কনুইয়ের কালচে দাগ দূর করতে এবং নরম ও মসৃণ করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে দেখতে পারেন। জেনে নিন এমন তিনটি উপায় সমন্ধে : লেবুর ব্যবহার: লেবু কনুইয়ের দাগ দূর করেতে বেশ কার্যকর। লেবুতে (lemon) প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড, ভিটামিন সি ও প্রাকৃতিক ব্লিচের উপাদান থাকায় তা দ্রুত কনুইয়ের কালো দাগ দূর করে এবং কনুই নরম করে। প্রথমে একটি লেবু (lemon) কেটে দুই টুকরো করে নিন। এবার কনুইতে লেবু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পাঁচ মিনিট ঘষুন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। টানা এক সপ্তাহ প্রতিদিন লেবু (lemon) দিয়ে কনুই ঘষুন। দেখবেন, খুব সহজেই কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। অ্যালোভেরার রস (juice) ব্যবহার: কনুইয়ের কালচে দাগ দূর করে কনুই নরম ও মসৃণ করতে অ্যালোভেরার রস (juice) ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে অ্যালোভেরার রস বের করে হাতের কনুইতে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলুর রস ব্যবহার: আলুর রস (juice) ত্বক উজ্জ্বল করতে কার্যকর। প্রথমে আলু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস (juice) বের করে নিন। এবার হাতের কনুইয়ে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কনুই ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে সামান্য ভ্যাসলিন না ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিয়ে মাসাজ করে নিন।
পুরো দেহের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল অথচ কনুইয়ের ভাঁজে কালচে ধরণের দাগ আপনার সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধুমাত্র কনুইয়ের কাছে কালচে দাগের কারণে অনেকে ছোটো হাতার পোশাক পড়তে অস্বস্তি বোধ করেন। তবে এই সমস্যা কিন্তু খুব সহজেই দূর করা যায়। কালচে দাগের পাশাপাশি কনুইয়ে খসখসে ভাবও নিমেষেই দূর করে দিতে পারেন। আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক এমনই কার্যকরী উপায় যা ফিরিয়ে দিতে পারে আপনার হাতের সৌন্দর্য।
অলিভ অয়েলের ব্যবহার:
সামান্য অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এবার এই অলিভ অয়েল ১০ মিনিট করে কনুইয়ের দাগের উপরে ঘষতে থাকুন। প্রতিদিন এই পদ্ধতি পালন করলে শুষ্ক হয়ে যাওয়া ত্বক এবং শুষ্ক ফেটে যাওয়া ত্বকের কারণে কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই।
লেবুর ব্যবহার:
একটি লেবু মাঝে খণ্ড করে নিন। একটু চিপে রস (juice) করে নিয়ে লেবুর (lemon) খণ্ডটি ভালো করে কনুইয়ের কালচে দাগের উপরে ঘষে নিন। লেবুর ব্লিচিং উপাদান কালচে দাগ দূর করবে। যদি একই সাথে খসখসে ভাব দূর করতে চান তাহলে লেবুর খণ্ড চিনির মাঝে গড়িয়ে নিন। এবং চিনি মাখানো লেবুর খণ্ড দিয়েই কনুই ঘষে নিন। বেশ ভালো ফল পাবেন।
লেবু ও বেসনের ব্যবহার:
১টি লেবুর রস (juice) চিপে নিন। এতে দিন ২ টেবিল চামচ বেসন। ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এরপর কনুইয়ে লাগিয়ে রাখুন। যখন শুকিয়ে আসবে তখন হাতে অল্প পানি নিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। চাইলে পুরো হাতে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে।
লেবু ও মধুর ব্যবহার:
লেবুর (lemon) ব্লিচিং উপাদান এবং মধুর ময়েসচারাইজার উপাদান খুব সহজেই কনুয়ে বিশ্রী কালচে দাগ দূর করে দিতে পারে। সমপরিমাণ লেবুর রস (juice) ও মধু মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রন তৈরি করুন। এরপর মাত্র ১০ মিনিট ভালো করে ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলুন মিশ্রণটি।
