প্রশ্ন মতে এরুপ হলে যে দ্রুত বিয়ে করতে হবে এটা ভুল। আপনি পরেও বিয়ে করতে পারেন। পিরিয়ডে (period) বিভিন্ন কারনে ব্যাথা হতে পারে। *পিরিয়ডের (period) সময় গরম পানি খাবেন,টক জাতীয় ভিটামিন (vitamin) সি জাতীয় খাবার খাবেন।এতে কিছুটা উপকার মিলতে পারে। তবে ব্যাথা অতিরিক্ত হলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয় হবে।
★মাসিকের সময় ব্যথা (pain) হয়ে থাকে সাধারণত ১৭-২৩ বয়সি মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
★না! মেয়েদের মাসিকের সময় ব্যথা হলে তারাতারি বিয়ে করতে হয় না।কারণ মাসিকের ব্যথার সাথে বিয়ের হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
★যেহেতু বেশির ভাগ মেয়েদেরই এই মাসিক চলাকালিন পেটে ব্যথা (pain)হয় সে জন্য কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হবে যেমন:-
* ভিটামিন ই, বি১, বি৬, সি জাতীয় খাবার। যেমন: চীনাবাদাম, পোস্ত বাদাম, আম, কলা, আপেল, মাছ, ডিম, গম, সবুজ সবজি-এই খাবারগুলো মাংসপেশির সংকোচন কমিয়ে ব্যথা (pain) কমাবে।
* গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে ২০-২৪ মিনিট বসে থাকলে উপকার পাবেন।
* হালকা হালকা গরম পানি করে তা বোতলে ভরে পেটে ছ্যাক দিন। অথবা বালু সামান্য গরম করে তা কাপরের মধ্যে নিয়ে পেটে ছ্যাক দিবেন তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগাতে হবে। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করে, করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে।
* বেশি ব্যথা (pain) হলে গাইনি ডাক্তার এর কাছে পরামর্শ নিয়ে ব্যথা (pain)কমানোর ওষুধ, হরমোনের ওষুধ খাবেন।
প্রশ্ন : ব্যথার মাত্রাটা কতখানি থাকে?
উত্তর : এটা তার বয়সের ওপর নির্ভর করে। যেমন : কিশোরীদের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ব্যথা শুরু হবে মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে এবং ২৪ ঘণ্টার মতো ব্যথাটি থাকে। ব্যথাটা (pain) এতই থাকে যে সে অন্য কোনো কাজ করতে পারে না। তার দৈনন্দিন কাজ ব্যহত হয়। হয়তো সে স্কুলে বা কলেজে যেতে পারল না ব্যথার কারণে। তবে কিছু কিছু ব্যথা আছে যেটা অল্প, সহনীয়। এ রকম অল্প ব্যথা সবারই হতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
প্রশ্ন : যখন তীব্র ব্যথা (pain) হয় এটি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আপনারা কী পরামর্শ দেন?
উত্তর : প্রাইমারির ডিসম্যানোরিয়ার ক্ষেত্রে সেসব তরুণীকে আমরা কাউন্সিলিং (পরামর্শ) দেই। এটা যদি তাকে নিশ্চিত করা যায় সমস্যাটি ভালো হয়ে যাবে, তুমি কিছুদিন অপেক্ষা করো, তাহলে সে কিছুটা আশ্বস্ত হয়। নয়তো সে খুব চিন্তিত থাকে। সে একটু আতঙ্কেও থাকে যখন মাসিকের সময়টি কাছে আসতে থাকে তখন। বিশেষ করে যখন হয়তো পরীক্ষা চলে আসছে তখন তারা বলে, আমি এখন কী করব? এ ধরনের প্রশ্নগুলো আমরা অনেক পাই।
আমরা বিষয়টিকে আশ্বস্ত করি এবং ব্যথা (pain) নাশক ওষুধ দিয়ে থাকি। এনেলজেসিক জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকি। বলি, তোমার সমস্যাটি ভালো হয়ে যাবে, তুমি এই ওষুধটি খাবে। ওষুধ আমরা দুই তিনদিনের জন্য দিয়ে দেই।
আর সেকেন্ডারি ডিসম্যানোরিয়া অন্য রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। যেমন : জরায়ু এবং এর আশপাশের অংশের প্রদাহের কারণে এই সমস্যা (problem) হতে পারে। অথবা আরো কিছু রোগের কারণে হতে পারে। যেমন : এন্ডোমেট্রিওসিস, এডিনোমায়োসিস ইত্যাদি।