রাত যতো বাড়ে ততোই চোখের ঘুম দূরে চলে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা অন্য কিছু হতে পারে না, বিশেষ করে যদি পরের দিন খুব ভোরে উঠার তাড়া থাকে। কিন্তু ঘুম এমন একটি জিনিস যা আনার জন্য আপনি যতো চেষ্টা করবেন ততোই সেটি দূরে পালাবে। তাই এমন কিছু কাজ করতে হবে যাতে ঘুম দূরে পালাতে না পারে। বরং আপনার দেহকে শিথিল করে, মস্তিষ্কের সজাগভাব দূর করে চোখ জুড়ে শান্তির ঘুম চলে আসে এমন কিছু কাজ করতে হবে। জানতে চান কী সেই কাজগুলো?
রাতে শান্তির ঘুম পেতে চাইলে করুন এই ছোট্ট কাজগুলো
১) প্রথমেই ঘুমের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেয়া প্রয়োজন। আর সে জন্য কাজ বন্ধ করা উচিত সবার প্রথমে। আপনি কাজের চিন্তায় থাকলে অবশ্যই আপনার মস্তিষ্ক শিথিল হবে না। ঘুমও আসবে না। তাই কাজের কথা চিন্তা করা বন্ধ করে দিন এবং কাজ নিয়ে বসাও বন্ধ করুন রাতের বেলা। এতে কিছুটা সময় পরই মস্তিষ্ক শিথিল হয়ে ঘুমের উদ্রেক হবে।
২) শোবার ঘর থেকে সব ধরণের মনোযোগ আকর্ষণের জিনিস সরিয়ে ফেলুন। এমনকি মোবাইল ফোনটাও বালিশের পাশে নয় একটু দূরেই রাখুন দয়া করে। এতে অন্তত নিজেকে ঘুমের জন্য সময় দিতে পারবেন। শুয়ে থেকেও মোবাইল ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করার অর্থ আপনার ঘুমও পালাচ্ছে।
৩) একটু মেডিটেশন করার অভ্যাস ঘুমাতে যাওয়ার আগে খুবই ভালো একটি অভ্যাস। এতে বেশ সহজেই মস্তিষ্ক ও দেহ শিথিল হয় এবং ঘুমের হরমোন নিঃসরণ হতে থাকে। তাই অন্তত ৫-১০ মিনিট মেডিটেশন করে নিলে অনেক সহজেই ঘুমাতে পারবেন।
৪) সন্ধ্যা হওয়া আগে থেকেই চা/কফি ধরণের সকল কিছু পান করা বন্ধ করে দিন। যদি সত্যিই আপনি শান্তির ঘুম চান তাহলে বিকেলেই এই চা/কফি পানের পাট চুকিয়ে ফেলুন। আর রাতে আরও শান্তির ঘুমের জন্য উষ্ণ গরম দুধ পান করার অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন। দেখবেন খুবই দ্রুত ঘুম চলে আসছে কোনো ঝামেলা ছাড়াই।
৫) সারাদিন বসা কাজ করে আপনি দ্রুত ঘুমের আশা করলে ভুল হবে যদি না আপনাকে অনেক বেশি মাথা খাটাতে হয়। কারণ ঘুমের জন্য দেহ পরিশ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি দিনের বেশীরভাগ সময় শুয়ে বসে আয়েস করে কাটান তাহলে ঘুম না আসাই স্বাভাবিক। তাই যদি একেবারেই কাজ না থাকে তাহলে ব্যায়াম করে হলেও দেহকে পরিশ্রান্ত করুন।
৬) ঘুমের ঔষধ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারণ এটি একটি মানসিক ব্যাপার ছাড়া অন্য কিছুই নয়। আপনি যদি একবার ঘুমের ঔষধ সেবন করে ঘুমাতে যান তাহলে এরপর আপনার মনে হতে থাকবে এটি ছাড়া আপনার আর ঘুম হবে না। আর এই মানসিক সমস্যাটিই আপনার ঘুমের হরমোন উৎপাদনে বাঁধা দেবে। তাই এই ফাঁদে পা দেবেন না একেবারেই।