বিশাল এই পৃথিবী জুড়ে কত দেশ আর কত রকম মানুশ ,নানা রকম তাদের ধ্যান ধারনা এবং সংস্কৃতি। হাজার রকমের জীবনযাত্রার সাথে তাল রেখে স্বাস্থ্য চর্চার নানা উপায় আর তার প্র্যাকটিস চলছে সর্বত্র। এবার থাকছে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য নানা দেশের প্রচলিত কিছু কার্যকর খ্যাদাভাস ও স্বাস্থ্যকর টিপস।
বিশ্বখ্যাত কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস
১.মেক্সিকানদের ঝাল খাবার!
মেক্সিকানদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে খাবারে ঝালটা একটু বেশি দিতে পারেন। পরিমিত পরিমানে ঝাল আপনার স্বাস্থ্য এবং ওজন কমানোর জন্য ভাল। কারন গবেশনায় দেখা গেছে মরিচের ঝালের কারনে হজম প্রক্রিয়া ভাল ভাবে কাজ করে, আর তা দ্রুত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে দেখা গেছে হলুদ অ্যালঝেইমার এর মতন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
২.স্প্যানিশদের দিবানিদ্রা
স্প্যানিশদের মত দিবানিদ্রার অভ্যাস না থাকলে এবার থেকে শুরু করে দিন। স্প্যানিশরা তাদের বিকালের ছোটখাট ঘুমের জন্য বেশ বিখ্যাত। অবশ্য আমরা বাঙ্গালিরাও এতে তেমন একটা পিছিয়ে নেই। তবে যারা অফিসে ব্যস্ত থাকেন তাদের জন্য কাজের ফাঁকে ছোট “পাওয়ার ন্যাপ” খুব কাজে দেয়। এতে কর্মক্ষমতা বাড়ে , স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। এক রিপোর্টে দেখা গেছে জাপানি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পেছনে এই ছোট খাট একটু ঘুমের অনেক অবদান। সাথে এতে দেহের অতিরিক্ত ওজনও কমে। কাজেই আর দেরি কেন সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন ৩০-২৫ মিনিটের ঘুমের অভ্যাস করুন। দেখা গেছে এর ফলে হার্ট রোগের ঝুঁকিও কমে আসে।
৩.আইসল্যান্ড এবং জাপানীদের সামুদ্রিক মাছ
আইসল্যান্ড এবং জাপানীদের এর মতন বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ খান। রেড মিট হার্টের অসুখ ঘটায় যদিও এটা খাবার সময় বেশির ভাগ মানুষই এর বিকল্প কোন কিছু চিন্তা করেনা কিন্তু জানেন কি, রেদ মিটের চাইতে আর বেশি স্বাস্থ্যসম্মত প্রোটিন তারা সীফুড থেকে পেতে পারেন। এটাই কারন যার ফলে আইসল্যান্ড এবং জাপানি লোকেরা প্রচুর পরিমানে সামুদ্রিক মাছ খায়। ওমেগা -3 সমৃদ্ধ এসব মাছ নানান রকম রোগ বালাই থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।
৫.রাশিয়ান এবং ইতালীয়দের তাজা উপাদান
প্রক্রিয়াজাত খাবার সহজ দ্রুত এবং সুবিধাজনক হলেও আসলে এগুলো সাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। তাই রাশিয়ানরা তাজা, ঋতু উপর নির্ভরশীল খাবার খেতে পছন্দ করে। আর ইতালীয়দের পছন্দ লতা–পাতা, মানে হারবস। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য চেষ্টা করুন স্থানীয় বাজারের তাজা ফল ও সবজি কিনে খেতে।
৬.ফরাসিদের খাবারের প্রতি মনোযোগ
ফরাসি এবং ইতালীয়রা খাবারের সময় অন্য কোন রকম কাজে ব্যস্ত থাকে না। বলা যায় ‘Its only Eating Time’। তাই খাবারের প্রতি মনোযোগ দিন, অবশ্যই টিভি,মোবাইল এসব বন্ধ রাখুন। এর ফলে আপনি কি খাচ্ছেন, কেমন এর স্বাদ তা উপভোগ করতে পারবেন। আর আপনার অতিরিক্ত খাবার অভ্যাসও দূর হবে।