মেথির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। কিন্তু এর গুণাগুণ অনেকেরই অজানা। মেথি ঔষধী গুণে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন-সি, আয়রণ, পটাসিয়াম, নিকোটিনিক এসিড, লেসিথিন। আমাদের চুলের (hair) বহু সমস্যায় মেথির রয়েছে বিবিধ ব্যবহার। যেমন কম বয়সে চুল (hair) পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে, চুলের(hair) বৃদ্ধিতে, খুশকি দূরীকরসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে মেথির ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আজ আপনাদের জানাচ্ছি চুল (hair) পড়া বন্ধে আর চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে, খুশকি দূরীকরণে মেথির ব্যবহার।
প্রয়োজনীয় উপাদান :
মেথি দানা (২ টেবিল চামচ বা তার সমপরিমাণ)
টক দই (এক কাপ বা তার সমপরিমাণ)
নারিকেল তেল/ আমন্ড অয়েল/ অলিভ অয়েল (ঐচ্ছিক)
প্রণালি :
প্রথমে ১/৪ কাপ মেথি দানা (অথবা ২ টেবিল চামচ) একটি পাত্রে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর সেই পাত্রে কিছু পরিমাণ পানিতে সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা মেথি পাটায় নিয়ে খুব ভালোভাবে মিহি করে পেস্ট করে নিন। চাইলে ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। পেস্ট করা মেথিতে এক কাপ টক দই নিয়ে খুব ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কম পক্ষে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার চুলে (hair) তেল ম্যাসাজ করুন। এক্ষেত্রে নারিকেল তেল বা আপনার পছন্দনুযায়ী যে কোনো তেল নিতে পারেন। চুলে তেল দেওয়ার আগে, তেলটা সামান্য গরম করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে তেল ম্যাসাজ নাও করতে পারেন। তবে যাদের চুল (hair) অধিক শুষ্ক এবং চুলে গিট লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার চুলে (hair) তেল দিয়ে নিন। এবার চুলে মেথি আর টক দইয়ের মাস্কটি আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। মাস্কটি ৪০ থেকে ৫০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। তারপর কন্ডিশনার লাগান। এভাবে মাস্কটি মাসে দুইবার লাগাতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ, আগা ফাটা সমস্যা, চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে।
সতর্কতা : মাস্কটি পরিষ্কার চুলে (hair) লাগান, মেথিতে আপনার এলার্জি থাকলে, এই মাস্কটি ব্যবহার করবেন না।
প্রয়োজনীয় উপাদান : মেথি দানা, নারিকেল তেল।
প্রণালি :
এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল নিন। তাতে দুই চা চামচ মেথি দানা (চাইলে মেথি গুঁড়ো দিতে পারেন) দিন। নারিকেল তেল ফুটাতে থাকুন যতক্ষন পর্যন্ত না মেথি দানা লালচে বাদামি রঙ ধারণ না করে। লালচে বাদামি হয়ে যাওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে নিন। মেথি তেল থেকে আলাদা করে নিন। তেল যখন হালকা গরম হবে তখন তা নিয়ে স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে (hair) আলতো করে লাগিয়ে নিন। সারা রাত রেখে পরেরদিন শ্যাম্পু করে, চুলে কন্ডিশনার দিন। এভাবে সপ্তাহে দুই বার এই তেলটি ব্যবহার করুন।
নিয়মিত ব্যবহারে চুল (hair) পড়া বন্ধ হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়, অকালে চুল (hair) পাকা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, আগের তুলনায় চুলের রুক্ষতা কমে, তাতে কোমলতা ফিরে আসে ও স্ক্যাল্পের সমস্যা কমে ও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সতর্কতা : মেথিতে আপনার অ্যালার্জি থাকলে, এই তেলটি আপনার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে।
তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট