...

বুক ধড়ফড় কেন করে ও বুক ধড়ফড় করার কারণ অাপনার করণীয় জেনে নিন

বুক ধড়ফড় করার কারন এবং চিকিৎসা।।।বুক ধড়ফড় করা একটি অতি সাধারণ উপসর্গ, যা নিয়ে রোগী অথবা সাধারণ মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। বুক ধড়ফড় বলতে বুকের ভেতরে হঠাৎ করে জোরে জোরে ধাক্কা দেওয়ার মতো অনুভূতিকে বুঝায়। এই অনুভূতি মাঝে মাঝে অথবা নিয়মিত অথবা অনিয়মিতভাবে হতে পারে।

কারণ : হৃদযন্ত্রজনিত কারণসমূহ (৪৩%), যেমন_ হৃৎপিণ্ডের(Heart) অলিন্দ ও নিলয়ের অকাল সংকোচন, অধিনিলয় ও নিলয় ঘটিত হৃৎপিণ্ডের (Heart) ছন্দপতন, মাইট্রাল ভাল্বের প্রোলাপ্স, এওর্টিক রিগার্জিটেশন, এওর্টিক স্টেনোসিস, মাইট্রাল স্টেনোসিস, কার্ডিও মায়োপ্যাথি, ভেন্ট্রিকুলার এ্যানুরিজম, এট্রিয়াল মিক্সোমা ইত্যাদি। মাঝে মাঝে বুকে ধড়ফড় সাধারণত হৃৎপিণ্ডের (Heart) অলিন্দ ও নিলয়ের অকাল সংকোচনের কারণে হয়ে থাকে। অকাল সংকোচনের পরের হৃৎস্পন্দন শক্তিশালী হওয়ার কারণে রোগীর নিকট তা বুক ধড়ফড়ের আকারে অনুভূত হয়ে থাকে। নিয়মিত দীর্ঘক্ষণস্থায়ী বুকে ধড়ফড় নিয়মিত অধিনিলয়জনিত অথবা নিলয়জনিত দ্রুত হৃৎস্পন্দনের কারণে হতে পারে।
অনিয়মিত দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী বুকে ধড়ফড় সাধারণত এট্রিয়াল ফিব্রিলেশনের কারণে হয়ে থাকে। ক্যাটেকোলামিন দ্বারা উত্তেজিত হৃৎপিণ্ড (Heart) ও রক্ত সংবহন তন্ত্রের হাইপারডিনমিক অবস্থার কারণে, যেমন_ ব্যায়াম, অতিরিক্ত চাপ ইত্যাদি পরিস্থিতি।
তাছাড়া এওর্টিক রিগার্জিটেশন, রক্তস্বল্পতা, বেরিবেরি ও গর্ভধারণজনিত কারণে দক্ষিণ নিলয়ের প্রসারণজনিত যে হাইপারডিনামিক সার্কুলেশন হয় তাতেও বুকে ধড়ফড় হতে পারে।

Loading...
পড়ুন  চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ভিডিওসহ

পরীক্ষা-নিরীক্ষা : বুক ধড়ফড়ের জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা হচ্ছে সে সময় একটি ১২-লিডের ইসিজি করা; তাছাড়া রোগীর রোগের ইতিহাস অনুযায়ী প্রয়োজনে এক্সারসাইজ ইসিজি, হল্টার মনিটরিং ইসিজি করা, ইত্যাদি। তাছাড়া রোগভেদে নিচের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা হয়ে থাকে, যেমন_
২-ডি ও এম-মোড ইকো কার্ডিওগ্রাফি, কালার ডপ্লার ইকো কার্ডিওগ্রাফি – হৃৎপিণ্ডের(Heart) বিভিন্ন গঠনগত এবং ভাল্বের রোগ শনাক্তকরণের জন্য। সিবিসি ও ইএসআর – রক্ত স্বল্পতা শনাক্তকরণের জন্য।
চিকিৎসা : যদি অলিন্দ ও নিলয়ের অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর সংকোচনগুলো সমস্যা করে, তাহলে এগুলো সাধারণত বিটা ব্লকার দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। মদ পান, ধূমপান ও নিষিদ্ধ ওষুধের (medicine) কারণে যদি বুকে ধড়ফড় হয়ে থাকে, তাহলে এগুলো পরিহার করতেই হবে; আর যদি কোনো ওষুধের (medicine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হয়ে থাকে তাহলে বিকল্প ওষুধ (medicine) ব্যবহার করতে হবে। মানসিক সমস্যার কারণে এ সমস্যা হলে রোগীকে রোগ সম্বন্ধে বুঝিয়ে সম্যক উপলব্ধি করাতে হবে এবং প্রয়োজনে ওষুধও ব্যবহার করতে হবে।
ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন
পরিচালক, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট হাসপাতাল

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.