উল্লেখ্য, হাতের কনুইয়ের মত অনেকের হাঁটুতেও কালচে দাগ থাকে। এই একই পদ্ধতিতে আপনি হাঁটুর কালচে দাগ থেকেও মুক্তি পাবেন।
সাধারণ কিছু টিপস:
১) পিউমিস স্টোন বা স্ক্রাব ব্যবহার করুন মরা চামড়া দূর করতে।
২) ময়েসচারাইজার শুধু মুখের ত্বকে ব্যবহার করবেন না। কনুই এবং হাঁটুর ত্বকেও ময়েসচারাইজার লাগান।
এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন মাত্র ৪ টি ধাপ অনুসরণ করলেই:
প্রথম ধাপ (স্কিন সফটেনিং):
আমরা স্কিনকে পরবর্তী ধাপের জন্য তৈরি করে নিব। কনুই এবং হাঁটুর এড়িয়া অনেক বেশি ড্রাই হয়ে থাকে। তাই একে সফট এবং হাইড্রেট করে নেওয়ার জন্য শসা অত্যন্ত ভালো কাজ করে। শসা চাক চাক করে কেটে নিয়ে কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগের উপর ১০-১৫ মিনিট ঘষে নিতে হবে। এরপর ৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শসা স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা কালচে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ই এবং এ রয়েছে, যা আমাদের স্কিনকে রেডিয়েন্ট ইফেক্ট এবং সান প্রোটেকশন দেয়।
দ্বিতীয় ধাপ (এক্সফ্লোয়েটিং):
প্রথম ধাপে শসা দিয়ে স্কিনকে দ্বিতীয় ধাপের জন্য তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। আর এই ধাপে আমরা কনুই এবং হাঁটুতে এক্সফ্লোয়েটিংয়ের মাধ্যমে স্কিন স্মুদ করার পাশাপাশি তৃতীয় ধাপের জন্য প্রস্তুত করব।
এই এক্সফ্লোয়েটোর তৈরি করতে বেকিং পাউডার এবং কাচা দুধ লাগবে। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং ২ টেবিল চামচ কাচা দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুতে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা একটি জেন্টল স্কিন ক্লিঞ্জার এবং ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এটি কনুই এবং হাঁটুর মরা চামড়া দূর করে এবং জীবাণু নাশ করতে সাহায্য করবে এবং পরবর্তীতে যেই প্যাকটি আমরা ব্যবহার করব তা ত্বককে শুষে নিতে সাহায্য করবে আর কাচা দুধ আমাদের স্কিনকে ক্লিন এবং ময়েশ্চারাইজিং করে।
তৃতীয় ধাপ (হোয়াইটেনিং প্যাক):
দ্বিতীয় ধাপের পর এবার প্যাক লাগানোর পালা। তার আগে তো হোয়াইটেনিং প্যাকটি তৈরি করতে হবে। হোয়াইটেনিং প্যাক তৈরি করতে লাগছে- পেঁয়াজ, লেবুর (lemon) রস, (juice) মধু এবং বেসন। একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের পেস্ট, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, হাফ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজ স্কিনকে নারিশ করে, স্কিনের ইম্পিউরিটি দূর করে এবং কালচে দাগ রিমুভ করে। লেবুর (lemon) রসে (juice) ৬% সাইট্রিক এসিড রয়েছে, যা স্কিন টোন কে লাইট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মধুতে ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা স্কিনকে ক্লিয়ার এবং ময়েশ্চারাইজ করে। বেসনে রয়েছে স্কিন লাইটেনিং এজেন্ট যা স্কিনকে লাইট করে তোলে। এছাড়াও এটি স্কিনের ডেড স্কিন সেল রিমুভ করে।
সবশেষ ধাপ (ময়েশ্চারাইজিং):
হোয়াইটেনিং প্যাকের পরে আপনার পছন্দমত যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এছাড়াও প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
এই প্রসেসটি সপ্তাহে ২-৩ দিন করবেন। একটু নিজের জন্যে সময় বের করে ধৈর্য ধরে করে নিলেই হলো।