কীভাবে বুঝবেন ঋতুস্রাব স্বভাবিক হচ্ছে কিনা? |
পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে অনেকে জানেন না ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড স্বাভাবিক নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা।তাছাড়া বান্ধবীদের ভিতর এই বিষয়ে সমালোচনা না হলে একটা ঘাতটি থেকে যায়।ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড শুরু হয় বয়সন্ধিকালে।আর এই ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড চলতে থাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে।প্রতি মাসে একবার করে হয়।তবে যদি মেটে নাও হয়,মাসে ২-৩ বার হয় অথবা নিয়মিতভাবে দিন মেনে না হয় তবে বুঝতে হবে সমস্যা।এরজন্য আপনাকে ভালো কোন অভিঞ্জ ডাক্তারের সরানাপন্ন হতে হবে।
ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের সময়কাল :
স্বাভাবিক নিয়মে ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এর সময়কাল ৩-৫ দিন পর্যন্ত।তবে ২-৭ দিন ও হতে পারে।তবে ৭ দিন পরেও যদি রক্তপ্রবাহ বেশি পরিমাণে থাকে তবে সেটা অস্বাভাবিক।
রক্তপ্রবাহের পরিমাণ :
এক এক জন নারাীর ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এর রক্তপ্রবাহের পরিমাণ এক এক রকম।কারো অনকে বেশি , কারো মাঝারি কারো আবার খুব কম পরিমাণে।
দিনে হালকা করে কয়েকবার হওয়াটা স্বাভাবিক।২-৩ টা প্যাড পরিবর্তন করাটা স্বাভাবিক।দিনের বেলা এই নিয়ম ঠিক, তবে মধ্যরাতে যদি একইভাবে চলতে থকে তবে সেটা অস্বাভাবিক।কারণ রাতের বেলা ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এ রক্ত প্রবাহের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে কম থাকে।
পরবর্তী ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়কাল :
স্বাভাবিকভাবেই জানা যায় যে বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল হয়ে থাকে ২৮ দিন। তবে বর্তমান গবেষণায় জানা গেছে যে, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমান ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এর মধ্যবর্তী ব্যবধান হবে ২১ দিন থেকে ৩৫ দিন এবং এটা স্বাভাবিক। আর ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এই সময়কাল ২১ দিনের কম অথবা ৩৫ দিনের বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক।
ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এর স্বাভাবিক হওয়ার কিছু লক্ষণ :
* ক্ষুধা লাগবে।
*শারীরিক অনুভূতি দৃঢ় হবে।
*মেজাজ খিটখিটে থাকবে
* হালকা হালকা মাথাব্যথা থাকবে।
*মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
* ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
*মাঝে মাঝে বমি ভাব হতে পারে।
আরো কিছ পোষ্ট যেগুলো আপনার কাজে লাগতে পারে:
কীভাবে বুকের দুধ চেপে রাখবেন?
চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবেন যে পাঁচটি উপায়ে
পুরুষের অতি প্রয়োজনীয় ৯ খাবার না জানলে নয়
এই শীতে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করা কি আদৌ সম্ভব?