...

এক দিনে দেড় কেজি ওজন কমানোর দুর্দান্ত উপায়

সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাই সারাবিশ্বে ওজন কমানো নিয়ে এতসব আয়োজন। এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা স্থূলতা কিংবা শরীরে মেদ জমার সমস্যায় ভুগছেন, এবং খুব দ্রুত রোগা হতে চান। পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিনা এমন মানুষদের জন্য ৬টি কাজের তালিকা দিয়েছেন। ঠিকঠাকভাবে কাজগুলো করতে পারলে ১ দিনেই দেড় কেজি পরিমাণ ওজন কমানো সম্ভব।ওজন

এক দিনে দেড় কেজি ওজন কমানোর দুর্দান্ত উপায়

যে দিনটি আপনি ওজন কমানোর জন্য নির্বাচন করবেন, সে দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ওজন নিন। তার পর শুরু করুন আপনার ওয়েট লস রুটিন। ২৪ ঘণ্টা পরে আবার ওজন নিয়ে দেখুন, প্রায় দেড় কেজির মতো ওজন কমে গেছে। তবে জেনে নিন কী কী করতে হবে এই এক দিনে:

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: মেদ কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে পানি। পানি শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং শর্করাকে শরীর থেকে বার করে দিতে সক্ষম। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের এই সমস্ত ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শুধু যে শরীরকে সুস্থ মনে হয় তা-ই নয়, পাশাপাশি মেদও কমে।

পড়ুন  দৈনিক ১ কেজি করে ওজন কমানোর গোপন ফর্মুলা

২. গ্রিন টি পান করুন: কালো চা বা দুধ চা বাদ দিন, শুধুমাত্র গ্রিন টি পান করুন আগামী ২৪ ঘন্টা। এতে পাচনতন্ত্রে জমে থাকা ক্ষতিকর খাদ্যগুণ শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। এটা শরীরকে মেদমুক্ত করার প্রথম ধাপ। তবে মনে রাখবেন, কফি খাওয়া বারণ। কালো চা এবং কফিতে ক্যাফিন থাকে। অম্লমিশ্রিত ক্যাফিন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

৩. প্রচুর পরিমাণে শশা খান: শশা এমন একটি সবজি যা শরীরকে অ্যালকালাইন-মুক্ত হতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শশা খেলে অল্পেই পেট ভরে যায়। তার ফলে খাবার পরিমাণ আপনা থেকেই কমে আসে।

৪. শাকসবজি এবং ফল খান: সবজি এবং ফল-এ প্রোটিনের পরিমাণ সাধারণ ভাবে কম থাকে। আর প্রোটিন শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ। বিনস জাতীয় সবজিতেও অবশ্য প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সেই কারণে বিনস পরিহার করুন। অল্প প্রোটিনযুক্ত শাকসবজির উপর ভরসা করুন।

৫. প্রচুর ঘাম ঝরান: বিনা পরিশ্রমে দ্রুত মেদ কমানো অসম্ভব। ফলে শারীরিক পরিশ্রম করতেই হবে। দৌড়নো, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো কার্ডিও ভ্যাস্কিউলার এক্সারসাইজ করুন। অর্থাৎ এমন কাজ করুন, যাতে হাঁপ ধরে এবং প্রচুর ঘাম নির্গত হয়। এতে শরীরে জমে থাকা মেদ গলে যাবে।

পড়ুন  যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া হয় !

৬. খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন: কী খাবেন তা তো জানলেন। পাশাপাশি কী কী খাবেন না, সে দিকেও আপনাকে নজর রাখতে হবে। দুধ, মিষ্টি, অ্যালকোহল আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য একেবারে বর্জন করুন।

পরিশেষে রাতে অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুমান। পরের দিন সকালে আবার ওজন নিন নিজের। তফাতটা নিজের চোখেই দেখে নিন।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.