...

চুলকানি সারানোর জন্য কি ধরনের ওষুধ সেবন করা বা শরীরে প্রয়োগ করা যেতে পারে?

স্কেবিস রোগ যা চুলকানি নামে পরিচিত একটি মারাত্বক ছোঁয়াচে চর্ম রোগ। এর অন্যান্য স্থানীয় নামগুলো হলো খোস-পাচড়া, দাদ, বিখাউজ। স্পর্শের মাধ্যমে সাধারণত এ রোগ হয়। তাছাড়া রোগীর ব্যবহৃত কাপড় গামছা, বিছানার চাদর ও বালিশ ব্যবহার করলে এ রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে ৷ এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ।[১] যে কীটটি দিয়ে এ রোগটি হয়, এর নাম হলো স্কেবিয়াইসারকপটিস স্কেরিবাই।[২] এক্ষেত্রে শরীরে অসম্ভব রকম চুলকানি হতে দেখা যায় এবং রাতের বেলা চুলকানির তীব্রতা আরও বাড়ে।

চুলকানি

 

চুলকানির লক্ষন

আঙ্গুলের ফাঁকে, আঙ্গুলে, বগলে, যৌনাঙ্গে, নাভি ও নাভির চার দিকে ছোট ছোট দানা বা গুটি দেখা দেয়। তবে এ গুটিগুলো মুখ, মাথা বাদে সমস্ত শরীরে দেখা দিতে পারে। গুটি গুলোতে প্রচণ্ড চুলকায় এবং চুলকানি রাতে বেশি হয়।
চুলকানির গুটি গুলোতে ঘা হতে পারে, যাকে বলে পাঁচড়া।
এ রোগ দেখা দিলে অবশ্যই আর একজন চুলকানি রোগীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকে। অর্থাৎ রোগীর পরিবারের অন্য সদস্যের চুলকানির ইতিহাস থাকে।

Loading...
পড়ুন  চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া কিছু উপায়

 

চুলকানির চিকিৎসা

মানুষের দেহে চুলকানি আক্রান্ত হওয়ার কিছু সাধারন জায়গা
রোগটি খুব সাধারণ হলেও ভালো অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সাধারণত ঘরের একাধিক ব্যক্তি এ রোগে ভোগেন। ফলে ঘরের সবাইকে এ রোগের চিকিৎসা এক সঙ্গে করাতে হয়, নয়তো পর্যায়ক্রমে আবরো রোগীর গায়ে এ রোগ ফিরে আসে। ভেজলিন ৫০ গ্রাম, গন্ধক গুঁড়া ২ গ্রাম, সলিসেলিক অ্যাসিড ২ গ্রাম, চাল মুগরা তেল ১০ গ্রাম মিশিয়ে মলম তৈরী করে নিতে হবে। নিমপাতা সিদ্ধ করা পানি দিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার নেকড়া দিয়ে মুছে রোজ একবার করে মলম লাগাতে হবে।

খোস-পাচড়া, দাদ, বিখাউজ ইত্যাদি চুলকানি দ্রুত কমার জন্য চুলকানির স্থানে ”পেভিসোন” মলম লাগান, ৫মিনিটের মধ্যে চুলকানি কমে যাবে। সাথে এলাট্রল ট্যাবলেট খেতে পারেন। এলার্জি জনিত চুলকানি হলে খাটি সরিষা তৈলে ৬/৭ কোয়া রসুন ছেচে দিন এবং চুলায় ভাজুন, রসুনের রঙ বাদামী হলে নামিয়ে কুসুম কুসুম গরমে এলার্জির আক্রান্ত স্থানে মাখুন। চুলকানি কমে যাবে। সাথে এলাট্রল ট্যাবলেট খাবেন।

চুলকানির জন্য কিছু ভেষজ সমাধানঃ

তুলসী পাতা ও দুর্বার ডগা বেটে গায়ে মাখলে ঘামাচি ও চুলকানি ভাল হয়।
বড় এলাচি বেটে বাহ্যিকভাবে চন্দনের মত শরীরে লাগালে চুলকানী চলে যায়।
নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
শরীরে ক্ষত, খোস পাঁচড়া দেখা দিলে অর্জুনের ছাল বেটে লাগালে সেরে যায়।
বাসকের কচিপাতা ১০-১২ টি এক টুকরো হলুদ একসঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানিতে লাগলে কয়েকদিনের মধ্যে তা সেরে যায়

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.