রধান সমাধান/ চিকিৎসা, সেখানে প্রস্রাব (urine) করার জন্য বারবার টয়লেটে যেতে হলে রোগীর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে, যা রোগীর জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। তেমনিভাবে বেশি বেশি ফলের রস খাওয়াও বুদ্ধিমানোচিত হবে না। কারণ এতেও একই কারণে রোগীর বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটে। পাশাপাশি বেশি বেশি ফলের রস খেলে পেটের মধ্যে ফার্মেন্টেশনের কারণে রোগীর পেট ফাপা, খাওয়ায় অরুচি ইত্যাদি বেড়ে যায়।

 

আখের রস আমাদের দেশে জন্ডিসের একটি বহুল প্রচলিত ওষুধ। অথচ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে রাস্তার পাশের যে দুষিত পানিতে আখ ভিজিয়ে রাখা হয় সেই পানি থেকেই অনেক সময় আখের রসে এবং তারপর ঐ রস থেকে হোটাইটিস এ বা ই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে।

 

আখের রসে থাকে গ্লুকোজ, এই গ্লুকোজ বিপাক হয় যকৃতে, তাই বেশি গ্লুকোজ খেলে উলটা অসুস্থ যকৃতে চাপ পরে।

আমাদের আরেকটি প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে জন্ডিসের রোগীকে হলুদ দিয়ে রান্না করা তরকারি খেতে দেয়া যাবে না কারণ একে রোগীর জন্ডিস বাড়তে পারে। আসল কথা হলো রক্তে বিলিরুবিন নামক একটি হলুদ পিগমেন্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণেই জন্ডিস দেখা দেয়, কিন্তু এর সাথে খাবারের হলুদের কোন ধরনের যোগাযোগই নেই।

পড়ুন  জন্ডিস কী? জন্ডিসের প্রতিকার

 

►► একইভাবে জন্ডিসের রোগীকে তেল-মসলা না দিয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধ-সিদ্ধ খাবার খেতে দেয়ারও কোন যুক্তি থাকতে পারে না। এ সমস্ত রোগীদের এমনিতেই খাবারে অরুচি দেখা দেয়। তার উপর এ ধরনের খাবার-দাবার রোগীদের উপকারের চেয়ে অপকারই করে বেশি। তাই জন্ডিসের রোগীকে (Jaundice patient) সবসময় এমন খাবার দেয়া উচিত যা তার জন্য রুচিকর, যা তিনি খেতে পারছেন।

যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনাদের পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর health সাইটে।মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন।ধন্যবাদ

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.