...

মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিন

মিষ্টি আলু রাঙ্গা আলু নামেও পরিচিত। বেগুনী, লাল, হালকা হলুদ অথবা সাদা রঙের হয় মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুর বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea Batatas। মিষ্টি আলুতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। দ্রুত শক্তি প্রদান করতে পারে মিষ্টি-আলু। মিষ্টি আলুর বেশি খাওয়া উচিৎ যে কারণে সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন।মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিন

১। ইমিউন সিস্টেম

বিটা ক্যারোটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ মিষ্টিআলু। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন এবং ফসফরাসও থাকে। তাই বলা যায় যে, মিষ্টি আলু ইমিউন সিস্টেমের জন্য উপকারী এবং বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

২। প্রদাহ

গোল আলুর মত মিষ্টি আলুতেও প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যদিও এরা সাধারণ আলুর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতির কারণেই সম্ভবত মিষ্টি আলুর প্রদাহরোধী ভূমিকা দেখা যায়। অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় ধরণের প্রদাহ কমাতেই অত্যন্ত কার্যকরী মিষ্টি আলু।

৩। অ্যাজমা

ফুসফুস, শ্বাসনালী এবং নাকের জমাটবদ্ধতা নিরাময়ে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। ফলে অ্যাজমার উপশম হয়।

পড়ুন  রূপচর্চায় আলুর গুণাগুণ জেনেনিন

৪। ব্রংকাইটিস

ভিটামিন সি, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ব্রংকাইটিস নিরাময়ে সাহায্য করে। মিষ্টি-আলু শরীরকে উষ্ণ হতে সাহায্য করে। সম্ভবত এর মিষ্টত্ব এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে।

৫। আরথ্রাইটিস

বিটা ক্যারোটিন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এর উপস্থিতির কারণে মিষ্টি আলু আরথ্রাইটিস মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মিষ্টি আলু সিদ্ধ করা পানি অস্থিসন্ধিতে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমে।

৬। পরিপাক

সাধারণ আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে এবং স্বাদেও ভালো। এতে ম্যাগনেসিয়াম নামক খনিজ উপাদানটিও থাকে বলে মিষ্টি-আলু হজম সহায়ক একটি খাবার। এছাড়াও এতে স্টার্চ থাকে যা পাকস্থলী ও অন্ত্রকে শীতল করতে পারে।

৭। ক্যান্সার

মিষ্টি আলুর খোসার রঙের জন্য দায়ী বিটা ক্যারোটিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান। বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার নিরাময়ে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী যা মিষ্টি আলুতে থাকে।

৮। পাকস্থলীর আলসার

পাকস্থলী ও অন্ত্রে শীতলিকারক প্রভাব ফেলতে পারে মিষ্টি আলু। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম পাকস্থলীর আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এসিড তৈরি হওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর প্রদাহরোধী এবং শীতলিকারক উপাদান পাকস্থলীর আলসারের ব্যথা ও প্রদাহ কমতে সাহায্য করে।

পড়ুন  দ্রুত মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

৯। ডায়াবেটিস

মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও উপকারী, যা সাধারণ বিশ্বাসের বিপরীত একটি বিষয়! আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, মিষ্টি-আলু ইনসুলিনের নিঃসরণ ঠিকমত হতে সাহায্য করার মাধ্যমে রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর অর্থ এই নয় যে, ডায়াবেটিকে আক্রান্তরা ইচ্ছেমত খেতে পারেন মিষ্টি-আলু। ভাত অথবা অন্য শর্করা জাতীয় খাবারের পরিবর্তে মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

১০। পানির ভারসাম্য

মিষ্টি আলুর আঁশ শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে, হাইড্রেটেড রাখে এবং কোষের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

১১। ওজন বৃদ্ধি

মিষ্টি আলুতে জটিল স্টার্চ, ভিটামিন, খনিজ এবং কিছু আমিষ ও থাকে। মিষ্টি-আলু খুব সহজেই হজম হয়ে যায় এবং প্রচুর শক্তি প্রদান করতে পারে। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা নিশ্চিন্তে মিষ্টি আলু খেতে পারেন। কারণ এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About পূর্ণিমা তরফদার

আমি পূর্ণিমা তরফদার আপনার ডক্টরের নতুন রাইটার। আশাকরি আপনার ডক্টরের নিয়ামিত পাঠকরা আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন ও আমার পোষ্টগুলো পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.