
সকল নারীর দেহের ফিগারের শেপ একই হয় না। কেউ মোটা গড়নের দেহের অধিকারী তো আবার কেউ পাতলা, কেউ লম্বা আবার কেউ খাটো। দেহের ফিগারের শেপ এর সাথে ডায়েট করার কোনো সম্পর্ক নেই। দেহের গড়ন পুরোপুরি নির্ভর করে হাড়ের গঠনের ওপর। হাড়ের গঠন ভারী হলে দেহের গড়নও ভারী হয় এবং হাড় পাতলা হলে দেহ কিছুটা পাতলা ধরণের হয়। এই সকল দিক বিবেচনা করে আমাদের দেশের মহিলাদের দেহের ফিগারের শেপ মূলত ৪ ধরণের হয়। তাহলে দেখে নিন আপনার দেহের ফিগারের শেপ কী ধরণের!
বালুঘড়ি আকৃতির গড়ন
এই গড়নের নারীদের একদম “পারফেক্ট” গড়নের নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গড়নের নারীদের ফিগারের শেপ এর ওপর এবং নিচের অংশ সমান আনুপাতিক গড়নে তৈরি থাকে এবং কোমরের দিক বেশ চিকন গড়নের হয়। এই ধরণের গড়নের নারীদের দেহে ‘কার্ভ’ লক্ষ্য করা যায় ভালো করেই। দেহের আকার পুরোপুরি একটি বালুঘড়ির আকারের ধরণের হয় বলে বালুঘড়ি আকৃতির গড়ন নামকরণ করা হয়েছে।
চারকোণা আকৃতির গড়ন
যেসব নারীদের শরীরে ‘কার্ভ’ একটু কম তাদের দেহের ফিগারের শেপ চারকোণা আকৃতির বলে ধরা হয়। দেহের ওপর, নিচ এবং কোমরের দিকের অংশ সমান অনুপাতে মোটা বা চিকন হয় এই গড়নের নারীদের। দেহের গড়ন চৌকাকার হয়। উল্লেখযোগ্য ঢেউ দেখা যায় না গড়নে।
নাশপাতি আকৃতির গড়ন
এই ফিগারের শেপ নারীদের দেহের ওপরের অংশের তুলনায় নিচের অংশ বেশ ভারী হয়। দেহের আকার অনেকটা নাশপাতির সাথে মিলে যায় বলে এই নামকরণ করা হয়েছে। এই ধরণের দেহে ‘কার্ভ’ খুব ভালো করে লক্ষণীয় কারণ দেহের ওপরের অংশের তুলনায় নিচের অংশ ভারী হয় এবং কোমর চিকন ধরণের হয়। আপনি একে কোকের বোতলের সাথেও তুলনা করতে পারেন।
আপেল আকৃতির গড়ন
আপেল আকৃতির নারীদের ফিগারের শেপ নাশপাতি আকৃতির গড়নের ঠিক উল্টো। এই ধরনের গড়নের নারীদের দেহের ওপরের অংশ নিচের অংশের অনুপাতে ভারী হয়। উপরের অংশ ভারী হয়ে কমতে কমতে পাতলা ধরণের কোমর হয়। নিচের অংশও বেশ চিকন হয় এই গড়নের নারীদের।
আপনার যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনার পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর health সাইটে।মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন।ধন্যবাদ
সূত্র: প্রিয় লাইফ