...

আপনার ওজন খুব দ্রুত কমিয়ে দেবে যে ১০টি দারুণ শক্তিশালী জুস

যদিও ওজন কমানো খুব কঠিন একটি কাজ তবে কাজটি অসম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন ওজন কমানোর ব্যাপারে লক্ষ্য স্থির করা, অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকা এবং লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাওয়া। তবে এজন্য শুধু মুখে বললেই কাজ হবে না। সবচেয়ে বড় কথা কোন ধরনের ম্যাজিক দিয়ে ওজন কমানো সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা যার ফলে আপনি আপনার ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন এবং শরীরের সুন্দর একটি গঠন পাবেন। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা অনুসরণ করার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়ানো সম্ভব। তবে অবশ্যই শরীরের প্রতি খুব নিষ্ঠুর হওয়া ঠিক নয়। শরীরকে ভালোবেসে কী খাচ্ছেন ও কতটুকু খাচ্ছেন তা খেয়াল রাখুন।ওজন

আপনার ওজন খুব দ্রুত কমিয়ে দেবে যে ১০টি দারুণ শক্তিশালী জুস

বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করা।বাড়তি চিনি যোগ না করে স্বাস্থ্যকর পানীয় খেলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই বাসায় তৈরি করা পানীয়কেই বলা হচ্ছে। এখানে ১০টি স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা জানাচ্ছি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে-

পড়ুন  ওজন কমিয়ে ফেলুন হাতের জাদুতে

লেবুর শরবত
অস্বীকার করার উপায় নেই যে ওজন কমানোর জন্য প্রথম যে পানীয়টির কথা মনে এসে সেটা হল লেবুর শরবত। সকালে খালি পেটে লেবুর শরবত ওজন কমানোর গতিতে ত্বরান্বিত করে, দেহকে দূষণ মুক্ত করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন ঝরঝরে রাখে।

গাজরের জুস
এই পানীয়টি ভরপুর থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ, বি১, বি৩, বি৬, সি এবং কে দিয়ে। এবং সেই সাথে এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের বিপাকক্রিয়াকে উন্নত করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বিট জুস
এটি সত্যিকার ভাবেই একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় কারণ এতে থাকে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিংক ও খাদ্যআঁশ এবং সেই সাথে ভিটামিন এ, বি৬, সি, ডি এবং কে। ভিটামিন এবং খাদ্যআঁশ দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে যার ফলে দেহের ওজন কমে।

ডালিমের জুস
প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয়টি দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমানোর গতিকে ত্বরান্বিত করে।

ক্রানবেরি জুস
এই জুসটিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বেশ শক্তিশালী একটি উৎস যা দেহের সংরক্ষিত চর্বির ভাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

পড়ুন  খোলা আকাশের নিচেই সেক্স পার্টি করতে বেশি ভালোবাসেন যারা

করল্লার জুস
যদিও এটা অনেকেই পছন্দ করেন না বা শুনতে অরুচিকর মনে হতে পারে কিন্তু করলার জুসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকে সম্পূর্ণ রূপে দেহের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে, হজমক্রিয়া উন্নত করে, বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং দেহের কোষে চর্বি জমা হতে বাঁধা দেয়।

আমলকীর জুস
ভিটামিন সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে আমলকী এবং এটি দেহের বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে যা দেহে চর্বি জমা হতে বাধা দেয়।

গম পাতার রস
শুনে হয়তো অনেকের অবাক লাগতে পারে কিন্তু এটি আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। দেহের দূষণ দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে গম পাতার রস খাওয়া যা দেহের ওজন কমাতে ঔষধের মত কাজ করে। এটি পটাসিয়ামে ভরপুর যা দেহের ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে এবং এতে আরো রয়েছে খাদ্যআঁশ যা পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়।

তরমুজের জুস
তরমুজের জুস হচ্ছে ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ পানীয় যা ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। এটি আপনার ওজন কমানোর গতিকে ত্বরান্বিত করে কোন রকম ক্লান্ত ও দুর্বলতা বোধ ছাড়াই।

পড়ুন  ওজন কমিয়ে ফেলুন এবার ঘুমিয়ে

অ্যালোভেরা জুস
যদিও এই পানীয়টির স্বাদ খুব একটা মুখরোচক নয় তবে এই পানীয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে দেহের বিপাকক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এই অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত ভাবে পান করা হলে এটি শুধু যে ওজন কমাতে সাহায্য করবে তা নয় এটি আপনার চুল এবং ত্বককেও স্বাস্থ্যবান করবে।

এই পানীয় গুলো যারা ওজন কমাতে চান শুধু তারাই নন বরং সবার দেহের সুস্থতার জন্যও সাহায্য করে। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই পান করা শুরু করুন এসব পানীয়ের যেকোনো একটি বা একাধিকটি এবং ওজন কমানোর গতিতে করুন ত্বরান্বিত।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.