গরম-ঠান্ডার এই সময়ে হুট করেই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সর্দির বিরক্তিকর যন্ত্রণা আর সেইসঙ্গে মাথাব্যথা তো রয়েছেই। আর সেখান থেকে একবার কাশি বসে গেলে তো কথাই নেই! যন্ত্রণার একশেষ যেন! তবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়।
সর্দি সারানোর সহজ উপায় জেনে নিন
১.রসুনঃ রসুনের গুণাগুণ অনেক অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে ২-৪ কোয়া রসুনথেঁতো করে নিন। তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন ।
২.আদাঃ রসুনের মতোই আদাও খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া উপাদান। অনেক রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে আদা খুব উপকারী। জ্বর কমাতে এক কাপ আদার রসে মধু মিশিয়ে খান। সঙ্গে সঙ্গেই ফল পাবেন।
৩.দারুচিনিঃ গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, কফ সারাতে দারুচিনি খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে। এক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে তিন দিন দুই থেকে তিন বার খান।
৪.তুলসী পাতাঃ জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রস বেশ উপকারী। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে। ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে নিন। তারপর গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পাতাগুলো ফোটান। সেই ফোটানো জল এক কাপ করে রোজ খান। ঠাণ্ডা লাগলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন প্রতিদিন । সারাদিনে কমপক্ষে ১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। কণ্ঠ নালীকে আর্দ্র রাখতে বেশী বেশী পানি খাওয়া জরুরী। পানি কম খেলে গলায় কফের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৫.হলুদঃ কারো কারো ঠাণ্ডার সময় গলার টনসিলে অনেক ব্যথা হয় এমনকি কথা বলাও কখনো কখনো কঠিন হয়ে যেতে পারে। সাধারণত টনসিলে প্রদাহ হবার কারণে এমন ব্যথা হয় এজন্য গরম পানি নিন তাতে এক টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়ো বা এক টেবিল চামচ হলুদের রস মিশান এবং উষ্ণ অবস্থায় পান করুন তবে অবশ্যই উষ্ণতা গলায় সহনীয় হতে হবে।