গর্ভপাত কতদিনের মধ্যে হওয়া নিরাপদ?
গর্ভাশয়ের ভ্রুনটি ডিম্বানু নিষেকের পর থেকে পরবর্তী ২০ সপ্তাহের মধ্যে যে কোন সময়ে প্রসবের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাবার নামই গর্ভপাত। বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ গর্ভপাতই হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে ভ্রুন নষ্ট করার কারনে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে, অনেক সময় মায়ের সন্তানটি ধারন করার ইচ্ছা থাকলেও নিজে থেকেই গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে আবার মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা বা শিশুটিকে চরম দুর্ভাগ্যের হাত থেকে বাঁচাতেও বৈধভাবে Abortion করানো যেতে পারে৷
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আইনত ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত(abortion) করানো গেলেও ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত নিরাপদ ৷ ৯ সপ্তাহ পর্যন্ত ঔষুধের দ্বারাই গর্ভপাত করানো সম্ভব বলে মনে করছেন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু ১২ সপ্তাহের পর গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই ২ জন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরী ৷
কি কি সমস্যা হতে পারে?
১. শরীরে ইনফেরশন
২. জরায়ু বাদ দিতে হতে পারে
৩. মৄত্যুও ঘটতে পারে ৷Abortion করানোর সময় ৩টি বিষয়ে নজর রাখতে হবে৷
১. একজন অভিজ্ঞ স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞই পারেন গর্ভপাত করাতে ৷
২. গর্ভপাত করানোর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে সেইরকম কোনো হাসপাতালে গর্ভপাত করানো যাবে ৷
৩. ২০ সপ্তাহের পর গর্ভপাত করালে সেটা বেআইনি বলে গণ্য হবে ৷
ভ্রুনের প্রথম দিন থেকেই তাকে একটি মূল্যবান প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, এটাই চিকিৎসাশাস্ত্রের মূলমন্ত্র৷ তাই থেরাপিউটিক এবরশনের বাচ্চাটি যদি সুস্থ্য থাকে এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তাহলে অবশ্যই সেই চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত ৷
আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না। মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন, আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব। ধণ্যবাদ আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটের সাথে থাকার জন্য।